ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১৫০৩ বছরের জেল

তৈয়বুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ২৩ অক্টোবর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৫০৩ বছরের জেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্ভবত লোকটি ভেবেছিল মন্টানার সেই মামলাটির মতো হবে। সেখানে নিজ শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে জেল-জরিমানা থেকে রেহাই পেয়েছিল দোষী লোকটি। তবে দোষ স্বীকার করায় দোষী ব্যক্তিকে দেওয়া হয় ৩০ বছরের মূলতবি কারাদণ্ড।

 

কিন্তু ফ্রেসনোর লোকটি একই ধরনের অপরাধ করায় তারা হয় এক হাজার ৫০৩ বছরের কারাদণ্ড। ফ্রেসনোর সর্বোচ্চ আদালতের ইতিহাসে এত দীর্ঘ কারাদণ্ড আর কাউকে দেওয়া হয়নি।

 

ইন্ডিপেনেডেন্ট পত্রিকায় খবরটি ছাপা হলেও অপরাধী লোকটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কেননা এতে মেয়েটির পরিচয় প্রকাশ হয়ে যেত।

 

রায় ঘোষণাকালে বিচারক অ্যাডওয়ার্ড সারকিসিয়ান জুনিয়র বলেন, লোকটি সমাজের জন্য বিপজ্জনক। তার কৃতকর্মের জন্য তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই।

 

আইনজীবী নিকোল গাল্স্টান বলেন, মেয়েটিকে প্রথম ধর্ষণ করে এক পারিবারিক বন্ধু। এরপর অপরাধী লোকটি তাকে রক্ষার পরিবর্তে তাকে ‘এক টুকরো সম্পদে’ রুপান্তর করে।

 

গাল্স্টান আরো বলেন, দোষী লোকটি মেয়েটিকে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ধর্ষণ করতো।

 

জুরিরা শিশু নির্যাতনসহ যৌন হয়রানির অভিযোগে লোকটিকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

 

আদালতে মেয়েটি বলেন, ‘যখন আমার ওপর নির্যাতন চালানো হতো, তখন আমার বয়স ছিল কম, কোনো ক্ষমতা ছিল না, প্রতিবাদ করার সাহস ছিল না। আমি ছিলাম নিরুপায়।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘লোকটি তার কৃতকর্মের জন্য কখনো কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেনি। আমার ব্যাথা ও যন্ত্রণাও বুঝতো না।’

 

প্রাথমিক শুনানির আগে লোকটি ক্ষমা চাইলে তাকে ১৩ বছর জন্য জেল খটতে হতো। কিন্তু লোকটি তা করেননি।

 

এরপর বিচার শুরুর আগে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলা হয়। কিন্তু তখনো তিনি অনড় থাকেন। ক্ষমা প্রার্থনা করলে তার জেল হতো ২২ বছর।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ অক্টোবর ২০১৬/তৈয়বুর রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়