ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ষোড়শ শতাব্দীর স্থাপত্য শৈলীর নিদর্শন গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়ি

রুমন চক্রবর্ত্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২১, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ষোড়শ শতাব্দীর স্থাপত্য শৈলীর নিদর্শন গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়ি

শ্রী ধর ভবন বা গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়ির মূল প্রবেশ পথ (ছবি : রুমন চক্রবর্ত্তী)

ষোড়শ শতাব্দীর এক অসামান্য দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্য শৈলীর নিদর্শন হলো শ্রী ধর ভবন জমিদারবাড়ি। বর্তমান প্রজন্ম যাকে চেনে গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়ি হিসেবে। কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার অবস্থিত এই গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়ি।

 জমিদারবাড়ির সুদৃশ্য বৈঠকখানা (ছবি : রুমন চক্রবর্ত্তী)

 

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস : গাঙ্গাটিয়া জমিদার বংশের পূর্ব পুরুষেরা রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ গোত্রের ছিলেন। ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে জনৈক শাস্ত্রীয় পণ্ডিত খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে এ দেশে এসে বসতি স্থাপন করেন। তিনিই ছিলেন এ জমিদারদের প্রথম পুরুষ। সে সময়ে গৌড়ীয় রীতি অনুযায়ী বাড়ির পতিত ভিটায় পূজার্চণার জন্য একটি শিব মন্দির তৈরি করেন তিনি। এ শিব মন্দিরটিই এ বংশের প্রথম নির্মিত মন্দির।

 

জমিদারবাড়িতে প্রাপ্ত একটি গোমূর্তি, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকবাহিনী মূর্তিটি ভেঙ্গে ফেলে / জমিদারবাড়ির সামনের বিশাল এই পুকুরটিই সাগর দিঘী নামে খ্যাত (ছবি : রুমন চক্রবর্ত্তী)

 

তার পাশেই আরো একটি জরাজীর্ণ শিব মন্দির রয়েছে। এখনও সেখানে পারিবারিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এরপরই শ্রী ধর ভবন নামে একটি বিশাল ফটক। এটিই জমিদারবাড়ির মূল ফটক। এখান থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে অবস্থিত গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়ির মূল ভবন। মূল ভবনে এখনো দ্বিতল ভবন, বৈঠকখানা, অতিথি কক্ষ, দরবার খানা ও সংগীত সাধনায় ব্যবহৃত কক্ষগুলো রয়েছে। সেগুলো দেখলেই চোখে ভেসে ওঠে জমিদারি আমলের জাঁক জমক। বর্তমানে গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়িটির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে।

 

গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন গুরুচরণ দাস। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বর্তমান বংশধর মানবেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী চৌধুরী এখন এ বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন। জমিদারি প্রথা চলে গেলেও এ অঞ্চলের গরিব মানুষদের জন্য জমিদারদের অনেক কিছুই করেছেন, এখনো করছেন।’

 

‘আমরা সাধারণত মানবেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী চৌধুরীকে ‘বাবু’ নামেই ডেকে থাকি। তিনি এখন কলকাতায় আত্মীয়দের কাছে বেড়াতে গেছেন। উনার ছোট ভাই তপন কুমার চক্রবর্তী প্রায় দেড় বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। গ্রামের সকল মানুষের কাছেই তিনি শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।’

 

 

 

রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/রুমন চক্রবর্ত্তী/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়