ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

মাদক নির্মূলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার দাবি এরশাদের

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২২, ২৩ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাদক নির্মূলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার দাবি এরশাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : মাদক নির্মূলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আগামী সংসদ অধিবেশনে আইন পাস করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

বুধবার কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ইফতার মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, সারা দেশ থেকে মাদক নির্মূল করতে হলে মাদকের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আগামী সংসদেই আইন পাস করতে হবে। প্রয়োজনে মাদক ব্যবসায়ী, মাদকের জড়িতদের বিচারে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। তাহলে মাদকের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে।

মাদক নির্মূলের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সামলোচনা করেন প্রাক্তন এই রাষ্ট্রপতি। একই সঙ্গে মাদক ব্যবসার জন্য অভিযুক্ত সরকারি দলের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি গ্রেপ্তার না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।

আব্দুর রহমান বদির নাম উল্লেখ না করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, মাদক নির্মূলের নামে বন্দুকযুদ্ধে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। মাদক নির্মূলের নামে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা কারা আমরা জানি না। অথচ মাদক সম্রাট তো সংসদেই আছে। তাদেরকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝোলান।

তিনি বলেন, এভাবে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করতে পারেন না। প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিকভাবে বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। কোথাও এর নজির নেই। বিশ্ব এটা মেনে নেবে না। বন্দুকযুদ্ধে যারা হত্যা হচ্ছে, তারা আসলেই মাদক ব্যবসায়ী কিনা তা কেউ খতিয়ে দেখতে পারছে না।’

সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বলেন, ঢাকা এখন যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে। যানজটের কারণে প্রতিদিন ৫১ লাখ কর্মঘণ্টা অপব্যয় হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছ দেশ। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে ঢাকাকে যানজট মুক্ত করবে এবং দেশের মানুষকে অন্যায়, অবিচার থেকে মুক্তি দেবে।

ইতফার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, তাজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এস এম ফয়সল চিশতী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, মো. নোমান এমপি, নাজমা আকতার, ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী, রিন্টু আনোয়ার, সেলিম উদ্দিন এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, খন্দকার ছালাম, নুরুল ইসলাম নুরু, জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফুর রহমান খান, আলমগীর শিকদার লোটন, সরদার শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম রাজু, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, শেখ আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, শফিকুল ইসলাম শফিক, জহিরুল আলম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক ভূইয়া, মোবারক হোসেন আজাদ, মনিরুল ইসলাম মিলন, আমিন উদ্দিন আহমেদ ডালু, ফখরুল আহসান শাহাজাদা, আবদুল হামিদ ভাসানী, নির্মল দাশ, মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মে ২০১৮//রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়