ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাত পোহালেই ভোট, কে হচ্ছেন চট্টগ্রামের নগরপিতা

রেজাউল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ২৭ এপ্রিল ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাত পোহালেই ভোট, কে হচ্ছেন চট্টগ্রামের নগরপিতা

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়ামে ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : দিন গণনা শেষ। রাত পোহালেই ভোট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের। প্রায় ৪০ দিনের সরব নিরব প্রচার-প্রচারণা শেষে প্রার্থীদের অগ্নিপরীক্ষা আগামীকাল ২৮ এপ্রিল।

চট্টগ্রামের ১৮ লাখ ভোটারদের রায়ে কে হতে যাচ্ছেন বন্দরনগরীর নগরপিতা। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ১২ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১৭ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬২ জন প্রার্থী আগামীকাল মূল নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে। মেয়র পদে ১২ জন প্রার্থী থাকলেও ভোটারদের অভিমত মূল লড়াই অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের মধ্যে। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে কেউ একজন চট্টগ্রাম মহানগরীর চাবি হাতে পাবেন বলে ভোটারদের ধারণা।

চট্টগ্রাম রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন ভোটার ভোটারাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার নয় লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ জন ও মহিলা ভোটার ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬ জন। চট্টগ্রামে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭১৯টি। এর মধ্যে ৫৯৫টি ভোটকেন্দ্রেকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অথবা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তাসহ বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণের জন্য ৭১৯টি কেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৯০৬ সহকারী প্রিজাইডিং ও নয় হাজার ৮১২জন পোলিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার মিলিয়ে ১৫ হাজার ৪৩৭ জন কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।

চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন রাইজিংবিডিকে জানান, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জাম ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর কাজ চলছে। কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার ও উপকরণ প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের হাতে আজকের মধ্যেই তুলে দেওয়া হবে। বিকেলের মধ্যে পুলিশি নিরাপত্তায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে যাবে।
 
এদিকে প্রায় ৪০ দিনের প্রচার-প্রচারণা শেষে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শান্ত নিস্তব্দ পরিবেশ বিরাজ করছে। নগরীর আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে র‌্যাব, বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে র‌্যাবের ২টি করে টহল দল টহল দিচ্ছে। টহলে রয়েছে ২০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ৬ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, নির্বাচনের দিন পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৭ হাজার ৫৫০ জন সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও ৩০ প্লাটুন বিজিবি, ৩ প্লাটুন কোস্ট গার্ড, প্রতিটি ওয়ার্ডে র‌্যারেব দুটি করে মোবাইল টিম একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করবে। র‌্যাবের পাঁচ শতাধিক সদস্য নির্বাচনের আগের দিন থেকে নগরীতে দায়িত্ব পালন করবে। থাকবে ১৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ১০জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৮২ জন ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ টিম মাঠে থাকবে। ৩০ প্লাটুন বিজিবির ৯০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টহলে থাকবে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে পুলিশ বাহিনী। এ ছাড়া শনিবার রাত ১২টা থেকে নগরীতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত ১২টা থেকে নগরীর অভ্যন্তরে টেক্সিক্যাব, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, প্রাইভেট কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, ইজিবাইক, লঞ্চ, স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।  

 

 

 

 


রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২৭ এপ্রিল ২০১৫/রেজাউল/দিলারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়