ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সাগরে ৯ ট্রলারসহ দেড় শতাধিক জেলে নিখোঁজ

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ৮ নভেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাগরে ৯ ট্রলারসহ দেড় শতাধিক জেলে নিখোঁজ

কক্সবাজার প্রতিনিধি : সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঝড়ের কবলে পড়ে কক্সবাজারের ৯টি ট্রলারসহ দেড় শতাধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। তবে নিখোঁজদের সন্ধানে সাগরে নৌবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

 

মঙ্গলবার রাতে খবরটি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।

 

জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন, সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঝড়ের কবলে পড়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল। রোববার ভোররাত পর্যন্ত আবহাওয়ার সতর্কতা সংকেত দেখানো অব্যাহত ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে কক্সবাজারের বেশ কিছু ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে যায়।

 

এতে দুর্যোগের কবলে পড়ে ৯টি ট্রলারসহ দেড় শতাধিক জেলে নিখোঁজ হয়। তবে নিখোঁজদের মধ্যে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের বাসিন্দা মোহাম্মদ বাবুলকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকা থেকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছে।  মোহাম্মদ বাবুল (৩৫) কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের মামুন পাড়ার নুরুল আলম ওরফে নুরআলম মাঝির ছেলে।

 

তিনি বলেন,  কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি ৯টি ট্রলারের দেড় শতাধিক জেলে নিখোঁজ হওয়ার তথ্য সম্বলিত একটি তালিকা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছে। তালিকাটি পাওয়ার পর বিষয়টি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এতে নিখোঁজদের উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ করা হয়েছে।

 

বিষয়টি অবহিত করার পর ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর নিয়মিত টহল দলের জাহাজ সাগরে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। মঙ্গলবার হাতিয়া, সুবর্ণচর ও সুন্দরবন এলাকা থেকে নৌবাহিনী ১২ জনকে উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে একজন কক্সবাজার সদরের মোহাম্মদ বাবুল।

 

কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ বলেন, জেলা প্রশাসনের কাছে নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও দাবি জানানো হয়েছে।

 

নিখোঁজ ট্রলারগুলো হলো, মোহাম্মদ ফারুকের মালিকানাধীন এফবি জায়েন উদ্দিন, মো. আতিকুল্লাহ সওদাগরের এফবি শাহমজিদিয়া, কামাল উদ্দিনের এফবি সাজ্জাদ, জাকের উল্লাহর এফবি ফাতেমা, আবুল হোসেনের এফবি রেশমী, মো. নুরুদ্দিনের এফবি আল্লাহর দান, হারুন মিয়ার এফবি আকলিমা এবং গোলাম বারীর এফবি ভাই ভাই ও এফবি আবছার।

 

এসব ট্রলারের মধ্যে জেলে ছিল- এফবি শাহমজিদিয়ায় ছিল ২৯ জন, এফবি সাজ্জাদে ২৮ জন, এফবি জায়েন উদ্দিনে ১৯ জন, এফবি ফাতেমায় ২৭ জন, এফবি রেশমীতে ২৮ জন, এফবি আল্লাহর দানে ২৭ জন।

 

এফবি আল্লাহর দানের ২৭ জন জেলের মধ্যে ২৫ জনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছে।

 

তবে নিখোঁজ ট্রলারগুলোর মধ্যে এফবি আকলিমা, এফবি আবছার ও এফবি ভাই ভাই-তে কতজন করে জেলে ছিল তা প্রশাসনকে জানাতে পারেননি জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির নেতারা।

 

 

রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/৮ নভেম্বর ২০১৬/সুজাউদ্দিন রুবেল/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়