ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

নাটোরে ওয়ালটন প্লাজায় জমজমাট বেচা-কেনা

আরিফুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নাটোরে ওয়ালটন প্লাজায় জমজমাট বেচা-কেনা

নাটোর প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাটোরে ইলেকট্রনিকস পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ।

 

নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় অবস্থিত ওয়ালটন প্লাজা সূত্র জানিয়েছে, ২৫ আগস্ট থেকে কানাইখালী এলাকার প্লাজা থেকেই সহস্রাধিক ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে।

 

এ ছাড়া নাটোরে আরো কিছু প্লাজা রয়েছে সেখানে ফ্রিজ বিক্রি বেড়েছে বলে জানা গেছে। ডিলারদের কাছ থেকেও ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা ও বিক্রির কথা জানা যায়।

 

ফ্রিজের পাশাপাশি এই ব্র্যান্ডের টিভি, এয়ারকন্ডিশনারেরও বিক্রি বেড়েছে বলে ওয়ালটন প্লাজা সূত্র জানিয়েছে।

 

সব মিলে এবারের ঈদকে ঘিরে বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতিও নিয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

 

নাটোর প্লাজায় গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট ওয়ালটনের শোরুমগুলো। ক্রেতাদের চাপে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। বিক্রি চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।

 

কানাইখালী এলাকার ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার মো. রবিউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। তবে এর মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফ্রিজ। ইতোমধ্যে সহস্রাধিক বিক্রি হয়ে গেছে।

 

তিনি বলেন, একদিকে ঈদ, অন্যদিকে গরম। দুইয়ে মিলে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটনের ফ্রিজ। পাশাপাশি এয়ারকন্ডিশনারের বিক্রিও বেড়েছে। সেই সঙ্গে টিভিও বিক্রি হচ্ছে।

 

ওয়ালটনের নাটোর জোনের এরিয়া ম্যানেজার মো. সাজ্জাত হোসেন রাইজিংবিডিকে জানান, ঈদে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে ওয়ালটনের বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন সেট। তরুণ-তরুণীরা ওয়ালটন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনসেটও ধুমসে কিনছে।

 

গত কয়েক বছরে উচ্চমান, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে দেশীয় ব্র্যান্ডের এই পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা অনেক বেড়েছে।

 

কানাইখালী এলাকার ওয়ালটন প্লাজায় কথা হয় নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা গ্রামের লাইলি বেগমের সঙ্গে। তিনি ফ্রিজ কিনতে এসেছেন ওই প্লাজায়।

 

ওয়ালটন রাজশাহীর এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ওয়ালটন আমাদের দেশের পণ্য। সেদিক থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই পণ্যের অগ্রাধিকার সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি পণ্যের ডিজাইন ভালো, দামও একটু কম।

 

তবে ক্রেতা মো নুরুল ইসলাম ছোটনের মতে, পণ্যগুলো যেহেতু দেশে তৈরি সেহেতু আরেকটু দাম কমালে সব স্তরের মানুষের সাধ্যের মধ্যে স্থান হবে ওয়ালটন পণ্যের।

 

ওয়ালটনের সিনিয়র এজিএম রাজিব রায় রাইজিংবিডিকে বলেন, ওয়ালটন পণ্যের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রাখার বিষয়টি মাথা রাখা হয়েছে।পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মানও প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

 

 

রাইজিংবিডি/নাটোর/১০ সেপ্টেম্বর২০১৬/আরিফুল ইসলাম/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়