ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সিরিয়ায় সৌদি সেনা মোতায়েন হচ্ছে?

রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিরিয়ায় সৌদি সেনা মোতায়েন হচ্ছে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে সেনা ও যুদ্ধ বিমান পাঠাচ্ছে সৌদি আরব। মূলত সিরিয়ার সম্ভাব্য স্থল হামলা ঠেকাতেই এই সেনা মোতায়েনের কথা জানিয়েছে সৌদি ও তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের ইনকারলিক সেনা ঘাঁটিতে শিগগিরই এসব সেনা পৌঁছাবে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাভলুত জাভুসগলু শনিবার স্থানীয় পত্রিকা ইয়ানি সাফাককে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তারা স্থল সেনা ও যুদ্ধ বিমান পাঠানোর ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়েছে। আইএসবিরোধী জোটের প্রত্যেকটি সভায় আমরা এ সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইতিবাচক ফলাফলের ব্যাপারে কৌশলগত গুরুত্ব দিচ্ছি।’

 

যদিও কৌশলগত কারণে এ সেনা মোতায়েন। তবে তুরস্ক ও সৌদি আরব সম্মিলিতভাবে আমাদের ভূখণ্ড থেকে হামলাও পরিচালনা করতে পারে।’

 

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেন, সৌদি যুদ্ধ বিমান ও স্থল সেনা সিরিয়ার সীমান্তের কাছে তুরস্কের আদানার ইনকারনিক সেনা ঘাঁটিতে মোতায়েন থাকবে। তবে কত সংখ্যক সেনা মোতায়েন থাকবে, এ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি তিনি।

 

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের বলেছেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার অবস্থান আসাদের ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে কোনো সহায়তা করবে না। ভবিষ্যতে কোনো বাশার আল আসাদ দেশটিতে থাকবে না।’

 

সৌদি আরব যদি সেখানে সেনা মোতায়েন করে, তাহলে তুরস্কের সমস্যাকে আরো উস্কে দেবে। কারণ আইএসবিরোধী লড়াইয়ে কুর্দি যোদ্ধারা সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। আবার এই কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করছে তুরস্ক।

 

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বিবৃতি তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার দ্বন্দ্বকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।
জাভুসগলু বলেন, আমরা সবাই জানি, রাশিয়ার লক্ষ্য আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখা। এখন এটাই উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন- রাশিয়ার এই কর্মকাণ্ড কে দমাবে।

 

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার জানিয়েছেন, সিরিয়ার শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল রাকা আইএসের কাছ থেকে পুনর্দখলে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের সেনা কমান্ডো পাঠানোকে তিনি সমর্থন করেন।

 

সৌদি আরব ও তুরস্ক বাশার আল আসাদের প্রতিপক্ষ। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহসহ সব ধরনের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে এই দুটি রাষ্ট্র।

 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সৌদি আরব যখন সেনা মোতায়েনের এই প্রস্তাব দেয়, তখন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদে একে নতুন বিশ্বযুদ্ধের স্ফূলিঙ্গ ছড়িয়ে দেবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, স্থল আক্রমণ হলে সবাই এই যুদ্ধে অংশ নেবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের আবর বন্ধুদের অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে যে, তারা একটি স্থায়ী বিশ্বযুদ্ধ চায় কিনা।

 

তথ্যসূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/রহমান

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়