ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সিলেটে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের যার যত আয়

কামাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিলেটে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের যার যত আয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চার প্রার্থী।

 

এসব প্রার্থীদের মধ্যে আয়ের দিক থেকে এগিয়ে এনামুল হক সরদার। বিপরীতে নিজস্ব আয়হীন প্রার্থী হচ্ছেন লুৎফুর রহমান।

 

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

হলফনামায় দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে সম্পদশালী এনামুল হক সরদার। তার বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১৯ হাজার ১৬৯ টাকা।

 

এ ছাড়া তার স্ত্রীর আয় ৬ লাখ ২৭ হাজার ২১০ টাকা। এনামুল হক সরদারের কাছে নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা রয়েছে। তার নামে ব্যাংকে জমা আছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৭৯ টাকা।

 

এ ছাড়া ১৯ লাখ টাকার শেয়ার, ৩ লাখ টাকার জীবনবীমা, ২ লাখ ২৮ হাজার টাকার স্থায়ী আমানত রয়েছে তার। এনামুল হক সরদারের স্ত্রীর কাছে নগদ ৭৫ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৫০২ টাকা রয়েছে।

 

এ ছাড়া নির্ভরশীলদের নামে ব্যাংকে আছে এক লাখ ২৭ হাজার ৮৩৪ টাকা। তবে এনামুল হকের নামে ব্যাংক ঋণ আছে ৬২ লাখ ৯১ হাজার ৪০৫ টাকার। তার নিজ নামে অকৃষিজমি আছে ২ দশমিক ৪৬৫০ একর। আর যৌথ মালিকানায় কৃষিজমি আছে ১২ দশমিক ৩০৫০ একর এবং অকৃষিজমি আছে ০ দশমিক ১৬ একর।

 

আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন স্বশিক্ষিত জিয়া উদ্দিন আহমদ লালা। তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে বাড়িভাড়া পান ২ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং কৃষিখাত থেকে আসে ১৫ হাজার টাকা। ব্যাংকে তার নামে জমা আছে দেড় লাখ টাকা। তার স্ত্রীর নামে ৬ ভরি স্বর্ণের মূল্য দেখানো হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা।

 

এ ছাড়া ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আছে এক লাখ টাকার, আসবাবপত্র আছে এক লাখ টাকার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আছে ৩৫ হাজার টাকা।

 

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, আয়ের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা স্বশিক্ষিত মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের বার্ষিক আয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। কৃষিখাত থেকে এ অর্থ আসে। তার কাছে নগদ আছে ২০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে আছে এক হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার থাকার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্রের উল্লেখ করলেও সেগুলোর অর্থমূল্য দেখানো হয়নি।

 

লুৎফুর রহমানের কোনো নিজস্ব আয় নেই। তবে দুই ছেলের কাছ থেকে বছরে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা পান তিনি। ব্যাংকে তার নামে আছে এক লাখ ৩৪ হাজার ৭৮১ টাকা। তার স্ত্রীর নামে দেড় লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে।

 

এ ছাড়া ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আছে এক লাখ ৪০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র আছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। লুৎফুর রহমানের নামে যৌথ মালিকানায় ৮৬ শতক কৃষিজমি এবং ২৬ শতক অকৃষিজমি রয়েছে।

 

 

রাইজিংবিডি/সিলেট/৭ ডিসেম্বর ২০১৬/কামাল/রিশিত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়