ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

১০০ স্ত্রী আর ৫০০ সন্তানের সংসার যে রাজার

সৃষ্টি ঘটক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ২৭ নভেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১০০ স্ত্রী আর ৫০০ সন্তানের সংসার যে রাজার

রাজা আবুম্বির সঙ্গে তার দুই স্ত্রী

সৃষ্টি ঘটক : বহুবিবাহের প্রচলন আছে কিছু কিছু দেশে। তাই বলে বিয়ের যুক্তিসংগত সংখ্যাটা কী হতে পারে? এ নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। সে বিতর্কে যাব না। কিন্তু কারো স্ত্রীর সংখ্যা যদি ১০০ হয়, তাহলে তা কি অবাক হওয়ার মতো ঘটনা নয়! অবাক হওয়ারই কথা। হ্যাঁ, কোনো রূপকথা নয়। বলছি, ক্যামেরুনের এক রাজার গল্প, যার সংসারে স্ত্রী ও সন্তানের অভাব নেই।

আফ্রিকা মহাদেশের ক্যামেরুনের একটি অঞ্চল বাফুট। বাফুটের রাজাদের বলা হয় ফন। বর্তমান রাজার নাম দ্বিতীয় আবুম্বি, যিনি বাফুটের ১১তম রাজা। বাস্তবে ও রূপকথায় রাজ্য, রাজা-রানির গল্প তো কম শোনা হয়নি। রূপকথার রাজাদের স্ত্রী ও সন্তানের সংখ্যা গল্পে গল্পে বেড়েই যায়। এবার শুনুন বাফুটের রাজা দ্বিতীয় আবুম্বির রাজসংসারের গল্প, যেখানে বাস্তবেই ঘটে চলেছে অনেক কিছু। 

রাজা আবুম্বির স্ত্রীর সংখ্যা মোটামুটি ১০০-এর কোঠাতেই। ২১ শতকের সভ্যতায় স্ত্রী গ্রহণের এ ধরনের ঐতিহ্য বহাল আছে, ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। বাফুটের রাজবংশের রেওয়াজ অনুযায়ী, এক রাজার মৃত্যুর পর যিনি রাজা হবেন তাকেই পূর্ববর্তী রাজার সব স্ত্রী ও সন্তান গ্রহণ করতে হবে। পূর্বের রাজার স্ত্রীদের নতুন রাজা স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাজ্য পরিচালনা করবেন। আগের রাজার সন্তানদের বাবাও হবেন নতুন রাজা। ঐতিহ্য হিসেবে এমনটিই চলে আসছে।  

বাফুটের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘আবিন-ই-মফর’-এ জমায়েত


রাজবাড়ি ঘিরে রয়েছে একটি ‘পবিত্র বন’। উত্তর-পশ্চিম ক্যামেরুনের বাফুট প্রাসাদটি ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই রাজ্যের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে। বাফুটের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় আচার এবং প্রথাগত অনুষ্ঠান সবকিছুই এটিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। রাজবাড়িতে ৫০টির বেশি ঘর রয়েছে। এগুলো বাফুটের ফন ও তার স্ত্রীদের বসবাস এবং রাজার দরবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। রাজবাড়িতে অবস্থিত তালপাতায় ঘেরা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি উপাসনালয়টি ঐতিহ্যবাহী ভক্তিমূলক স্থাপনার দারুণ এক নিদর্শন। এখানে বাফুটের প্রথম তিন রাজা ফিরলো, নেবাসি শু ও আম্বেবির সমাধি রয়েছে।

বাফুট সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পরিচিত বিখ্যাত প্রকৃতিবিজ্ঞানী জেরাল্ড ডুরেল-এর বাফুট ভ্রমণ নিয়ে ‘দ্য বাফুট বেগলস’ এবং ‘অ্যা জু ইন মাই লাগেজ’ শীর্ষক দুটি লেখার মাধ্যমে। তিনি ১৯৪৯ ও ১৯৫৭ সালে দুটি প্রাণীর সন্ধানে বাফুটে আসেন। তখন তিনি ‘টু বাফুট অ্যান্ড বেগল’ শিরোনামে একটি টিভি সিরিজ নির্মাণ করেন।

লেখক : শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
 


 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ নভেম্বর ২০১৫/রাসেল পারভেজ/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়