ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শৈশবস্মৃতির নদীতে ভেসে || আহমদ রফিক

আহমদ রফিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৩, ২৭ জুন ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শৈশবস্মৃতির নদীতে ভেসে || আহমদ রফিক

আহমদ রফিক (ছবি : মোহাম্মদ আসাদ)

শৈশবস্মৃতি সব মানুষের জন্যই বোধ হয় মাধুর্যময়, যদিও সেখানে থাকে অভিভাবকের কড়া শাসনে খুশিমতো চলায় বাধা, প্রাথমিক পড়াশোনার বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা। একটু বয়স বাড়তে যেন জাদুকাঠির ছোঁয়ায় অনেক কিছু পাল্টে যায়। সরকারি হিসাব-নিকাশ যাই বলুক এ ক্ষেত্রে শৈশব সীমা বারো, বড়জোর চৌদ্দ বছরের ওপরে নয়। এরপর কৈশোরটাকে তো ফাঁকি দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদিও এ দুইয়ের সীমারেখা টানা খুবই কঠিন, অসম্ভবই বলা চলে।
আমার শৈশবও যথারীতি আনন্দ-দুঃখে মেশা। সেখানে বাড়তি উপাদান মৃত্যু এবং একাকিত্ববোধ। মৃত্যু আমার পিতার। তখন কতইবা বয়স, দেড়-দুই বছর হবে। মেঘনায় ঝড়ে নৌকাডুবিতে তার মৃত্যু। পিতার শাসনহীন, তার স্মৃতিহীন আমার শৈশবের বড় অভিজ্ঞতা যেমন পারিবারিক বিশৃঙ্খলা, তেমনি সান্ত্বনা আপন খুশিতে বাড়ির চৌহদ্দিতেই একাকী ঘোরাফেরায় বাধা দেবার কেউ নেই, মা সারাক্ষণ কাজে ব্যস্ত।

আমার জন্ম শাহবাজপুর গ্রামে ১৯২৯ সালের সেপ্টেম্বরে। অদূরে বিশাল মেঘনার বুকে পালতোলা ধীরগতির বিশালকায় মহাজনী নৌকা আর হালকা-পাতলা দ্রুতগতির ডিঙি নৌকা, তার মধ্যে জেলে ডিঙিই প্রধান। ওপারে মেঘনায় নীলাভ দিগন্তরেখা। গ্রাম মূলত উদ্ভিদ প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভরা। নানা রকম গাছগাছালির রূপময়তার সঙ্গে পুকুরপাড়ে ভাইফুলের হালকা সুগন্ধ; কেমন একটা বিষণ্নতার রেশ। তবে হলুদ রঙে ছাওয়া মাঠজুড়ে সরষে ফুল খুশির অনুভূতি জাগায়। ঋতুভেদে ফসলের নানা রঙের উপহার, মাঠের এক কোণে একটি নিঃসঙ্গ জারুল গাছ বেগুনি রঙের আভায় আকর্ষণীয়।
শৈশবের কিছুটা সময় কেটেছে গ্রামে। পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে- সে খবর কেউ রাখেনি বলে অবাধ স্বাধীনতা। শুকনো বাঁশঝাড়ের নিচে বসে দিগন্তজোড়া খোলা মাঠের দিকে তাকিয়ে নানা রঙের মেলা দেখার আনন্দই আলাদা। পয়লা বৈশাখে বটতলায় মেলা বসে রকমারি উপকরণ নিয়ে। বাঁশ, বেলুন, ছুরি, পেনসিল থেকে ছোট ছোট রং করা মাটির পুতুল- কেনার জিনিসের অভাব নেই। সকাল থেকে মেলায় যাবার উত্তেজনা। বছরের একটি দিন যেন সারা বছরের আকাক্সক্ষা পূরণের দিন।

পিতৃহীন বালকের জন্য পড়ালেখার দিকটাও কড়া নিয়মকানুনে বাঁধা ছিল না। বই-স্লেট বুকে চেপে নিজের ইচ্ছাতেই তিন বছরের বড় বোনের সঙ্গে পাড়ার পাঠশালায় যাতায়াত প্রাথমিক পাঠ পর্বে। ওটা ছিল মেয়েদের স্থান। মাস কয়েক পরে গ্রামেরই কানাই পালের পাঠশালায় ‘আদর্শলিপি’র লেখা ও ‘বাল্যশিক্ষা’র প্রথম পাঠ রপ্ত করে ‘ধারাপাত’-এ ভর করে অঙ্কের জটিলতায় প্রবেশ। পাঠশালা পর্বের শেষ পাঠ পাশের গ্রাম নাসিরাবাদের মাইনর স্কুলে, লোকে বলত পাঠশালা। মেঘনাপারের গ্রাম, এখানে নদীর ধারে জেলেদের বাস। জেলেরা মেঘনার বুকে মাছ ধরে আর নারী-পুরুষ সবাই মিলে মাছ বেচে। মাঝবয়সী জেলেনিদের দেখা যেত মাথায় মাছের চুবড়ি, দু’হাত দুলিয়ে দিব্যি হন হন করে হেঁটে চলেছে খেতের আল ধরে। মাথার চুবড়িটা স্থির বসে আছে। অদ্ভুত দক্ষতা। হাঁ করে তাকিয়ে থাকতে হয়।

শুকনো দিনে জমির আল পথ পেরিয়ে অগভীর শুকনো খালের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে চোখে পড়েছে পোস্ট অফিসের রামা পিয়নকে নিবিষ্ট মনে চিঠিতে সিল মারতে। মধ্যবয়সী  মোটাসোটা মানুষটি ছিল খুব রসিক। চিঠি বিলি করতে আমাদের পাড়ায় এলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আবদার মেটাতে মুখ ঢেকে তাকে ডাকতে হতো কুকুর-বিড়ালের ডাক। আসল-নকল বোঝা যেত না। গ্রামগুলো গাছপালায় ভর্তি। বাড়িতে বাড়িতে রকমারি ফুলগাছ, বিশেষ করে গোলাপ, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা। কোনো কোনো বাড়িতে বকুল গাছ। গাছতলায় মরা ফুল কুড়োবার ধুম। মাঠে কৃষক কাজ করছে; কারো কারো সঙ্গে শিশুপুত্র। স্কুলযাত্রী ছেলেদের দিকে ফিরে তাকাবার সময় নেই। ভোরে দেখা যেত ঝকঝকে পেতলের ঘটিতে করে এদেরই কাউকে কাউকে দুধ বেচতে বাজারে যেতে। দুপুরে মাছ-তরকারি নিয়ে ঘরে ফেরা। গ্রামের এই শান্ত নিস্তরঙ্গ চালচিত্র ভালোই লেগেছে দেখতে।

গ্রামে প্রতি বাড়িতে পুকুর। পুকুরপাড়ে বাঁশঝাড় আর কলাগাছের সারি। অবস্থাপন্ন বাড়িতে পানীয় জলের উৎস টিউবওয়েল। স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয় প্রধানত বিত্তবান হিন্দুদের চেষ্টায় স্থাপিত। ধনী মুসলমানদের এদিকে ঝোঁক কম। তাদের ঝোঁক মক্তব-মাদ্রাসার দিকে। কোনো কোনো গ্রামে হিন্দুপাড়া, মুসলমানপাড়া আলাদা। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সহাবস্থান ঠিকই আছে। দাঙ্গা-হাঙ্গামার কথা শোনা যায়নি।
আমার শৈশবের গ্রাম পর্বের স্মৃতি প্রধানত পড়াশোনা ঘিরে। স্কুল শেষে বাকি সময়টা কেটেছে খেলাধুলায় বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় নয়, হয় কর্মরত মায়ের পেছন পেছন সময় কাটানো, নাহয় গাছপালা ভরা বাড়ির এক কোণে চুপচাপ বসে একাকী নানা ভাবনায় সময় কাটানো। সমবয়সীদের খেলাধুলার টান কমই ছিল।
গ্রামে পাঠশালা পর্ব শেষে নাসিরাবাদ মাইনর স্কুলে বছর দেড়েক সময় কাটে। বিশাল চৌচালা স্কুলঘর, ছোট ছোট খোপে ভাগ করা। শিক্ষকেরা দেখতে শান্তশিষ্ট হলে কী হবে, অঙ্ক ভুল হলে বা পড়া ঠিকমতো বলতে না পারলে এই চেহারাই ভয়ংকর হয়ে উঠত। ডাস্টার দিয়ে মাথায় আঘাত বা পিঠে বেত চালাতে তাদের একটুও মায়া হতো না। কচিকাঁচা পিঠে বেতের আঘাত গভীর হয়ে বসে যেত। তাদের মনে পড়ত না নিজের ছেলেমেয়ের কথা।

অঙ্কের শিক্ষক জিতু খাঁর টেবিলে শোভা পেত কাঁচা কঞ্চির বেত। শুকনো লম্বা দেহ, পরনে পাজামা-পাঞ্জাবি, নির্বিকার মুখ, বেত মারার সময় মুখটা কী যে ভয়ংকর দেখাত। ভাগ্যিস ওই দেড় বছরে বেতের ঘা খেতে হয়নি। কিন্তু ক্রুদ্ধ শিক্ষকের নির্মমতা আর শিশু ছাত্রের কান্নায় মন খারাপ হয়ে যেত। তখনকার শিক্ষাব্যবস্থা এমনই ছিল। কোনো ছাত্রের অভিভাবক এসব নিয়ে কখনো অভিযোগ বা প্রতিবাদ করেননি।


বড় হয়ে চার্লস ডিকেন্সের লেখা বই পড়ে মনে হয়েছে যে শুধু ভারত বা বঙ্গদেশ নয়, বিলেতের শিক্ষাব্যবস্থা এ দিক থেকে খুব একটা ভিন্ন ছিল না, ভালো ছিল না। সমাজে এমন কোনো শিশুবান্ধব শিক্ষাসংস্কারক ছিল না, যে শিশুদের সামান্য একটু মমতা দেখিয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়। শিক্ষার নামে শিশু নির্যাতনের অবসান ঘটেছে সময়ের ধারায়।

আমার এখনো মনে পড়ে হাফশার্ট, হাফপ্যান্ট পরা সহপাঠী হারুর কথা। ঠিক সময়মতো অঙ্ক কষা শেষ করে স্লেট জমা দিতে না পেরে সে কী হাউমাউ কান্না, অঙ্ক ভুলের জন্যও মার খেয়ে প্রায় দিনই কান্না। অথচ সেই হারু টিফিনের ঘণ্টা পড়লেই কী উল্লাসে চিৎকার করে সবার আগে ছুটে বেরিয়ে যেত স্কুল প্রাঙ্গণে। গাছে চড়তে ওস্তাদ হারু বিরাট লম্বা স্বর্ণচাঁপা গাছটায় তর তর করে উঠে মিষ্টি গন্ধভরা চাঁপা ফুল পেড়ে বন্ধুদের বিলিয়ে দিত। আমার ভাগেও দু-একটা পড়ত। পরিণত জীবনে কেমন ছিল হারু, জানতে ইচ্ছে করেছে কখনো কখনো।

॥ দুই ॥
নাসিরাবাদ স্কুলের পাঠ শেষ না করেই ১৯৩৭-এর মে মাসে আমি এবং পরিবারের সবাই গ্রাম ছেড়ে বড় ভাইয়ের কর্মস্থল মহকুমা শহর নড়াইলে চলে যাই। চিত্রা নদীর তীরে শহরটি গাছগাছালিতে ভরা। নদীর পারে নারকেল, খেজুর, মাঝেমধ্যে তালগাছ। শহরের রাস্তায় এ-পাশে ও-পাশে প্রচুর কাঠবাদামের গাছ। মাঝেমধ্যে নারকেল গাছ। আমাদের বাসাটার পেছনে ছিল বিশাল ঘন সুপারি বন- ভেতরে ঢুকলে ঠান্ডা ছায়া আর সূর্যালোকহীন আবছা পরিবেশ রীতিমতো ভয় ধরাত মনে।
নদীতে চলত ছোট-বড় নৌকার পাশাপাশি লঞ্চ, ছোটখাট স্টিমার। নামগুলো বেশ মজার- চিন্ডুইন, লালি, লামা ইত্যাদি। নদীতে ছোট-বড় সবাই স্নান করতে আসত, মেয়েরা কলসি ভরে জল নিত। বয়সটা বেশি নয়, হয়তো তাই আমরা ভাইবোন মিলে কাগজের নৌকা তৈরি করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করতাম এদের শেষযাত্রা দেখতে।

ক্লাস থ্রিতে ওঠার মাস কয়েক আগেই চলে আসায় হাই স্কুলে ভর্তির বদলে আমার গতি হলো মক্তবে। দুই ওস্তাদজি ব্যক্তিগত চেষ্টায় মক্তবটি চালাতেন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে। বড় রাস্তার পাশে অবস্থিত মক্তবের পেছনে ছিল বিশাল ঘন বাঁশবন। ওই ঘন বাঁশবনের ভেতরে ছিল আমার এক সহপাঠী ফিরোজাদের বাড়ি। ওর বাবা কাজী সাহেব। ধীরস্থির শান্ত গম্ভীর মুখ ফিরোজা পড়াশোনায় ভালোই ছিল। এখানে ছিল সহশিক্ষার ব্যবস্থা। বেশ কজন মেয়ে পড়তে আসত ওই মক্তবে। এখানে ছিল আরবি, উর্দুর প্রাধান্য। দেড় বছরে এ দুটো ভাষায় ভালো নম্বর পেয়েছিলাম। প্রথম হয়ে ক্লাস থ্রির পাঠ শেষ করি। অভিভাবকের উদাসীনতায় ক্লাস থ্রিটা মহকুমা হাই স্কুলের বদলে মক্তবে শেষ করা আমার শিক্ষাজীবনে ছিল এক অঘটন, যা আমার পরবর্তী শিক্ষাজীবন ও ক্যারিয়ারে বিপর্যয়ের কারণ হয়ে ওঠে।

॥ তিন ॥
মায়ের জেদের কাছে বড় ভাই সর্বদাই হার মেনেছেন। তাই ১৯৩৯-৪০ দুই বছর আবার গ্রামে বসবাস- গ্রামের হাই স্কুলে আবার থ্রি থেকে ফোর- এবার পড়ায় মনোযোগ ততটা ছিল না। সম্ভবত জায়গা বদলের কারণে। ১৯৪১-এ আবার নড়াইল। এবার হাই স্কুলে পড়তে গিয়ে বুঝতে পারি কতটা পিছিয়ে পড়েছি। এবার পরিবেশ ভিন্ন। রাজনীতি ও সাহিত্যের বই পড়া দুইয়ে মিলে স্কুল জীবনের যে ভিতটা গড়ে তোলা, সেটাই আমার পরবর্তী জীবনের নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায়।
নড়াইল হিন্দু ভদ্রলোক-প্রধান শহর, বলা যায় মূলত রাজনীতিমনস্ক শহর। কংগ্রেস, প্রজা পার্টি, মুসলিম লীগ ও কমিউনিস্ট পার্টি শুধু শহরে নয়, গোটা মহকুমার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। কংগ্রেস আবার এখানে গান্ধী ও সুভাষ এ দুই ধারায় বিভক্ত। বিদ্যালয়ের পাঠবহির্ভূত সাহিত্য এবং রাজনীতির পাঠ আমার ছাত্রজীবনে গভীর দাগ কাটতে থাকে। রাজনীতিতে সুভাষ ও নজরুল প্রধান হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে এ ধারা পাল্টে যায়।

এর মধ্যে দুটো ঘটনা চেতনায় ছাপ ফেলে। প্রথমত রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু (১৯৪১) উপলক্ষে টাউন হলে শোকসভা, শিক্ষক মশাইদের বক্তৃতা, ঘটনা উপযোগী গান ইত্যাদি। দ্বিতীয় ঘটনা ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের প্রভাব, বিপ্লবীদের নিয়ে লেখা বইয়ের পাঠ। পাশাপাশি হালকা রোমাঞ্চ থ্রিলার- সবকিছু মিলে নতুন এক চেতনার জগৎ। ইতিমধ্যে বিশ্বযুদ্ধ এবং এর অমানবিক নীতির ফলে বাংলায় কয়েক লাখ গরিব মানুষের অনাহারে মৃত্যুর এত বড় ঘটনা ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের ততটা বিচলিত করেনি, যতটা করেছিল শিল্পী-সাহিত্যিকদের।

এসবও শৈশব স্মৃতির মধ্যে পড়ে। মজুতদাররা চাল গুদামজাত করে রাখায় চালের দাম আকাশছোঁয়া। ঢাকায় চালের দাম সর্বোচ্চ মণপ্রতি ৬০ টাকা প্রবাদপ্রতিম ঘটনা। কথা প্রসঙ্গে মা বলতেন ‘ওই যে ষাট টাকার বছর’। গ্রামে কথাটা খুব চালু হয়ে গিয়েছিল। শহীদ সোহরাওয়ার্দী তখন বাংলায় খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী। তিনি এর মধ্যে একবার নড়াইল শহরে এসে বক্তৃতা করেছিলেন। তার দো-আঁশলা বাংলায় খুব হেসেছিলাম আমরা কয়েক বন্ধু।

আমার শৈশবস্মৃতি বিচিত্র ঘটনায় ভরা। তাতে ভালোলাগা-মন্দলাগা দুই-ই রয়েছে। সময়ের ঘটনাবলি কিছু অভ্যাস তৈরি করেছে। যেমন বই পড়ার নেশা, কাগজ পড়া, স্বদেশভাবনা, শাসকশ্রেণির প্রতি ক্ষোভ ইত্যাদি বহু বিষয় শৈশবের বেলাভূমি থেকে আহরিত। সব দেখেশুনে মনে হয় আমার শৈশবটাই বুঝি আমার অবশিষ্ট জীবনে নানা প্রতীকে প্রতিফলিত। নির্দিষ্ট শব্দ সংখ্যায় কতটুকুই বা লেখা যায়। তবে ভুলিনি গ্রামোফোনে শচীন দেবের পল্লিগীতি ও ভাটিয়ালি আর আব্বাসউদ্দীনের লোকগীতি। মনটা যে কোন সুদূরে চলে যেত, তার কোনো ঠিকানা নেই। গ্রামোফোনটা ছিল পাশের বাসায়। নদীমাতৃক গ্রামবাংলার ছবি ভেসে উঠত।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুন ২০১৬/এএন/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়