ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে না, গাংনীতে হবে

মহাসিন আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৯ নভেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে না, গাংনীতে হবে

(ওপরে বাঁ থেকে) আসাদুজ্জামান বাবলু, বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ, ডা. রবিউল ইসলাম, আহম্মদ আলী। (নিচে বাঁ থেকে) মোশারফ হোসেন, আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডার ও মো. মোহসীন আলী।

মহাসিন আলী, মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলায় রয়েছে দুটি পৌরসভা। এর মধ্যে মেহেরপুর পৌরসভা ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত আর গাংনী পৌরসভাটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত। কিন্তু সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম মামলা করায় আপাতত মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে না। তবে প্রথম সারির নির্বাচনের সঙ্গে গাংনী পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে।

 

এই প্রথম দলীয় ব্যানারে পৌর মেয়র পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণায় বড় দুটি  রাজনৈতিক দলের মধ্যে বইছে নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থী বাছাই নিয়ে চলছে দেন-দরবার। অনেকে জাতীয় নেতাদের ছবি সংবলিত নানা রঙের ছোট-বড় ফেস্টুন পোস্টার লাগিয়ে পৌরবাসীর দৃষ্টি আর্কষণ করছেন। বাড়ি বাড়ি চলছে গণসংযোগ। শহর ও নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ণস্থানে চলছে শোডাউন, সভা-সমাবেশ। অনুগত জনবলের বহর দেখিয়ে নিজেকে যোগ্য প্রার্থী প্রমাণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও একক প্রার্থী দাঁড় করাতে হিমশিম খাবে বড়বড় রাজনৈতিক দলগেুলো, এমনটাই দাবি পৌরসভার সচেতন ভোটারদের।

 

১৭.১২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় গাংনী পৌরসভা। পৌর এলাকার মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৪১৬ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার আট হাজার ৯৩২ জন ও পুরুষ ভোটার আট হাজার ৪৮৪ জন। মেহেরপুর পৌরসভার চেয়ে গাংনী পৌরসভার নির্বাচন অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। কারণ মেহেরপুর সদরের চেয়ে গাংনী সংঘাতপূর্ণ  এলাকা। গাংনী পৌরসভা এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রাধান্য অনেকটা সমানে সমান। তবে সব সময় যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের দাপটে অন্য দল কোনঠাসা অবস্থায় থাকে।

 

বিএনপি থেকে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ, জামায়াত থেকে গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমির ডা. মো. রবিউল ইসলাম ও প্রাক্তন পৌর চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের জামাতা মাহাবুবুর রহমান স্বপন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ থেকে গাংনী পৌরসভার বর্তমান মেয়র আহম্মদ আলী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে দুই মেয়াদে তিনি মেয়র ছিলেন। এছাড়া নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশারাফুল ইসলাম ভেন্ডার ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. মোহসীন আলী।

 

প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ খালেক বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’

 

গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জান খোকন বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। কাজেই যে প্রার্থী জনগণকে সেবা দিতে পারবে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

 

সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, ‘পৌর নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে ভুল করলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তা মেনে নেবে না। সৎ, যোগ্য, দলের প্রতি আনুগত্যশীল প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে।’

 

বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেরপুর-২ আসনের প্রাক্তন এমপি আমজাদ হোসেন বলেন,  ‘বিএনপিতে তেমন কোনো মতভেদ নেই। বড় দলে দুই-একটি মতভেদ থাকতে পারে। তবে দলীয় কোন্দল নেই। গাংনী পৌর নির্বাচনের বিষয়ে কেন্দ্র কি সিদ্ধান্ত দেয় সেদিকে তাকিয়ে আছি। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পেলে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে দলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

 

গাংনীতে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে ডা. রবিউল ইসলামের নাম ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানালেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলারা তাজউদ্দিন খান।

 

 

 

রাইজিংবিডি/মেহেরপুর/২৯ নভেম্বর ২০১৫/মহাসিন আলী/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়