ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পাচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা

হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ৩ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পাচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা

বিশেষ প্রতিবেদক : নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ অক্ষুণ্ন রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত  সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত ২৫০ কোটি টাকা পাচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া শর্তসাপেক্ষে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত  জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজে ২৭টি খাতের পাওনা ১৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

 

মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল  আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এন সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বেশকিছু দাবি ছিল। বিশেষ করে, যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক রাখার স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বন্যা ও বৃষ্টির কারণে দেশের অনেক রাস্তাই এখন চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। সড়ক সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ের দাবি করা টাকা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও তাদের আরো কিছু বিষয় ছিল সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সড়ক বিভাগের বিভিন্ন কাজ বাবদ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এসব কাজ সম্পন্ন হলেও ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। একপর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে এ বকেয়া পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বলা হয়েছে, এসব কাজের অডিট হওয়ার পর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বকেয়া পরিশোধ করা হবে।

 

বৈঠকে নির্মাণাধীন জয়দেবপুর-এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক প্রকল্পের জন্য ৫০টি নতুন গাড়ি চাওয়া হয়। এ সময় অর্থমন্ত্রী সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ক্যা্ডার শক্তির তথ্য জানতে চান। এ সময় বলা হয় মন্ত্রণালয়ের ক্যাডার শক্তি ৬৫৭ জন। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্পসহ মন্ত্রণালয়ের গাড়ির সংখ্যা ৬৫৭ টি। এ সময় গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি অনুশাসন তুলে ধরে বলা হয়, যাদের গাড়ির সংখ্য ১০০টি  থেকে ১৫০টি তারা নতুন গাড়ি কিনতে পারবে না। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, প্রকল্পের বেশিরভাগ গাড়িই ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। ওইসব গাড়ি বাদ দিয়ে নতুন গাড়ি সংগ্রহ করতে চায় মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় গাড়ি কিনতে পারবে, তবে তা অবশ্যই ডোনার ফান্ড থেকে কিনতে হবে।

 

এদিকে পদ্মা বহুমুখী সেতুর পশ্চিম পাড়ে ভাংগা পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার চার লেন বিশিষ্ট লিংক রোড নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ম অনুযায়ী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উপস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

দেশে বিভিন্ন ধরনের ২৮  লাখ গাড়ি আছে। এর মধ্যে  ৫ লাখ ৯০ হাজার গাড়ির ফিটনেস  এবং অন্যান্য টোল খেলাপি হয়ে পড়েছে বলে অবহিত করা হয়। গাড়িগুলো ফিটনেস সার্টিফিকেট না নেওয়ায় এসব গাড়ির সুদসহ ফি’র বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে আছে বলে বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। এ প্রসঙ্গে সুদবিহীন ফিটনেস ফি জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর অনুরোধ করা হলে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত সুদ ছাড়া ফি জমা দেওয়ার সময় বাড়নোর সিদ্ধান্ত হয়।

 

এ ছাড়া বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের জন্য বৈঠকে ২১ কোটি টাকা চাওয়া হয়। বৈঠকে বলা হয়, বিআরটিসি একটি করপোরেশন। তাদের  আয় থেকে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। নতুন পে স্কেল ঘোষণার পর তাদেরও ব্যয় বেড়েছে। এ অবস্থায় সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সুদমুক্ত ২১ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সংস্থাটিকে আগামী দুই বছরের মধ্যে ঋণের এ টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে তারা ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবে তার একটি বিজনেস প্ল্যান অর্থ বিভাগে জমা দিতে হবে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জানুয়ারি ২০১৬/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়