ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথফেস্ট’

হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথফেস্ট’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথফেস্ট ২০১৬’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ)।

প্রতিযোগিতামূলক এই উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘নলেজ ফর ট্রান্সফরমেশন’ বা ‘রূপান্তরের জন্য জ্ঞান’। এর মাধ্যমে বিভাগীয় পর্যায়ের শিক্ষিত নারী-পুরুষদের প্রশিক্ষণ এবং উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া প্রতিযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া ধারণাগুলো থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিদের ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ই-টু-কে প্রকল্পের আওতায় সহায়তা দেওয়া হবে। থাকবে প্রশিক্ষণ ও ঋণপ্রাপ্তির সুবিধা।

বুধবার বিকেলে রাজধানীল হোটেল সোনারগাঁওয়ের মেঘনা হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই উৎসব আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ূয়া যুবাদের উৎসাহ দিতেই বিবিএফ-ডিসিসিআই এ উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে তারা বৈশ্বিক বাজারের জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারেন।  সারা দেশে সাতটি বিভাগের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবে অংশ নিতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হোসেন খালেদ, এডিসন গ্রুপের এজিএম জাহেদুল ইসলাম, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন এম মাহবুব রহমান, বিবিএফের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম এবং সজীব গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাসিব-বিন-সজীব উপস্থিত ছিলেন।

সাতটি বিভাগে যথাক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও রংপুরে দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ইয়ুথফেস্ট-২০১৬’ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে প্রত্যেক বিভাগের কর্মসূচিতেই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা, সিরিজ বক্তৃতা, নলেজ সেশন বা জ্ঞানের অধিবেশন এবং সেরা বিজনেস ও ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিসের প্রদর্শনী থাকবে।

আঞ্চলিক রাউন্ডগুলোতে লেকচার সিরিজ বা সিরিজ বক্তৃতা ও নলেজ সেশনগুলোর মধ্য থেকে দুটিকে বিশেষভাবে হাইলাইট করা হবে। এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সংযোগ ঘটবে। ফলে তারা বিশেষজ্ঞদের সামনে নিজেদের অন্তর্দৃষ্টি ও চিন্তাশীল অভিব্যক্তি প্রকাশের সুযোগ পাবে।

এই উৎসবে আঞ্চলিক উন্নয়নের রুপকল্প তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থী যুবাদের কাছ থেকে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা সৃষ্টি ও সামাজিক ইস্যুগুলোর সমাধানের উপায় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে।

প্রতিযোগিতা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হচ্ছে, সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধান, প্রযুক্তি,ব্যবসায়িক উদ্যোগসহ ২০২৫ সালে আঞ্চলিক অর্থনীতির অবস্থা কেমন হতে পারে এবং কী কী অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে সেগুলো চিহ্নিত করে লিখিত পূর্বাভাস উপস্থাপন করা হবে।

‘নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগ’ ক্যাটাগরিটি বিশেষভাবে নেওয়া হয়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে। অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া ব্যবসায়িক ধারণাগুলো থেকে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হবে। এর পরে তারা যাতে নিজেদের ব্যবসায়িক ধারণাগুলোর আলোকে কোনো ব্যবসা শুরু করতে চায়, সে বিষয়ে ডিসিসিআই প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ‘ডেভেলপিং এ বিজনেস প্ল্যান’ বা ‘নতুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ধারণা সৃষ্টি’র বিষয়ে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবে। এই প্রশিক্ষণ দেবে ডিসিসিআই। আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ী দলগুলো আগামী এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।

চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা ‘স্পাইক এশিয়া’ নামক দক্ষিণ এশিয়ায় সৃজনশীলতার বৃহত্তম উৎসবে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে।

উৎসব আয়োজনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে ডিসিসিআই। এতে সহায়তা দেবে সিম্ফনি। এছাড়া জনসংযোগ পার্টনার হিসেবে রয়েছে মাস্টহেড পিআর।

 

 

 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/হাসান/রহমান

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়