সৈকতে ঝাউ বাগান নিধন : টনক নড়েছে সংশ্লিষ্টদের
সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম
কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্র সৈকতের ঝাউ বাগান থেকে নির্বিচারে অর্ধ-লক্ষাধিক বৃক্ষ নিধনের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বনকর্মীদের যোগসাজশে এক মাস ধরে নির্বিচারে গাছকাটা চললেও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টির ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেননি। ঘটনাস্থলেও যাননি কোনো কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার এ ব্যাপারে রাইজিংবিডিতে সচিত্র সংবাদ প্রচারিত হলে নড়েচড়ে বসেন বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।
বুধবার বিকেলে টেকনাফের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) সরওয়ার আলমের নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, জাহাজপুরা ও শিলখালী এলাকায় সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ঝাউ বাগানের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বলে রাইজিংবিডিকে জানান কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ কর্মকর্তা মো. আলী কবির।
তিনি বলেন, দুর্বৃত্ত কর্তৃক ঝাউ গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে টেকনাফের সহকারী বন সংরক্ষককে (এসিএফ) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলেছি। ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।
প্রতিবেদন হাতে পেলে দায়ী ব্যক্তিদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বন বিভাগ কর্মকর্তা আলী কবির।
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, জাহাজপুরা ও শিলখালীর পশ্চিমের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকায় তিনটি ঝাউ বাগান থেকে এক মাস ধরে কয়েক হাজার কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সৈকতের অন্তত আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কেটে নেওয়া গাছের গোড়াগুলো নিধনের ভয়াবহতার স্বাক্ষ্য বহন করছে।
স্থানীয়দের দাবি, ঝাউ বাগান থেকে গত এক মাসে অন্তত ৫০ হাজারের বেশি গাছ কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
উপকূলীয় জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় ২০০৬-০৭ সালে টেকনাফের বাহাছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর থেকে জাহাজপুরা পর্যন্ত ১০০ হেক্টর সৈকতের বালিয়াড়ীতে তিনটি বাগানে প্রায় ৫ লাখ ঝাউগাছ লাগায় উপকূলীয় বন বিভাগ।
দৃষ্টিনন্দন এসব ঝাউ বাগান পর্যটকদের কাছে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূল রক্ষায়ও কাজ করে।
রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/সুজাউদ্দিন রুবেল/রিশিত
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন