ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

শোলাকিয়ায় নজিরবিহীন নিরাপত্তায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২২ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শোলাকিয়ায় নজিরবিহীন নিরাপত্তায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি ছিল ঈদুল আজহার ১৯১তম জামাত।

বুধবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত জামাতে ইমামতি করেন মার্কাস জামে মসজিদের খতিব মুফতি হিবজুর রহমান। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার তাওফিক দিতেও আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।

নামাজে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।



জামাতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহে। এ সময় কয়েক ঘণ্টার জন্য আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঈদ জামাতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। এর একটি ট্রেন ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া মাঠের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।

জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, শোলাকিয়ায় এবার ১৯১তম ঈদুল আজহার জামাতে খুব শান্তিপূর্ণভাবে লাখো মুসুল্লি অংশ নেন। অতি গরমে মুসুল্লিদের যেন কষ্ট না হয়, তার জন্য প্রতিটি কাতারে পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এ ছাড়াও মুসুল্লিদের সুষ্ঠু নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছিল।



পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, এবার ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও র‌্যাব, পুলিশ, আনসার বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন ছিল। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয় মুসল্লিদের। এ ছাড়াও যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে, মাঠের সার্বিক ঘটনা পর্যবেক্ষণে এবং মুসল্লিদের ওপর নজরদারি করতে দুটি ড্রোন ক্যামেরাও ব্যবহার করা হয়েছে।

জনশ্রুতি আছে, কোনো এক ঈদের জামাতে শোলাকিয়ায় সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।




রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/২২ আগস্ট ২০১৮/রুমন চক্রবর্তী/সাইফুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়