ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ক্ষমতা দখল ও হস্তান্তর এক নয় : এরশাদ

নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩০, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্ষমতা দখল ও হস্তান্তর এক নয় : এরশাদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ১৯৮২ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ ও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা সাংবিধানিক ও বৈধ ছিল দাবি করে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতা হস্তান্তর এক কথা নয়।

 

এরশাদ বলেন, ‘সেদিন আমি জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করিনি। রাষ্ট্র পরিচালনায় ইচ্ছুক ছিলেন না বলে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার সামরিক বাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। তাই একে ক্ষমতা দখল মনে করার সুযোগ নেই।’

 

‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এরশাদ এ কথা বলেন।

 

ক্ষমতা গ্রহণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে বলে আমি অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় ছিলাম। এটা সত্য নয়। প্রেসিডেন্ট সাত্তার সেদিন আমার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন নাই, আমিও তার কাছ থেকে জোর করে ক্ষমতা নেইনি। বরং তিনি সামরিক বাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। ওই সময় আমি সিনিয়র ছিলাম, সামরিক বাহিনীর প্রধান ছিলাম- সেই হিসেবে তিনি আমার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন।

 

এরশাদ বলেন, সংবিধান না থাকলে গণতন্ত্র থাকে না, গণতন্ত্র না থাকলে সংবিধান থাকে না। আমি জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চাইনি। সংবিধান ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিচারপতি শাহাবুদ্দিনকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করিয়ে সাংবিধানিকভাবে তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলাম।

 

বেগম জিয়াকে ইঙ্গিত করে এরশাদ বলেন, পত্রিকায় দেখলাম একজন বলেছেন- ‘বাকশাল আর স্বৈরাচার মিলে দেশকে ধ্বংস করছে। আপনি ক্ষমতায় গিয়ে ১৫জন কৃষককে মেরেছিলেন। তাদের অপরাধ, তারা সার চেয়েছিল। কানসাটে মানুষ মেরেছেন, কারণ তারা বিদ্যুৎ চেয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে ২৯জন মানুষ মেরে ফেলেছেন। শুধু তাই না, আপনি এতিমদের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। তারপর আপনার এমন বক্তব্য দিতে লজ্জা করে না? বছরের পর বছর ধরে যারা লন্ডনে থাকছে তাদের টাকা কোথা থেকে আসে’- এমন প্রশ্নও করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি।

 

জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।

 

উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, নুরুল ইসলাম নুরু, জহিরুল ইসলাম জহির, বাহাউদ্দিন বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল, মহিলা পার্টির সেক্রেটারি অন্যন্যা হোসাইন মৌসুমী, যুবসংহতির আবু সাঈদ স্বপন, শ্রমিক পার্টির আসরাফুজ্জামান খান, ছাত্র সমাজের সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার আহসান, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মিরু, মহিলা পার্টির ডা. সেলিনা খান, যুবসংহতির সুমন আশরাফ প্রমুখ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ ডিসেম্বর ২০১৬/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়