ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শীতের জনপ্রিয় কুমড়োবড়ি

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শীতের জনপ্রিয় কুমড়োবড়ি

কুমড়োবড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা

কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া : শীত আসলেই কুমড়ো বড়ির কথা মনে পড়ে যায়। সেই সঙ্গে পিঠা পায়েসতো আছেই।

এই শীতে ইতিমধ্যেই কুষ্টিয়া জেলার সর্বত্র চলছে কুমড়োবড়ি তৈরির হিড়িক। এখন এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামের প্রায় ঘরে ঘরে মৌসুমি খাদ্য হিসেবে কুমড়োবড়ি তৈরি হচ্ছে।

এই খাবারটি সারা বছরের খাদ্য হিসেবেই বেশ জনপ্রিয়। সবজি তরকারি ছাড়াও প্রায় সব তরকারিতে এই  বড়ি খাদ্য সহযোগী উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া আলাদাভাবে ভর্তা করেও কুমড়োবড়ি খাওয়া যায়।

শীত মৌসুমে এ সুস্বাদু কুমড়োবড়ি তৈরি, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত এ পরিবারগুলো শুধু শীত মৌসুমের পুরোটা সময় কুমড়োবড়ি উৎপাদন ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

বাড়ির নারীরাই মূলত বড়ি তৈরি করেন। পুরুষরা বাজারজাত করে থাকেন। বাজার থেকে মাষকলাই কিনে বাড়িতে এনে পানিতে ভিজিয়ে নরম করে পাটায় বেটে বুড়া (বয়স্ক) চালকুমড়া মিশিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাতে দেয়।বড়িগুলো সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে সেগুলোকে বাজারে তুলে বিক্রি করা হয়ে থাকে।

বাজারে কুমড়োবড়ির চাহিদা থাকায় পরিবারগুলো বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়ে থাকে। স্থানীয় বাজারে সুস্বাদু হিসেবে কুমড়োবড়ির বেশ কদর রয়েছে। ভোক্তারা বাজার থেকে কুমড়োবড়ি কিনে এনে তেলে ভেজে বিভিন্ন তরকারিতে দিয়ে রান্না করে থাকেন। কুমড়োবড়ি দেওয়া তরকারি বিশেষ স্বাদের হওয়ায় বহু মানুষ এ বড়ি পছন্দ করে থাকেন।

জেলার মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের কুমড়োবড়ি তৈরির কারিগর মেহেরুন্নেসা জানান, এই বড়ি তৈরিতে বুড়ো চালকুমড়া আর মাষকলাইয়ের ডাল লাগে। মাষকলাইয়ের ডাল ছাড়াও অন্য ডালেও তৈরি হয় এ বড়ি। রোদে মচমচে করে শুকালেই এর ভালো স্বাদ পাওয়া যায়।

একই এলাকার আয়েশা খাতুন বলেন, এই শীতের সময় বড়ি তৈরি করে থাকি। নিজেরা খাওয়াসহ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও পাঠিয়ে থাকি।

মনোয়ারা, রাবেয়া, শাহানুর জানান, অনেক পরিশ্রম জড়িত এই কুমড়োবড়ি তৈরিতে। রাত জেগে শীল-পাটায় কেজি কেজি ডাল বাটা সহজ কাজ নয়। তবুও পেটের তাগিদে অনেক কষ্ট করে আমাদের কুমড়োবড়ি তৈরি করতে হয়। শীত মৌসুমে এ বড়ি তৈরি করে সংসারে বাড়তি আয় কিছু করা সম্ভব হয়।

বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, কুমড়োবড়ি তৈরি এবং বিক্রির ব্যবসা করে শীতকালে আমাদের মোটামুটি একটা আয় হয়। বাজারে কুমড়োবড়ির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আশপাশের অনেক এলাকা থেকে বহু মানুষ আমাদের বাজার থেকে কুমড়োবড়ি কিনে নিয়ে যান।



রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/৬ ডিসেম্বর ২০১৬/কাঞ্চন কুমার/রিশিত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়