ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শুভ মহালয়ার তাৎপর্য

উজ্জল বিশ্বাস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৩৬, ১২ অক্টোবর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শুভ মহালয়ার তাৎপর্য

‘ঢাকের তালে কোমর দোলে, খুশিতে নাচে মন, তোরা বাজা কাসর, জমা আসর, থাকবে মা আর কতক্ষণ, বল দুর্গা মা কি, জয়’ কিংবা ‘পূজো পূজো পূজো, প্রেমের গন্ধ লেগেছে; তোমার আমার ভালবাসার গল্প জমেছে’ এমন হাজারো গানের কলি আমাদের দুর্গা মায়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। শরতের কাশ ফুল আর নীল আকাশে শুভ্র মেঘ বলে দেয় মা দুর্গার আগমনের আর বাকি নেই।

 

আজ সোমবার শুভ মহালয়া। শাস্ত্র মতে, মহালয়া অতি পূুণ্য তিথি। মহিষাসুরমর্দিনী মহাদেবীর আবির্ভাব ঘটে এই পুণ্য তিথিতে। মহালয়া তিথিতে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এদিন শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দেবীপক্ষ হলো অসুরের বিরুদ্ধে দেবীর সংগ্রামের পক্ষ। অসুরের বিরুদ্ধে দেবীর জয় সূচিত হয়। মহালয়ার অমাবস্যার পর শুক্লপক্ষে দেবীর পূজা শুরু হয়। মহালয়া থেকে দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। হিন্দু ধর্মালম্বীরা মহালয়ার দিনটি আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপন করছে।

 

অশুভ শক্তির বিনাশ আর ধর্ম রক্ষায় যুগে যুগে দেবতাদের আবির্ভাব হয়েছে। তেমনি অসুর কূলের হাত থেকে দেবগণকে রক্ষায় দেবী দুর্গার আগমন ঘটে। পৃথিবীতে যখনই ধর্মের গ্লানি হয় এবং পাপ বৃদ্ধি পায় তখনই দেবতারা শরীর ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। তেমনি অসুর শক্তির হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন দেবী দুর্গা।

 

অসুরদের অত্যাচারে দেবতাদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। ব্রহ্মার বর পেয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল অসুররাজ মহিষাসুর। যুদ্ধে অসুর বাহিনীর কাছে পরাস্ত হয়ে সিংহাসন হারিয়েছিলেন দেবতা ইন্দ্র। স্বর্গে দেবতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমস্যার সমাধানের জন্য ভগবান বিষ্ণুর দ্বারস্থ হন দেবতারা। কিন্তু মহিষাসুরকে রুদ্ধ করার কৌশল খুঁজে পাচ্ছিলেন না কেউই। কারণ ব্রহ্মার বর অনুযায়ী কোনো পুরুষ বা দেবতারা মহিষাসুরকে বধ করতে পারবে না। সেই কারণেই অসুর নিধনে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের তেজ থেকে জন্ম হয় মহামায়ার। ইনিই দুর্গা। একজন দেবতা দুর্গাকে অস্ত্র দিলেন, অন্যজন দিলেন বাহন। এরপর যুদ্ধে দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন। দেবী দুর্গা হলেন শক্তির রূপ। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুসারে, দেবী দুর্গা ‘দুর্গতিনাশিনী’ বা ‘সকল দুঃখ দুর্দশার বিনাশকারিণী’। দেবী দুর্গা দিব্য অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অসুর কূলকে একে একে বিনাশ করে স্বর্গ তথা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে শান্তি স্থাপন করেন।


 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ অক্টোবর ২০১৫/উজ্জল বিশ্বাস/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়