ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

র‌্যাংকিং করায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে : অধ্যক্ষ, আনন্দ মোহন কলেজ

অহ নওরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ২৮ মে ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
র‌্যাংকিং করায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে : অধ্যক্ষ, আনন্দ মোহন কলেজ

জাতীয় জাদুঘরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন (ছবি : শাহীন ভূঁইয়া)

প্রথমবারের মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত দেশের শ্রেষ্ঠ কলেজগুলোর র‌্যাংকিং করা হয়েছে। ৩১টি সূচকের ভিত্তিতে দেশের ৬৮৫টি অনার্স ও মাস্টার্স কলেজের মধ্যে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ৬৭টি কলেজকে সেরা কলেজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। র‌্যাংকিংয়ে জায়গা করে নেওয়া কলেজগুলোকে ২০ মে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে ক্রেস্ট, পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ উপস্থিত ছিলেন। র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ অঞ্চলে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ। পুরস্কার নিতে এসে কলেজটি অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন রাইজিংবিডির মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অহ নওরোজ।  

 

রাইজিংবিডি : র‌্যাংকিং নিয়ে আপনার অভিমত কী, যদি বলতেন।

জাকির হোসেন :  প্রথমত উদ্যোগটি খুব ভালো লেগেছে। এটা সারা দেশের কলেজগুলোকে একযোগে প্রতিযোগিতায় নামিয়েছে। এটা খুব ভালো দিক। শিক্ষার নাম উন্নয়নে উদ্যোগটি অবশ্যই আমাদেরকে অনুপ্রেরণা দেবে।

 

রাইজিংবিডি : আগামীতে কলেজ নিয়ে কেমন চেষ্টা থাকবে?

জাকির হোসেন :  আগামীতে এই অঞ্চলের কলেজগুলোর মধ্যে প্রথম হওয়ার চেষ্টা করব  আমরা। এরপর টার্গেট থাকবে দেশসেরার স্বীকৃতি নেওয়ার।

 

রাইজিংবিডি : কলেজকে এগিয়ে নিতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কি?

জাকির হোসেন :  আমাদের কলেজে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। শিক্ষক এবং ক্লাস রুমের সংকট আমাদেরকে সব সময়ই ভোগায়। আমি মনে করি, এই সমস্যা উৎরে যেতে পারলে আরো নামসম্পন্ন শিক্ষাদানে আমরা আরো ভালো করতে পারব।  আমরা চাই, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হোক।

 

রাইজিংবিডি : কলেজের সমস্যা নিয়ে সরকারের প্রতি আপনার কোনো দাবি আছে কি না?

জাকির হোসেন :  দাবি তো আছেই। এ নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তারপরও বলতে চাই, সরকার যদি শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকের অভাব মেটাতে দ্রুত এগিয়ে আসে, তাহলে কজেলের সার্বিক চিত্র পাল্টে যাবে, সুন্দর পরিবেশে শিক্ষাদান নিশ্চিত করা যাবে।তবে একথা বলতে হবে, সরকার এ বিষয়ে অন্তরিক।

 

রাইজিংবিডি : আপনার কলেজের ঐতিহ্য সম্পর্কে কিছু বলুন।

জাকির হোসেন :  বাঙালি শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক আনন্দমোহন বসু ১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউশন। ১৮৮০ সালে এই ইনস্টিটিউশন কার্যক্রম শুরু করে ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুল নামে।

 

১৮৯৯ সালে ময়মনসিংহের দুটি নাগরিক কমিটি ময়মনসিংহ সভা ও আঞ্জুমানে ইসলামিয়া একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি জানায়। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আনন্দমোহন বসুর সহায়তায় ১৯০১ সনের ১৮ জুলাই সিটি কলেজিয়েট স্কুল ময়মনসিংহ সিটি কলেজ নামে শিক্ষা কার্যক্রম আরম্ভ করে। তারপর ১৯০৮ সালে ময়মনসিংহ সিটি কলেজ আনন্দ মোহন কলেজ নামে যাত্রা শুরু করে। তবে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯০৯ সালে।  বর্তমানে আনন্দ মোহন কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি ১৮টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

 

রাইজিংবিডি : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

জাকির হোসেন :  রাইজিংবিডিকেও ধন্যবাদ।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মে ২০১৬/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়