ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নোবেলজয়ী সাহিত্যিক সোয়েতলানার সাক্ষাৎকার

মাহামুদ হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ১০ অক্টোবর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নোবেলজয়ী সাহিত্যিক সোয়েতলানার সাক্ষাৎকার

সোয়েতলানা অ্যালেক্সিয়েভিচ

মানুষ নিয়ে আমি আশাবাদী : সোয়েতলানা অ্যালেক্সিয়েভিচ

 

মানুষের মধ্যে সুক্ষ্মাতি সুক্ষ্ম পার্থক্যগুলো বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য আমি জীবন খুঁজে চলেছি। কারণ জীবন সম্পর্কে আমার আগ্রহ শুধুমাত্র কোন একটা ঘটনা হিসেবে নয়, শুধুমাত্র যুদ্ধ নয়, শুধুমাত্র চেরনোবিল নয়,এমনকি শুধুমাত্র আত্মহত্যা কেন্দ্রিক কোন বিষয় নয়। আমার আগ্রহ আসলে আমাদের সময়ে মানব জাতির ক্ষেত্রে কি ঘটে সেটা নিয়ে। মানুষ কীভাবে আচরণ করে এবং প্রতিক্রিয়া দেখায়। জৈবিক মানবের কতোটুকু তার মধ্যে বিদ্যমান, তার সময়ের মানবকুলের কতোটুকু তার মধ্যে বিদ্যমান, মানবের কতোটুকু মানব তার মধ্যে বিদ্যমান।কথাটি বলেছেন সোয়েতলানা অ্যালেক্সিয়েভিচ।

এ বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার আগে ২০১৩ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তৎপরবর্তী সময়ের কথা লেখার জন্য ‘পিস প্রাইজ অব দি জার্মান বুক ট্রেড ২০১৩’ পুরস্কার পান বেলারুশি এই লেখক। লেখকের অনুপ্রেরণা এবং তাঁর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত ভাবনা সম্পর্কে জানতে তাঁর মুখোমুখি হয়েছিলেন ডয়েচ ভেলের রিপোর্টার অ্যালেক্সান্ড্রা ফন নামেন।

`শান্তির জন্য লেখা: কলম কতোটা শক্তিশালী?` শিরোনামে এই সাক্ষাৎকারটি ডয়েচে ভেলে প্রকাশ করে ১২ অক্টোবর ২০১৩। অনুবাদক মাহামুদ হাসানের ভাষান্তরে সাক্ষাৎকারটি রাইজিংবিডি ডটকমের পাঠকের জন্য প্রকাশ করা হলো।

ফন নমেন: একটা ভালো জীবনের আশায় এই মানুষগুলো তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়েছিল। কিন্তু তারা এখন খুবই হতাশ। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন নিয়ে কথা বলতে গেলে লেখকরা কি হৃদয়বিদারক বই লেখা ছাড়া আর কিছু খুঁজে পান না?

অ্যালেক্সিয়েভিচ: আমার অনেকগুলো বইয়ের মধ্যে একটা বই ‘সেকেন্ড হ্যান্ড টাইম’ এবং সেই যুগ সম্পর্কে এটা একেবারেই আমার নিজের অনুসন্ধিৎসু বিশ্লেষণ। এই ধরনের বই এখনকার দিনে দরকার কারণ আমরা পরাজয়ের স্বাধীনতা নিয়ে বসবাস করেছি। আজকে আমরা যা হয়েছি, সেটা কখনোই হতে চাইনি। গত ৩৫ বছর ধরে আমি এই বিশাল দেশটির ইতিহাস নিয়ে কাজ করছি। আর আমার মতে লেখকদের এমন বই লেখা কর্তব্য, হোক সেটা রাশিয়ান, বেলারুশি বা সোভিয়েত পরবর্তী সময়ের উপর। আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো বুঝতে না পারি, তাহলে আমাদের অতীতকে আমরা কখনোই মোকাবেলা করতে পারবো না।

ফন নমেন: এখন আমি ‘সেকেন্ড হ্যান্ড টাইম’ পড়ছি এবং নিজেকেই প্রশ্ন করছি, মানুষ কীভাবে এসব ভয়ঙ্কর দিন পার করেছে। স্ট্যালিনের সময়ে খুন,দুর্ভিক্ষ,অর্থনৈতিক মন্দা এসব কিছুর মধ্যে তাদের আইন-কানুন, রাষ্ট্রের ভেঙে পড়া অবস্থা হয়েছিল।

অ্যালেক্সিয়েভিচ: কিছুদিন হলো আমার বাবা মারা গেছে। তার বয়ছ ছিল ৮০ বছর। প্রায়শই আমিও নিজেকে একই প্রশ্ন করি, সে কীভাবে এসব পার করেছে? সে যখন ছাত্র ছিল এবং বিরতির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত গিয়েছিল, তখন সেখানে ৪০ জন প্রফেসরের মধ্যে মাত্র ২জন বর্তমান ছিলেন। তখন ডাক পরেছিল এবং সে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। তারপর চেরনোবিলে চলে এসেছিল। সে আর মা বেলারুশে থাকত। মা অন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং আমার বোনটিও মারা গিয়েছিল। আমার বাবা এতোসব কিছুর মধ্যে দিয়ে বেঁচে ছিল। এবং একই সাথে সে বাইরে যেতে পছন্দ করতো। ভালোবাসতো মাছ মারতে, সুন্দরী নারী, আর বই। মানুষ কি কি যে উপভোগ করতে পারে সেটা ভাবতেই ভালো লাগে। এসবের মধ্যে একমাত্র যে ব্যাপারটা আমাকে কষ্ট দেয় তা হল- এতোসব ভোগান্তি থেকে কেন আমরা কিছু শিখিনি? আমি আর দাস হয়ে থাকতে চাই না, কেন এই কথাটি আমরা বলতে পারি না? বারবার কেন আমাদেরকে ভোগান্তি পোহাতে হয়? কেন এই বোঝা আমাদেও টানতে হয় আর কেনই বা এটা আমাদের নিয়তি?

ফন নমেন: কোন উত্তর আছে আপনার কাছে?

অ্যালেক্সিয়েভিচ: না, আমার কাছে এর কোনো উত্তর নেই। কিন্তু আমি চাই আমার বইগুলো পাঠক তাদের নিজেদের জন্য এই প্রশ্নগুলো করতে উৎসাহিত করুক।

ফন নমেন: বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং এ সময়ের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রনেতা যেমন রাশিয়ার পুতিন, বেলারুশের লুকাশেঙ্কো এবং ইউক্রেইনের ইয়ানুকোভিচ- এসব নিয়ে কথা বলা যাক। এসব কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যাবস্থা কি সত্যি সত্যিই কোন সমকালীন ঘটনা, নাকি সোভিয়েত ইতিহাসের যৌক্তিক ফলাফল?

অ্যালেক্সিয়েভিচ: কয়েদীদের ক্যাম্পে জন্ম নেয়া কোন মানুষ শুধুমাত্র কয়েদী ক্যাম্পেই বেঁচে থাকতে পারে। তারা আর কিছু জানে না। এখন আমরা যেটাকে বিপ্লব বলে জানি সেটা ছিল আসলে গর্ভাচেভ আর মুষ্টিমেয় কিছু বুদ্ধিজীবির কাজ। একটা অপরিচিত দেশে সকাল বেলা উঠে বিশাল আকারে কুচকাওয়াজ করা ছাড়া তারা আর কিছুই করতে জানতো না। এমনকি আজকের দিনেও আমরা জানি না কী করতে হবে কারণ আমরা কয়েদীদের ক্যাম্পে বসবাস করতাম। আজ  তুমি কিছু একটা করতে পারো, এবং আগামীকাল অন্য কিছু। প্রত্যেকেই সেই একই অসাড় জীবন যাপন করছে এবং অনেকে আমাদের আজকের এই কঠিন জীবন মেনে নিয়েছে। কারণ মানুষ এর বাইরে আর কোন কিছুই জানে না। এমনকি জরিপ মতে তরুণরা স্ট্যালিনকে আমাদের মহান এক নেতা হিসেবে দেখে। তারা সমাজতন্ত্র পছন্দ করে এবং সেই শক্তিশালী হাতও যেটা শক্তভাবে শাসন করেছিল। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়।

ফন নমেন: আপনার নিজ দেশ বেলারুশে আপনার বই নিষিদ্ধ। আর অনেকদিন ধরে পশ্চিমে থাকার পরও আপনি সেখানে ফিরে যেতে মনোস্থির করেন।কেন?

অ্যালেক্সিয়েভিচ: আমি অস্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করছিলাম। কখনোই আমি আমার দেশ ত্যাগ করতে চাইনি। চিরস্থায়ীভাবে তো কখনোই নয়। যেসব বই লিখি, সেসব কেবল আমার বাড়িতে বসেই আমি লিখতে পারি। কারণ সেখানে আমার চারপাশে কি ঘটছে সে সম্পর্কে আমি সচেতন থাকি। সেখানে রাস্তাঘাটে, ক্যাফেতে বা প্রতিবেশীর বাড়িতে মানুষ কী নিয়ে কথা বলছে সেসব শুনতে পাই। আমি সবসময় এসব শোনার জন্য কান পেতে থাকি। যদি এসব শুনতে না পেতাম তাহলে আমার বইগুলো লেখাই হতো না। সুতরাং স্থায়ীভাবে চলে যাওয়া কখনোই আমার পছন্দের তালিকায় ছিল না। তাছাড়া সেখানে আমার নাতনীর নাতনী আছে যার বয়স এখন ৮ বছর। আমার বাবা-মা সেখানে মারা গেছে এবং আমি তখন সেখানে ছিলাম না। তাই আমি আমার বাড়িতে ফিরে যেতে চাই। আর একনায়কতন্ত্র সম্পর্কে দুঃশ্চিন্তা বলতে এমন যে- এটা আরো অনেক অনেক দিন পর্যন্ত থাকবে।

ফন নমেন: জার্মান বুক ট্রেড থেকে যে পিস পুরস্কার পাচ্ছেন, আপনার কাছে এবং আপনার দেশে এর অর্থ কি?

অ্যালেক্সিয়েভিচ: শুনেছি এটা আমাকে কিছু মাত্রায় নিরাপত্তা দেবে, যদিও যে কোন একনায়কতন্ত্রের কাছেই এটা অরক্ষিত। সম্প্রতি শত শত তরুণকে জেলে ভরে রাখা হয়েছে। কারণ তারা শুধুমাত্র অন্যরকম একটা দেশে থাকতে চেয়েছিল। আরো শুনেছি যে, এই সব আন্তর্জাতিক মনোযোগ তাদেরকে কিছুটা সাহায্য করবে। বুদ্ধিজীবিদের বুদ্ধি তাদের এসব দিন ক্ষতম করবে। তারা আর কিছু করতে জানে না। সুতরাং তাদের কাছে এটা বিশাল পাওয়া।

ফন নমেন: কোন একসময় আপনি বলেছিলেন যে, পশ্চিম এবং ইউরোপের ওপর আপনি হতাশ। কেন?

অ্যালেক্সিয়েভিচ: আমি যা বলেছিলাম তার অর্থ এই যে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর ব্যাপারে পশ্চিমের অবস্থান নড়বড়ে। প্রথমে তাকে চাপে রাখা হয়েছিল, কিন্তু এখন হঠাৎ করেই তাকে ইতালি এবং প্রাগে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পশ্চিমা রাজনীতিকরা আবার তার সাথে কথা বলছেন। এটা জানা সত্ত্বেও যে, সবাই জানে তার কাছে এটা একটা খেলা, এবং সে আবারও তাদেরকে ধোঁকা দেবে। রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক অবনতি হলে সে পশ্চিমে ঝুঁকে পড়ে। আবার রাশিয়ার সাথে সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে সে এদিকে ঝুঁকে পড়ে। সে একটা লোক দেখানো ভৌগলিক খেলা খেলছে। আমার মতে পশ্চিমের উচিৎ তার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া।

ফন নমেন: আপনি বলেছেন যে আপনার কাজের জন্য বেলারুশে ফিরে যাওয়া আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গল্প বলার ক্ষেত্রে একটা আলাদা ঢঙ আছে আপনার। ভয়েসেস অব চেরনোবিল, আপনি যেখানে একাই গল্প বলার বদলে কথপোকথন ব্যবহার করেছেন। এটা কোথা থেকে পেলেন?

অ্যালেক্সিয়েভিচ: আমার শৈশব থেকে এটা পেয়েছি। আমি একটি গ্রামে বড় হয়েছি এবং সবসময় মহিলাদের গল্প বলতে শুনেছি। যুদ্ধ পরবর্তী নারীদের গল্প। তারা যেসব বলতো সেই গল্পগুলো আমাকে বিমোহিত করতো। অনেক গল্প ছিল যেগুলো আমি কখনোই কোন বইতে পেতাম না। কোরাসের মতো সেগুলো আমার মনে আটকে ছিল। তাই আমি সেই তিক্ত সত্যগুলো লিখে ফেলতে চেয়েছিলাম। ঠিক যেমন করে আমি তাদের মুখ থেকে শুনেছিলাম। আর এভাবেই সেই ভাবনার জন্ম হয়েছিল।

ফন নমেন: একটা লোককথা আছে যেটা সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে- শয়তান কখনো একজনের ঘাড়ে চেপে আসে না। এই সত্য শুধু স্ট্যালিন সম্পর্কেই খাটে না, একই কথা পরিবারগুলোর জন্যও বলা চলে। এটাও কি সোভিয়েত পরবর্তী যুগের ট্র্যাজেডি?

অ্যালেক্সিয়েভিচ: তুমি জানো, বাড়িতে সবাই বলে যে, এটা ছিল স্ট্যালিনের ভুল। কিন্তু যখন লাখ লাখ মানুষ খুন হয়েছিল, সেখানে অবশ্যই লাখ লাখ গুপ্তচর ছিল যারা মানুষগুলো সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিল। তারা সবাই সাধারণ মানুষ ছিল- প্রতিবেশী, বন্ধু এবং একসাথে চলাফেরা করা মানুষ। তাদের উল্লেখ করা এসব কথা এক বালক ও তার ভাইয়ের একটা গল্পের কথা মনে করিয়ে দেয়। যেখানে তাদের সুন্দরী চাচি তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তারপর বালকটি অতীত সময়ে তার চাচির কথা চিন্তা করে এবং চাচির গলার সুরেলা আওয়াজ এবং লম্বা চুলের কথা তার মনে করতে পারে। তারপর, হঠাৎ করেই সে দেখতে পায় যে মহিলাটি তার ভাই বনে গেছে। সুতরাং শয়তানের একক কোন তাঁবেদার নেই। ছোট ছোট অনেক তল্পিবাহক আছে। কিন্তু এটা শুধুমাত্র সোভিয়েত পরবর্তী ফেনোমেনন বলে আমার মনে হয় না। এটা মানুষের প্রকৃতি। হান্না রেন্ড (ঐধহহধয অৎবহফঃ) একই কথা বলেছেন ঞযব নধহধষরঃু ড়ভ বারষ ধহফ বারষ ঃরসবং। মানুষ শুধুমাত্র ব্যতিক্রম ক্ষেত্রেই উচ্চ নৈতিকতা প্রদর্শন করে। ইতিহাস থেকে উদাহরণ দিতে গেলে বলতে জার্মানি এবং ইতালির মুসোলিনির কথা বলতে হয়।আমার বই এমন এক সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায় যেটার ভিত্তি অন্ধকারের উপর। মানুষ এবং মানবতার পুরুত্ব একটা আপেলের খোসার মতোই গভীর।

ফন নমেন: ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার আশা কী?

অ্যালেক্সিয়েভিচ: মানুষ নিয়ে আমি আশাবাদী। যদি মানুষের প্রতি বিশ্বাস না থাকতো, তাহলে একটা অর্তনাদ ছাড়া আমার আর কিছুই থাকতো না। এসব কিছু শোনা এবং সেসব নিয়ে লেখা খুবই কষ্টকর। রাশিয়ানরা যখন আফগানিস্তানে ছিল, তখন আমি কাবুলে একটা হাসপাতাল দেখতে গিয়েছিলাম যেখানে হাত-পা ছাড়া মানুষগুলো পড়ে ছিল। আমি সেখানে একটি বালককে দেখতে পেলাম এবং তাকে একটি খেলনা ভাল্লুক দিলাম। বালকটির মা তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল এবং বালকটি দাঁত দিয়ে সেই ভাল্লুকটি ধরে ছিল। আমি তার মাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে দাঁত দিয়ে ওটা ধরে আছে কেন? তার মা কম্বলটি সরিয়ে দিলে আমি দেখতে পেলাম যে বালকটির কোন হাত এবং পা নেই। বালকটির মা বলল, তোমাদের রাশিয়ানরা ওর এই অবস্থা করেছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য দেখা খুবই কষ্টকর আর বেদনাদায়ক ছিল। কিন্তু আমাকে দেখতে হয়েছিল। সুতরাং আমি বলবো মানুষের উপর বিশ্বাস না হারাতে।

ফন নমেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

ভাষান্তর: মাহামুদ হাসান।

 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ অক্টোবর ২০১৫/তাপস রায়

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়