ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রাজধানীতে ফিটনেসহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান

জিসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ৫ আগস্ট ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজধানীতে ফিটনেসহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মহাসড়কগুলোতে কোনো প্রকার ফিটনেসহীন গাড়ি চলাচল করতে পারবে না মর্মে গত ৩ আগস্ট হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন। সেই অনুযায়ী মহাসড়কগুলোর পাশাপাশি রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতেও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ অভিযানে নামে। অভিযানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

 

বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর বনানী-কাকলী সড়কে এ অভিযান শুরু হয়। ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের সহকারী কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি জানান, ট্রাফিক বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমানের নেতৃত্বে বনানীতে অভিযান চলছে।

 

অভিযানস্থল থেকে ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান জানান, বনানীতে অভিযানে এক ঘণ্টার মধ্যে তিনটি ফিটনেসহীন গাড়িকে আটক করা হয়েছে। গাড়িগুলো হলো- বলাকা পরিবহণ, ভিআইপি-২৭ পরিবহণ এবং গাজীপুর পরিবহণ। এই গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এদের গিয়ার, ধোঁয়া বেরোনোর পাইপ, গ্যাস সিলিন্ডার, লুকিং গ্লাস না থাকা, সামনের গ্লাস চূর্ণ-বিচূর্ণ, জানালার গ্লাস না থাকা ইত্যাদি নষ্ট থাকার ফলে গাড়িগুলোকে অনেক আগেই বিআরটিএ অফিস থেকে লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। এরপরেও গাড়িগুলো রাস্তায় চলাচল করছে। রাস্তার কোথাও গিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের একদিকে ভোগান্তি হচ্ছে, অন্যদিকে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা তো আছেই।’

 

এদিকে এসব অভিযানের ফলে রাজধানীতে বাসের সংখ্যা কমে গেছে। এতে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে।

 

যাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়, একদিকে রাস্তাগুলোতে তিনচাকার গাড়ি বন্ধ করেছে সরকার। যাত্রীরা বাসগুলোতে এমনিতেই গাদাগাদি করে চলাচল করছে। এখন এসব গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালালে জনদুর্ভোগ বাড়বে।

 

গত সোমবার মোটর ভেহিকেল অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩ আইনের আওতায় পড়ে না, কিন্তু মোটরযান হিসেবে চলাচল করে, এমন সব যানও বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন। ৩০ দিনের মধ্যে আদালতের এ আদেশ পালন করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

 

পাশাপাশি এ বিষয়ে আদালত রুলও জারি করেছেন। রুলে ভুয়া লাইসেন্সের বিষয়টি জানার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

 

ওই দিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহণ (যোগাযোগসচিব) সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ আগস্ট ২০১৫/জিসান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়