মর্মস্পর্শী: পুলিশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে সিরীয় শিশুটি
অগাস্টিন সুজন || রাইজিংবিডি.কম
পুলিশ দেখে ভীষণ ভয়ে কান্না শুরু করে আয়েশা
রাইজিংবিডি ডেস্ক: বয়স কতই বা হবে তার? মাত্র পাঁচ। এই বয়সেই আয়েশাকে রাস্তায় নামতে হয় বেঁচে থাকার তাগিদে। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে পরিবারের ভার কিছুটা লাঘব করার জন্য তুরস্কের রাস্তায় টিস্যু পেপার বিক্রির কাজ নেয় সিরীয় শিশুটি।
কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ভয়াবহ স্মৃতি নিশ্চয় গভীরভাবে তার মনে দাগ রেখে গেছে। তাইতো ইউনিফর্ম পরা এক তুর্কি পুলিশ সদস্যকে তার দিকে এগিয়ে আসতে দেখে ভীষণ ভয় আঁকড়ে ধরে আয়েশাকে। হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। প্রাণভয়ে জড়িয়ে ধরে পথচারী এক নারীকে। প্রাণভিক্ষা চেয়ে বার বার বলতে থাকে এরকম কাজ সে আর করবে না।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত হয়ে পড়েন পুলিশ অফিসার। কোমল মমতায় শিশুটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে তাকে শান্ত করা চেষ্টা করেন তিনি। পথচারী নারীর কাছ থেকে একপ্রকার জোর করে শিশুটিকে ছাড়িয়ে নিয়ে কোলে তুলে নেন তিনি। কিন্তু এতে শিশুটির ভয় আরো বেড়ে যায়। বার বার নিজের কপালে ও ঠোঁটে আঙুল স্পর্শ করে (বড় কোনো অন্যায় করলে অধিকাংশ আরব শিশুরা সাধারণত এটা করে থাকে) ক্ষমা চায় সে। বার বার বোঝানোর চেষ্টা করে এরকম ভুল সে আর কখনো করবে না।
পুলিশ দেখে কীভাবে কান্নায় ভেঙে পড়ে পাঁচ বছর বয়সি সিরীয় শিশু আয়েশা। দেখুন ভিডিওতে
শিশুটিকে শান্ত করতে না পেরে একপ্রকার জোর করেই তাকে গাড়িতে তুলে নেন পুলিশ অফিসার। পরে পৌঁছে দেন তার বাবা-মার কাছে। মায়ের কোলে ফিরে স্বাভাবিক হয় ছোট্ট আয়েশা।
সাম্প্রতিক সময়ে চলমান যুদ্ধ সিরিয়ার শিশুদের মানসপটে গভীর রেখাপাত করে চলছে। কিছুদিন আগে এক শরণার্থীশিবিরে চার বছর বয়সি এক সিরীয় শিশু ফটোগ্রাফারের ক্যামেরাকে অস্ত্র ভেবে ভীষণ ভয়ে আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে দু’হাত মাথার উপরে তুলেছিল। সেই ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে নাড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্ববিবেক।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ নভেম্বর ২০১৫/অগাস্টিন সুজন/রহমান
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন