ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আজাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৭, ৩ জুলাই ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার দায়ে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকীর জামিনে মুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন। শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও পল্টন মোড়ে লতিফ সিদ্দিকীর কুশপুতুল দাহ করেন এসব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি দাবি করেন।

 

দুপুরে পৌনে ২টার দিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের  উত্তর গেট থেকে মিছিল বের করেন কয়েক শ মুসল্লি। মিছিল নিয়ে তারা দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে আবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে আসেন।

 

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী  জুমার নামাজের পর মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় অতিক্রম করার সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন ইসলামি সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। সেখানেই তারা কুশপুতুল দাহ করেন। এ সময় তারা ‘লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিতে থাকে। পরে মিছিলটি দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে আবার বায়তুল মোকাররমের দিকে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অন্য সংগঠনগুলো হলো- খেলাফতে মজলিস, নেজামে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

 

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আগামী ১৭ রমজান একই স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফি পরবর্তী সময়ে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে হেফাজতের সমর্থকরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এ এলাকায়।

 

২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে টাঙ্গাইল সমিতির মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তবলিগ জামাতের ঘোরবিরোধী। হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরব গেছে। তাদের কোনো কাম নাই। তাদের কোনো প্রোডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন করতেছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা নিয়ে ওখানে দিয়ে আসছে। অ্যাভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ লোক হজে যায়, প্রত্যেকের ৫ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।’

 

লতিফ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও কটূক্তি করেন। তার এ বক্তব্য বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় ঢাকার আদালতে বিভিন্ন ব্যক্তি এ সাতটি মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়।

 

এরপর ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ভারত থেকে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। দেশে ফেরার পরপরই ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল তার গ্রেফতার দাবি করে। ২৬ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করার পর লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করলে তিনি গত সোমবার (২৯ জুন) বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জুলাই ২০১৫/আজাদ/বাপ্পা/রফিক/কমল কর্মকার

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়