ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় রবিউলের

রুদ্র রুহান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১০ আগস্ট ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় রবিউলের

রবিউল

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় পিটুনির শিকার হয়ে মৃত শিশু রবিউলের (১০) মাথা, চোখ ও মুখে তিনটি গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর এসব আঘাতে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে শিশুটি। জেলার তালতলী উপজেলার আমখোলা গ্রামের নিহত শিশু রবিউল আউয়ালের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকেরা। ময়নাতদন্তকারী দলের সদস্য ও বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তা মোরশেদুল ইসলাম গতকাল রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

গত বুধবার দুপুরে ওই ময়নাতদন্ত হয়। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসকের একটি দল রবিউলের লাশের ময়নাতদন্ত করেন। পরে রোববার তারা প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে পাঠান।

 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিশু রবিউলের মাথার বাঁ পাশ, বাঁ চোখ ও মুখের বাঁ পাশে শক্ত ও ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে সজোরে আঘাত করা হয়েছে। গুরুতর এই আঘাতের কারণে বাঁ চোখ ও চোখের ওপরের অংশ জখম হয়ে প্রচণ্ড ফুলে যায়। মাথা-চোখে আঘাতের কারণে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। এতেই মারা যায় সে।

 

এ বিষয়ে রবিউলের বাবা দুলাল মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা জানি না। কেউ আমাকে বলেওনি।’

 

তিনি বলেন, ‘মামলার আসামি মিরাজ যেখানে বসে রবিউলকে আঘাত করেছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে, সেখানে পরদিন কোনো রক্তের চিহ্ন ছিল না। রবিউল যেদিন রাতে নিখোঁজ হয়, সেদিন রাত আটটার দিকে মিরাজকে আমার বাড়ির সামনে দা হাতে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন অনেকে। আমার ধারণা, রবিউলকে হত্যার জন্যই সে ওখানে এসেছিল। রাত নয়টার দিকে রবিউল ঘর থেকে বের হওয়ার পর ওকে ধরে নিয়ে যায় মিরাজ।’

 

গত সোমবার রাতে নিখোঁজ হয় রবিউল। পরদিন স্থানীয় লখনার খালে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বুধবার একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিরাজ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

 

 

রাইজিংবিডি/বরগুনা/১০ আগস্ট ২০১৫/রুদ্র রুহান/দিলারা/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়