ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মৌ’র প্রথম অ্যালবাম ‘আমি এমনই’

আমিনুল ই শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মৌ’র প্রথম অ্যালবাম ‘আমি এমনই’

জান্নাতুল ফেরদৌস মৌ

বিনোদন ডেস্ক : জান্নাতুল ফেরদৌস মৌ। চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় ‘গানের পাখি’ নামে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। তারপর অনেকটা সময় পার হয়েছে। তবে থমকে থাকেনি মৌ’র সংগীতচর্চা। দেশ থেকে এখন ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশে তার সুরের মুর্ছনা ছড়িয়েছেন। দেশের প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরছেন তিনি। মৌ বর্তমানে আমেরিকার ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন।

সম্প্রতি মৌ মেলোডির আমি এমনই শিরোনামে একক অডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন এম.স্কয়ার। এটি মৌ’র এটি প্রথম একক অ্যালবাম। ৯টি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে অ্যালবামটি। এরমধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের দু’টি, রাধা রমণের একটি, পল্লী কবি জসিমউদ্দিনের একটি গান রয়েছে। এ ছাড়াও অ্যালবামের শিরোনাম ‘আমি এমনই’সহ তিনিটি গান লিখেছেন ও সুর করেছেন রাজীব ইসলাম। অ্যালবামটি বাংলাদেশ, আমেরিকা, অস্ট্রিয়া ও স্পেনসহ বেশ ক’টি দেশে এক যোগে প্রকাশিত হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

অ্যালবামের প্রত্যেকটি গানই অত্যন্ত সুরেলা। বিশেষ করে রাধা রমণের লেখা ‘ভ্রমর কইও গিয়া’ রবীন্দ্রসংগীত ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’, কাজী নজরুল ইসলামের ‘শ্যামা তন্বী আমি মেঘবরণা’ কবি জসিম উদ্দীনের ‘তুমি দাও দেখা দরদী’ গানগুলো এর আগে যারা শুনেছেন তাদের কাছে মৌ’র গাওয়া এ গানগুলো নতুন করে উদ্দিপনা সৃষ্টি করবে।

সংগীতজীবনের প্রথম অ্যালবাম সম্পর্কে মৌ বলেন,‘যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে অ্যালবামটি করতে পারিনি। এটি আমার প্রথম অ্যালবাম। অনেক ত্রুটি রয়ে গেছে। তবুও আশা করছি, শ্রোতারা সব ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আমার অ্যালবামটি গ্রহণ করলে নতুন করে আরো ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করব। সংগীতজীবনে যতটুকু সাফল্য এসেছে তার পেছনে আমার মা, পরিবারের সদস্য এবং আমার সংগীতের শিক্ষকদের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। সংগীতজীবনে সাফল্যের জন্য প্রিয় শ্রোতাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।’

টাঙ্গাইলের মেয়ে হলেও রাজধানী ঢাকাতেই তার জন্ম ও বেড়ে উঠা। পড়ালেখার পাশাপাশি সংগীত চর্চাও সমান তালে চালিয়ে গেছেন মৌ। বাবা আব্দুর রশীদ বীমা কর্মকর্তা মা হাসনে আরা রশীদ গৃহবধূ। ছোটবেলা থেকেই মৌ’র গানের প্রতি আসক্তি ছিল। মায়ের কোলে বসে টেলিভিশনে যে সময় মৌ যে গান একবার শুনে হুবহু তা গাইতে পারতেন। তার এ গুণ দেখে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াকালে স্কুলের শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় মৌ জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রথমবারই তিনি জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর তাকে আর পেছনের ফিরে তাকাতে হয়নি। তার ভান্ডারে রয়েছে স্বর্ণপদক। এ ছাড়াও  জাতীয় পর্যায়ে তিনি আটবার পুরস্কৃত হয়েছেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়