ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

এক যুগ পর ‘শিশুমেলা’ দখলমুক্ত

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২০, ২৬ নভেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এক যুগ পর ‘শিশুমেলা’ দখলমুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় এক যুগ পর দখলমুক্ত হলো রাজধানীর শ্যামলীর শিশু বিনোদন কেন্দ্র ‘শিশুমেলা’। দখলমুক্ত করা শিশুমেলাটি শিগগিরই জানসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে জানিয়েছে ডিএনসিসি।

 

শনিবার শিশুমেলার বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং দুটি প্রবেশপথ সিলগালা করার মাধ্যমে দখলমুক্ত করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজিদ আনোয়ার।

 

উচ্ছেদকালে ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক বলেন, যারা এভাবে এতকাল শিশুমেলা অবৈধ দখলে রেখেছিল, তাদেরকে দুর্বৃত্ত বলা যায়। তিনি আশ্বাস দেন, ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে শিশুমেলা পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া রাজধানীতে আরো তিনটি পার্ক চালু করা হবে। এছাড়া দু’বছরের মধ্যে অর্ধশত পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর শ্যামলীতে মিরপুর রোড এবং আগারগাঁওমুখী সড়কের সংযোগস্থলে শিশুপার্ক নির্মাণ করে পরিচালনার জন্য পূর্ত মন্ত্রণালয় তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছে ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ১.৪০ একর জমি হস্তান্তর করে। ২০০২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন ‘ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস’-এর কাছে নিজ খরচে আধুনিক খেলার যন্ত্রাংশ স্থাপনের শর্তে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৬ টাকা মূল্যে তিন বছরের জন্য ইজারা দেয়।

 

মেয়াদ শেষে ২০০৫ সালে ইজারা নবায়নের জন্য পত্র প্রেরণ সত্ত্বেও ইজারাদার প্রতিষ্ঠান ইজারা নবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে ইজার বাতিল করে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু উচ্চতর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। সেই থেকে ইজারাদার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে কোনো প্রকার অর্থ প্রদান ব্যতিরেকে এতকাল ‘শিশুমেলা’ পরিচালনা করে আসছিল।

 

উল্লিখিত রিট নিষ্পত্তি শেষে ২০০৯ সালে আবারও উচ্চতর আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। বিদ্যমান মামলাটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত আছে, তবে উচ্চতর আদালতের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ নেই। এ প্রেক্ষাপটে আজ এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হলো।

 

উচ্ছেদকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরতুল্লাহ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, আইন কর্মকর্তা এসএম মাসুদুল হক, মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) লে. কর্নেল এম এম সাবের সুলতান, অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম অজিয়র রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেনসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৬/আরিফ সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়