ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সরকার কৃষকের পাশে আছে : কৃষিমন্ত্রী

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৯, ২০ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সরকার কৃষকের পাশে আছে : কৃষিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : কৃষিমন্ত্রী ড. মো আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কীভাবে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে? সরকার কৃষকের পাশেই আছে। এ কারণে বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম কয়েক গুণ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে।

সোমবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের থ্রিডি অডিটোরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর শীর্ষক প্রশিক্ষণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়ে) এর আওতায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী, দেশে শিল্পায়নের ফলে কৃষি শ্রমিক দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। এজন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৫০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত ভর্তূকি দিয়ে থাকে। কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার সব করা হবে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

তিনি বলেন, কৃষিতে প্রণোদনা বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ব্যবহৃত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশ। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি।

ধানের দামের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সাথে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। দ্রুতই এর সমাধান করা হবে। আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষির সকল সমস্যা দূর করা হবে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা উল্লেখ রয়েছে তার সব বাস্তবায়ন করা হবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষির উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে প্রযুক্তির ওপর। গবেষণা বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে থাকে আর কৃষি কর্মকর্তারা এই প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে নিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখে।

সরকারি গাড়ি প্রযুক্তি হস্তান্তরের কাজে ব্যবহারের জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী ৮৮টি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন। পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে গাড়ি দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮-২০২২ মেয়াদি প্রকল্পটি ৩১৫ কোটি টাকার। এর মাধ্যমে ৪৮টি জেলার ১০৬টি উপজেলায় ১০৬টি কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ২০ ইউনিয়নে কৃষক সেবাকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এর মাধ্যমে কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মে ২০১৮/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়