ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং ভাস্কর্য কথন

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ২৭ নভেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং ভাস্কর্য কথন

উদয় হাকিম, ভিয়েতনাম থেকে ফিরে : ভিয়েতনাম যুদ্ধ। যার কথা কমবেশি সবাই শুনেছি। বিশেষ করে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতিক এমনকি ছাত্রনেতার মৃত্যু হলেও তার পক্ষের লোকজন মিছিল করতো, ‘অমুক হত্যার পরিণাম, বাংলা হবে ভিয়েতনাম’।

 

সেই থেকে আগ্রহ, সেখানে কি হয়েছিল? ভিয়েতনাম যুদ্ধ সম্পর্কে আমারও খুব একটা ধারণা নেই। ভিয়েতনামে এসে খানিকটা বোঝার চেষ্টা করছি। আমাদের গাইড মিস্টার ডুক ভালোই রাজনীতি সচেতন। তার কাছেই সংক্ষেপে শুনি, ঘটনাটা কি ছিলো?

ভিয়েতনাম যুদ্ধে প্রায় ৬০ হাজার আমেরিকান সৈন্য মারা গেছে। পঙ্গু এবং আহত হয়েছে আরো সাড়ে তিন লাখ। যদিও ভিয়েতনামের লোক মারা গেছে প্রায় ২০ লাখ। ওই যুদ্ধে আমেরিকানদের পরাজয় গত শতাব্দির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সারা পৃথিবী যারা এক রকম শাসন করে বেড়াচ্ছে, তারাই কিনা করুণ পরাজয় বরণ করেছে। আমেরিকানরা এখনো ভিয়েতনাম যুদ্ধকে একটি চরম ভুল এবং অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধ বলে মনে করেন।

 

ভিয়েতনামভিয়েতনামে শারীরিক প্রতিবদ্ধীদের তৈরি পণ্যের কারখানাগুলোর একটি


১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনামিরা ফ্রান্সের ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তখন ফ্রান্সকে হটানোর জন্য আমেরিকা ভিয়েতনামকে ২.৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। সত্যি বলতে কি সারা দুনিয়াতে যত অপকর্ম হয়েছে, খুঁজলে দেখবেন তার পেছনে আমেরিকার হাত রয়েছে। ফরাসিরা হেরে যান। তখন জেনেভা সম্মেলনের মাধ্যমে লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম স্বাধীনতা অর্জন করে।

কিন্তু ভারত বিভক্তির মতো একটা ঐতিহাসিক পেঁচগি লাগিয়ে রাখা হয়। ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র হলেও পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মাঝখানে রয়ে যায় ভারত! হা হা! অদ্ভুত ভাগ! তেমনি ভিয়েতনামের দক্ষিণ অংশের শাসনরীতি হয় কমিউনিস্ট বিরোধী। আর উত্তর ভিয়েতনামকে আনা হয় কমিউনিস্ট শাসনের আওতায়।

দক্ষিণ ভিয়েতনাম সরকার মার্কিন সমর্থিত। ১৯৫৬ সালে দেশটির উভয় অংশ একীভূত করতে নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু মার্কিন মদদে দক্ষিণ ভিয়েতনাম একীভূত হতে এবং নির্বাচনে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন ‘ভিয়েত কং’ নামে উত্তরের কমিউনিস্ট গেরিলারা দক্ষিণের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

 

ভিয়েতনাম
নারী-পুরুষ উভয়ে একসঙ্গে কারখানায় কাজ করছেন। অনেক খেয়াল করেও কাউকে প্রতিবন্ধী মনে হয়নি


ইন্টারনেট থেকে জানা যায়, দক্ষিণের সরকারের সমর্থনে ২,০০০ সামরিক উপদেষ্টা পাঠায় মার্কিন সরকার। অবস্থার অবনতি হলে ১৯৬৩ সালে যে সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ হাজার তিনশ। (কিন্তু মিলিটারি এ্যাডভাইসরের সংখ্যা লেখা হলেও সৈন্যসংখ্যা লিখেননি তারা!) দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্থান মেকং ডেল্টা জয় করে নেয় ভিয়েত কং গেরিলারা।  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসনের নির্দেশে ১৯৬৫ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর ভিয়েতনামের ওপর বিমান হামলা শুরু করে। সৈন্য সংখ্যা বাড়াতে থাকে। তাতেও কুলিয়ে উঠতে না পেরে ১৯৬৮ সালে ৫ লাখ ৩৬ হাজার স্থলসৈন্য মোতায়েন করে।

এতকিছুর পরও মার্কিন বাহিনী কেবল মার খায়। পিছু হটে। অনেক মার্কিন সেনা প্রাণ হারায়। এ অবস্থায় আমেরিকানদের মধ্যে ব্যাপক যুদ্ধবিরোধী মনোভাব গড়ে উঠে।

 

ভিয়েতনাম

প্রোডাকশন ওয়ার্কশপের শ্রমিকদের অাঁকা ছবি


১৯৭০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে রসদ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেন। কৌশলগত ঘাঁটি এবং সরবরাহ লাইন ধ্বংস করা হয়। এ কাজে তারা কম্বোডিয়ার সহায়তা নেন। কিন্তু মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে কম্বোডিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। কারণ আমেরিকার বিমান কম্বোডিয়াতেও বোমা ফেলতে শুরু করে।

 

এতকিছুর পরও জঙ্গল আর অসমতল ভূমিতে মার্কিন বাহিনী কুলাতে পারেনি। এমনকি পালাবার পথ পর্যন্ত রুদ্ধ হয়ে যায়! ১৯৭৩ সালে একটি চুক্তির আওতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়। মুক্তি দেয়া হয় মার্কিন বন্দিদের। ১৯৭৫ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনাম উত্তরের কাছে আত্মসমর্পণ করে। শুরু হয় একীভূত কমিউনিস্ট ভিয়েতনামের পথচলা।

ভিয়েতনাম ঘুরতে এসেছি মাত্র চার রাত, ৩ দিনের জন্য। এরমধ্যে যুদ্ধের কথা কেন বলছি? প্রথমত ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতি সবার একটা আগ্রহ আছে। দ্বিতীয়ত এই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। দেশটি জুড়ে স্থাপন করা হয়েছিল ব্যাপক স্থল মাইন। বছর দশের আগেও শুনেছি সেই সময়ের পোঁতা স্থল মাইনের বিস্ফোরণের খবর। স্থল মাইনের আঘাতে মৃত্যুর চেয়ে পঙ্গু বা ডিজঅ্যাবল হয়েছে অনেক বেশি। যা একসময় দেশের জন্য বোঝা হয়ে দেখা দেয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বেড়ে যায় বেকারত্বের সংখ্যা। শিল্প কারখানা বন্ধ, উৎপাদন বন্ধ। ফলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে।

 

ভিয়েতনাম

প্রোডাকশন ওয়ার্কশপে কর্মরত নারী-পুরুষের মাঝে ঘুরে ঘুরে পণ্য দেখছেন পর্যটকরা


এ অবস্থায় ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে দেশটি। কিন্তু বিপদে পড়ে যায় পঙ্গু এবং আহতরা। অবশেষে তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে স্থানীয় কিছু উদ্যোক্তা এবং বিদেশি ভালো মানুষ। বিদেশিদের উপদেশ এবং স্থানীয়দের মেধাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে ওঠে এক নতুন শিল্প ভাবনা। ব্যাপকভাবে শুরু হয় কারুশিল্প বা হ্যান্ডিক্র্যাফটসের কাজ। বসে না থেকে লোকজন যুক্ত হতে শুরু করেন কুটির শিল্পের মতো ছোট ছোট অনেক উদ্যোগে। সূচিশিল্প, পাথর খোঁদাই করে নানা ধরনের মূর্তি তৈরি, উপহারসামগ্রী তৈরি ইত্যাদি।  

আগেই বলেছি, হ্যানয় থেকে হা লং বে যাওয়ার রাস্তা সাড়ে তিন ঘণ্টার। পথে একটা ব্রেক দেয়া হয়। গাড়ি গিয়ে থামে একটি বিশাল ছাউনির নিচে। প্রোডাকশন ওয়ার্কশপে। সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘প্রোডাকশন ওয়ার্কশপ ফর ডিজঅ্যাবল পিপল’। অর্থাৎ শারীরিক প্রতিবদ্ধীদের তৈরি পণ্যের কারখানা। নারী-পুরুষ উভয়ে একসঙ্গে কাজ করছেন। অনেক খেয়াল করেও কাউকে প্রতিবন্ধী মনে হয় নি।

শ্রমিকেরা অ্যামব্রয়ডারি কাজ করছেন। কেউ ছবি আঁকছেন। সেই ছবিগুলোকে সুঁইয়ের মাধ্যমে কাপড়ে ফুটিয়ে তুলছেন। ওয়ার্কশপের এক পাশে তারা কাজ করছেন। অন্য পাশগুলোতে প্রোডাক্ট ডিসপ্লে কর্নার। বিশাল স্পেস, বাকিটা জুড়ে শপ। সেখানে বিভিন্ন ধরনের স্যুভেনির, খেলনা, পুতুলসহ গিফট আইটেম সাজানো। আছে চাদর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কাপড়-চোপড়। ভিয়েতনামের ট্র্যাডিশনাল ড্রেস, মাথালসহ অন্যান্য আইটেম। দাম অনেক বেশি। আছে কফি এবং ফাস্টফুডের দোকান।

 

ভিয়েতনামপ্রোডাকশন ওয়ার্কশপের ডিসপ্লে কর্নারে বিভিন্ন ধরনের স্যুভেনির, খেলনা, পুতুলসহ গিফট আইটেম


খাওয়া-দাওয়ার দিকে আমাদের মনোযোগ কম। কি কি কেনা যায় দেখছি। আমি কিনি ৩টি ছোট আয়না, একটা চাদর। ছোট ব্যাগে রাখার মতো দৃষ্টিনন্দন আয়নাগুলো কমবেশি সবাই কিনি। জাহিদ হাসান নিলেন রিক্সার মতো যান সাইক্লো’র ডামি। মিল্টন এবং ফিরোজ আলমও নেন একটা করে। ঘুরে ঘুরে দেখেছি। দাম অনেক চড়া। আর খেতে চাইনা ধরা। চলে যাই বাসে।

পাশাপাশি আরেকটি জায়গায় পর্যটকদের নামানো হয়। সেটি হচ্ছে পার্ল ফ্যাক্টরি। মুক্তার কারখানা। প্রাকৃতিকভাবে মুক্তার চাষ করা হয়। মুক্তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠার একটা চিত্র পাওয়া যায় এখানে। সেইসঙ্গে মুক্তা এবং মুক্তার তৈরি বিভিন্ন ধরনের অলংকার কেনা যায়। প্রতিবন্ধীদের হীনমন্যতা দূর করতে তাদের দিয়ে এসব কাজ করা হয়। প্রতিনিয়ত পণ্যমান উন্নয়নই তাদের লক্ষ্য। হয়তো একারণেই দাম অনেক বেশি। এই এলাকার নাম ‘সাও দো’। হেই ডুঅং প্রভিন্স। হ্যানয় থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। যুদ্ধে দুই হাত হারানোর পর এক সিনিয়র যোদ্ধা এই দোকান দেন। কারণ ভিয়েতনামে যোদ্ধাদের জন্য কোনো পেনশনের ব্যবস্থা নেই।

 

ভিয়েতনামভিয়েতনামের ভাস্কর্য পার্ক


হা লং বে থেকে ফেরার পথে আবার বাস থামে আরেকটি প্রোডাকশন ওয়ার্কশপের সামনে। একই লেখা সাইনবোর্ডে। বোঝা যায়, মানুষের সহানুভূতিকে কাজে লাগানোর জন্য এটা লেখা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষ আর যাই হোক, এ কাজটা ভালোই পারে।   

কেনাকাটার আগ্রহ কম। তাই কথা বলছি কর্মরত লোকজনের সঙ্গে। লি নামে এক শ্রমিক জানায়, প্রতিবন্ধীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়া এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থানই মূল উদ্দেশ্য। এখানে ৭ শতাধিক লোকের প্রশিক্ষণ হয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন। এসব কাজের মধ্যে রয়েছে অ্যামব্রয়ডারি, কাপড় তৈরি, পুতুল এবং স্কাল্পচার, বার্নিশ, সিরামিক, জেমস স্টোন ইত্যাদি। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেসব ক্রেতা সেগুলো কেনেন, সবাই এসবের প্রশংসা করেন। চমৎকার নিখুঁত কারুকাজ।

 

ভিয়েতনামভাস্কর্যে ফুটে উঠেছে প্রকৃতি, জীবন, ভালোবাসা, প্রেম, প্রার্থনা, দ্রোহ, দৈনন্দিন জীবন


আমি কয়েকটা সিরামিকসের পুতুল কিনি। তারপর যাই জুয়েলারি সেকশনে। ঢাকা থেকে আসার সময় এক বড় ভাই তার জন্য রুবি পাথর নিতে বলেছেন। এখানে নাকি পাথর খুব সস্তা। একটা আংটি পছন্দ হয় তাঁর জন্য। দাম কত? ১,৪০০ ডলার!

দাম শুনে ভেতরে থাকতে অস্বস্তিবোধ করি। চলে আসি বাইরে। আগেই দেখেছি, বাইরে অনেক পাথরের মূর্তি। যে কারো নজর কাড়ে শ্বেত পাথরের মূর্তিগুলো। নানা রঙের, নানা আকৃতির। এসব শিল্পকর্ম দেখে অনুমান করা যায় ভিয়েতনামের ফাইন আর্টস খুবই শক্তিশালী। কারণ আমাদের দেশে ওই মানের কাজ খুব একটা চোখে পড়ে না। ভারত, যাকে আমরা এ অঞ্চলের শিল্প সংস্কৃতির রাজধানী বলি, সেখানেও এ মানের কাজ দেখিনি। আরেকটা ব্যাপার, বাংলাদেশে এরকম শিল্পকর্মের স্পেশালাইজড কোনো শপ নেই। দেখি নি ভারতেও!  অথচ ভিয়েতনামে এরকম শপ অসংখ্য। বাসে হা লং বে যাওয়া আসার পথেই অনেক দোকান চোখে পড়ে।

 

ভিয়েতনামমা-সন্তানের ভাস্কর্য


ভিয়েতনামের ভাস্কর্যগুলো যে কারো মন কাড়বে। আমরা চারজন ভাস্কর্য পার্কে গিয়ে হারিয়ে যাই। যাতে ফুটে উঠেছে প্রকৃতি, জীবন, ভালোবাসা, প্রেম, প্রার্থনা, দ্রোহ, দৈনন্দিন জীবন ইত্যাদি। যে যার মতো মোবাইল ফোনে ছবি আর সেলফি তোলায় ব্যস্ত। ডিএসএলআর ছিলো মিল্টনের হাতে। তাকে ডেকে ছবি তুলতে বলি। কোনোটা দেখে হাসছি, স্বভাবসুলভ মজা করছি। কিন্তু একটা ভাস্কর্যের পাশে গিয়ে সবাই চুপ। এক মা এবং তার সন্তানের ভাস্কর্য সেটা। পৃথিবীর সব সন্তানেরই মায়ের সঙ্গে যোগ আছে। আর তাই মা-সন্তানের এই দৃশ্য সার্বজনীন।   

বুঝতে পারি, আমাদের দেশে শিল্পের কদর নেই। তাই ভাস্কর্যের দোকানের বালাই নেই। কিন্তু ভারত, শ্রীলঙ্কা! যাক, অন্যদের কথা ভেবে লাভ নেই। সেবা বা পণ্য দিয়ে পর্যটকদের টাকা রেখে দেয়ার কোনো বুদ্ধিই বাংলাদেশের নেই! পর্যটন আকর্ষণের জন্য ভিয়েতনাম যতটুকু ভাবছে তার দশভাগের এক ভাগ যদি আমরা ভাবতাম!


এই লেখকের আরো কয়েকটি জনপ্রিয় লেখা

 

*  
*  
*  
*
 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ নভেম্বর ২০১৬/অগাস্টিন সুজন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়