ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বে অজুহাত খুঁজছে মিয়ানমার’

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪০, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বে অজুহাত খুঁজছে মিয়ানমার’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন বিলম্ব করতে মিয়ানমার নতুন অজুহাত খুঁজছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কোনো অবস্থাতেই রোহিঙ্গাদের স্থায়ী আশ্রয় দিতে চায় না বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে গ্রান্ড হায়াত হোটেলে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউ ইয়র্কে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দেশে ইতিমধ্যে ১৬ কোটি মানুষ রয়েছে। আমি অন্য কোনো বোঝা নিতে পারব না। আমি এটা বহন করতে পারব না। আমার দেশ এটা বহন করতে পারবে না।’

রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের নেত্রি অং সান সুচি ও দেশটির সামরিক বাহিনীর ব্যাপারে ধৈর্য্য কমে আসছে।

গত বছরের আগস্টে সেনাবাহিনীর নিধন অভিযানের মুখে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে মিয়ানমার।

ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করবে মিয়ানমার। কিন্তু এখনো সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। বরঞ্চ এখনো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে ছুটে আসছে রোহিঙ্গারা।

মিয়ানমার পাল্টা অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করছে না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সবকিছু মেনে নিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা কাজ করছে না, এটাই সমস্যা।’ তিনি বলেন, ‘সব কিছু ঠিক করা আছে। কিন্তু প্রত্যেকবার তারা নতুন অজুহাত খোঁজার চেষ্টা করছে।’

রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আবাসনের জন্য ভাষাণচরে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি সেখানে বন্যাঝুঁকি রয়েছে।

মূল ভূখন্ডে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরণের ‘কোনো সম্ভাবনা নেই এবং এটা অগ্রহণযোগ্য’ যেহেতু তারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদেরকে অবশ্যই ফিরে যেতে হবে।

পড়ুন


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়