ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১৬ কোটি মানুষই সবচেয়ে বড় সম্পদ

আরিফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৪২, ৮ মার্চ ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৬ কোটি মানুষই সবচেয়ে বড় সম্পদ

মো. মাশেকুর রহমান খান ‘বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের (বিএসএইচআরএম) লাইফ ফেলো ট্রেজারার। এছাড়া তিনি ইব্রাহিম মোমোরিয়াল কার্ডিয়াক হাসাপাতালের এইচআর ও এডমিনের জিএম পদে দায়িত্বে রয়েছেন।

 

মানবসম্পদ উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে সম্প্রতি রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন পঞ্চম আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ সম্মেলন-২০১৬ এর চেয়ারম্যান মাশেকুর রহমান খান। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাইজিংবিডির নিজস্ব প্রতিবেদক আরিফ সাওন। ছবি তুলেছেন রাইজিংবিডির সিনিয়র ফটো সাংবাদিক শাহীন ভূইয়া।

 

রাইজিংবিডি: আপনার শারীরিক অবস্থা কেমন?

মাশেকুর রহমান খান : জি, ভাল আছি।

 

রাইজিংবিডি: সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্য কি?

মাশেকুর রহমান খান : একটি দেশ পরিচালনার জন্য দরকার রিসোর্স। রিসোর্স ছাড়া কোন কোন দেশ বা সংগঠনচলতে পারে না। এখন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের রিসোর্স আছে। কারো গ্যাস আছে, কারো খুব ভাল টেকনোলজি আছে । কিন্তু আমাদের দেশে কি আছে? আমাদের দেশে ১৬ কোটি মানুষ। এই ষোল কোটি মানুষই আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় রিসোর্স । আমাদের হিউম্যান রিসোর্স মেনেজমেন্টের কার্যক্রমের বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের জনসংখ্যাকে সত্যিকার অর্থে জনসম্পদে রূপান্তর করা।

 

রাইজিংবিডি : এই জনসংখ্যাকে কিভাবে জনসম্পদে রূপান্তর করা যাবে?

মাশেকুর রহমান খান : আমাদের ১৬ কোটি জনসংখ্যাকে যদি সত্যিকার অর্থে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারি তাহলে আমাদের দেশের জন্য একটি বিরাট সম্পদ হবে। সারা বিশ্বে এখন দক্ষ জনশক্তির দরকার। এখন আমাদের যে ট্রেডিশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেখান থেকে যারা বের হয়ে আসছে, আমরা কি পাচ্ছি, তাদের জ্ঞান বাড়ছে কিন্তু তাদের স্কিল হওয়া দরকার। স্পেসিফিক ইন্ডাস্ট্রিতে, জবে তার দক্ষতা বাড়ানো দরকার। আমরা হিউম্যান রিসোর্সের ভাষায় বলি কম্পিটেন্স পিপল। কম্পিটেন্সি দরকার। কম্পিটেন্সি হচ্ছে নলেজ, স্কিল এবং এটিচিউড। এগুলোর সমন্বয়ে একজন মানুষ দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত হতে পারে।

 

রাইজিংবিডি : আপনাদের সংগঠনের কি ধরনের কাজ করে থাকে?

মাশেকুর রহমান খান : বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজম্যান্ট মূলত হচ্ছে মানবসম্পদ পেশাজীবীদের একটা সংগঠন। প্রতিষ্ঠার পর আমরা গ্র্যাজুয়ালি চেষ্টা করছি বিভিন্ন সভা সেমিনার সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে আমাদের জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তর করার ব্যবস্থা করতে। আমরা প্রতি মাসেই কমপক্ষে দুটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি। তাতে আমাদের মেম্বাররা ছাড়াও যে কেউ অংশ গ্রহণ করতে পারে।

 

রাইজিংবিডি : প্রশিক্ষণ কোথায় করানো হয়?

মাশেকুর রহমান খান : আমাদের প্রতিষ্ঠানেও হয় আবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়। আমারা চাচ্ছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে।

 

রাইজিংবিডি : অন্যান্য দেশের কতো পরে এসে আপনারা এই সংগঠন করার উদ্যোগ নিয়েছেন?

মাশেকুর রহমান খান : আমাদের দেশে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ সম্মেলন ২০১৬ হচ্ছে, এই পঞ্চমবারের মত। অথচ মালয়েশিয়ায় প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৭৫ সালে। থাইল্যান্ড করেছে ৩৫ বছর আগে।  তারা ৩৫ বছর আগে যে চিন্তা করেছে আমরা ৩৫ বছর পরে সেই চিন্তাটা ভাল মত করতে পারছি না। তারা অনেক আগে করেছে বলে তারা সেই সুফল পাচ্ছে। আমার করি নাই বলে আমরা সেই সুফল পাচ্ছি না। কাজেই এখনই সময় আমাদের শুরু করা দরকার।

 

রাইজিংবিডি : মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের অবস্থা কেমন? আর যদি আমরা পিছিয়ে থাকি, তাহলে পিছিয়ে থাকার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

মাশেকুর রহমান খান: এটা খুবই ভাল প্রশ্ন। আপনি পার্শবর্তী ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে দেখেন, তাদের জনসংখ্যাকে সত্যিকার অর্থে মানবসম্পদে রূপান্তর করার জন্য বহমূখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। তারা এটার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। ভারতসহ এইসব দেশগুলোতে পৃথক মানবসম্পদ মন্ত্রনালয় আছে। প্রত্যেক মিনিস্ট্রিতে মানবসম্পদ বিভাগ আছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে আমাদের মত যে পেশাজীবী সংগঠন আছে, তারা তাদের অনেক পৃষ্টাপোষকতা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের সরকারে পরিকল্পনা নেই এবং বাস্তব পদক্ষেপ নেই। আমাদের দেশে লেবার মিনিস্ট্রি আছে বা বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় আছে । এটা খুব ক্ষুদ্র পরিসরের, জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করার যে সামষ্টিক পরিকল্পনা, তা সেই অর্থে আমাদের এখানে নেওয়া হচ্ছে না।

 

রাইজিংবিডি : ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে যে সম্মেলন হতে যাচ্ছে এর মূল থিম কি?

মাশেকুর রহমান খান : সম্মেলনের মূল থিম হচ্ছে ‘এইচ আর ট্রান্সফরমেশন ফর ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’ । এইচ আর ট্রান্সফরমেশন বলতে আমরা বুঝি, এখন বিশ্ব টেকনোলজি এবং আইটি বেজ হয়ে যাচ্ছে। তাই এজন্য আমাদের কি করনীয়, কিভাবে এগোনো দরকার সেজন্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

 

রাইজিংবিডি : আমাদের জনসম্পদের বিদেশে কতোটা চাহিদা আছে, আর আমরা কতোটা দিতে পারছি বা পারছি না কেন?

মাশেকুর রহমান খান : বিদেশে আমাদের জনশক্তির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। কিন্ত আমরা চাহিদা অনুযায়ী জনশক্তি পাঠাতে পারছি না। তার কারণ তুলনামূলক ভাবে আমাদের অতো দক্ষ নেই। ভারত থেকে দক্ষ নার্স, ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান অন্যান্য দেশে পাঠাচ্ছে অথচ আমরা পাঠাতে পারছি না। তার কারণ আমাদের নার্স বা ডাক্তাররা সেইরকম দক্ষ না। কাজেই সামষ্টিকভাবে সরকার ও পলিসি মেকার যারা আছেন তাদের উচিত হবে যে একটা মানবসম্পদ মন্ত্রনালয় গঠন করা।

 

রাইজিংবিডি : মানবসম্পদ মন্ত্রনালয় গঠন ছাড়া কি আর কোন কিছু করা প্রয়োজন আছে?

মাশেকুর রহমান খান : মন্ত্রণালয় গঠনে আগে দরকার সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সমন্বয়ে জাতীয় পর্যায়ের একটা কমিটি করা। অন্যান্য দেশ কিভাবে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করেছে, মানবসম্পদ মন্ত্রনালয় কি ভাবে কার্যকর আছে, সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা আমাদের দেশে দ্রুত জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করার ব্যবস্থা দরকার। কালচারাল থাকা দরকার, প্রত্যেকটা মিনিস্ট্রিতে আলাদা মানবসম্পদ বিভাগ থাকা দরকার, জেলাগুলোতে ডিপার্টমেন্ট থাকা দরকার। যাতে বর্তমান বিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আমরা টিকে থাকতে পারি সেই জন্য দক্ষ মানবশক্তি তৈরি করা দরকার।

 

এছাড়া শিল্পপতিদের মানবসম্পদের উন্নয়েনের ওপর আরো গুরুত্ব দেওয়া দরকার। একটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা দরকার। আমাদের সপ্তম বার্ষিকী পরিকল্পনার ২য় বর্ষ চলছে। এর মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন আমরা কিভাবে করবো, কোন সেক্টরে কিভাবে ডেভেলপমেন্ট দরকার এবং বিভিন্ন মিনিস্ট্রিতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট আছে, তারা কতটুকু মানব সম্পদ উন্নয়নে অবদান রাখছে এবং প্রকৃত অর্থে কি করা দরকার, এই গ্যাপটা ফাইন্ড আউট করা দরকার। এই গ্যাপটা পূরনের জন সামষ্টিকভাবে সরকারের কাজ করা দরকার।

 

রাইজিংবিডি : আমাদের দেশে বিদেশ থেকে জনশক্তি আনার বিষয়টি আপনি কেমন ভাবে দেখছেন?

মাশেকুর রহমান খান : শুধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হলে তারা প্রাকটিক্যাল ফিল্ডে গিয়ে ঠিক মতো কাজ করেত পারবে না। তাদের সেভাবে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাইরে গেলেও দক্ষতা দরকার, এটিচিউড দরকার। আমাদের দেশেও বিদেশি কম্পিটিসন চলে আসছে, বিভিন্ন গার্মেন্টস সেক্টর বলেন, করোপেট বডিগুলোতে বলেন, আমাদের দেশে এতো জনসংখ্যা থাকতে, এতো জনসম্পদ থাকতে, বিদেশ থেকে তারা মানবসম্পদ নিতে আসতেছেন। আনতেছেন দুটা কারণে, হয়তো বা আমাদের এখানে ওরকম দক্ষতা পায় না, অথবা একটা ফ্যাশন, বিদেশ থেকে নিয়ে আসলাম।

 

আমার মনে হয় যে বাইরে থেকে মানবসম্পদ আনার ব্যাপারে সরকারের আরো রেস্ট্রিকশন আরোপ করা উচিত। যে মানবসম্পদ আমাদের এখানে একদম নাই, একেবারে হাইলি স্কিল, হাইলি টেকনিক্যাল, সেই মানবসম্পদ আমরা বিদেশ থেকে আনতে পারি। তাছাড়া সাধারন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লোক, ফিনান্সের লোক, আমাদের দেশে যথেষ্ট মানবসম্পদ আছে। আমাদের দেশেই যদি আমরা কাজে লাগাতে না পারি, তাহলে বিদেশে আমাদের কেন নেবে।

 

রাইজিংবিডি : আমাদের দুর্বলতা কোথায়?

মাশেকুর রহমান খান : আমাদের দেশের অনেক মেধাবী দেশের বাইরে গিয়ে অনেক ভাল করছে। এটা কিন্তু তাদের নিজেদের চেষ্টায় সরকারের তেমন পৃষ্ঠাপোষকতা নেই। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখবেন আমাদের বাঙ্গালি অধ্যাপক, গবেষক, টেকনোলজিস্ট আছেন। অথচ তাদের আমাদের দেশের উন্নয়নের কাজে লাগাতে পারছি না বা লাগানো হচ্ছে না। তার কারণ তাদের আমরা ওই ভাবে মূল্যায়ন করছি না। সরকারের নলেজেই নাই, ওই হিসেবই নাই।

 

এই জনসংখ্যার মধ্যে হয়তো পরিসংখ্যন আছে কার্যক্ষম লোক কত। যারা কার্যক্ষম না, যারা ভবিষ্যতে কার্যক্ষম হবে। আজকে যারা শিশু তারাও তো কিছু দিন পর কর্মক্ষম হবে, তারা কোথায় যাবে। মালয়েশিয়ার উন্নয়নে মাহতীর মোহাম্মদ প্রথম প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তার কারণ, ওনার ভিশন ছিলো ২০ বছর পরে। বিশ বছর পরে দেশ কোথায় যাবে।

 

রাইজিংবিডি : আমাদের দেশে  শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার মতামত বলবেন কি, কোথাও কি কোন দুর্বলতা আছে?

মাশেকুর রহমান খান: যেখানে মাহথির প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন সেখানে আমাদের দেশে দেখেন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই অবহেলিত। ক্লাস ফাইভে, এইটে, এসএসসিতে, এইচএসসিতে একটা পাবলিক এক্সাম করি। আমাদের জিপিএ ফাইভ অনেক গোল্ডের ফাইভের অভাব নেই। অথচ এতো গোল্ডেন এতো ডায়মন্ড থাকার পরও গতবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র দুইজন ইংরেজিতে চান্স পেয়েছে। এরকম জিপিএ ফাইভ দিয়ে তো আমাদের দরকার নেই। আমাদের কর্মক্ষম লোক দরকার, যে আমাদের আউটপুট ডেলিভার করতে পারবে। শুধু গোল্ডেন হলে হবে না।

 

আমাদের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে স্পেশালাইজড দরকার। প্রথমত, প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে খুবই ভালভাবে করা দরকার। একদিকে যেমন একাডেমিকের পাশাপাশি এথিকস, নৈতিক ভ্যাল্যুজগুলো গড়ে তোলা দরকার। যে বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করে দেশে এবং বিদেশে কাজ করতে পারবে। আমাদের বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বিদেশ থেকে লোক নিয়ে আসে। আমরা যদি তৈরি করতে পারি তাহলে তারা কেন বিদেশ থেকে আনবে। তবে এ জন্য সরকারের পৃষ্ঠাপোষকতা দরকার।

 

রাইজিংবিডি : বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করার পরও তাদের অনেকে দক্ষ হচ্ছে না, এজন্য দায়ী কারা?

মাশেকুর রহমান খান : আমি ছাত্রদের দোষ দেবো না। এমবিএ পাশ করে তারা তো তাদের একটা অবলম্বন চাইবে । দেশে যারা নীতি নির্ধারণী দায়িত্বে আছেন তারা তাদের কতোটা দক্ষ করে তুলছে তা দেখার বিষয়। চিনে দেখেন, তারা একসময় চেয়েছিল জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে একেবারে শূন্যের কোঠায় আনা বা কমানো। এখন তারা আবার মনে করছে তাদের আরো জনসংখ্যা দরকার।

 

রাইজিংবিডি : যে সব দেশ জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের পদক্ষেপ নিচ্ছে, আমরা কি তাদের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারি না, আমার তাদের ফলো করবো না তারা জনসম্পদ তৈরির জন্য আমাদের ফলো করবে।

মাশেকুর রহমান খান : এই মুহুর্তে তা সম্ভব না। এটা খুবই কঠিন। তবে কিছুই অসম্ভব না। অবশ্য বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। যদি আমাদের স্বদিচ্ছা থাকে, হানাহানি, রাজনৈতিক সহিংসতা, একদল আরেক দলের ওপর আক্রোমন, দোষারোপ-এগুলো বাদ দিয়ে যদি দেশ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সুষ্ঠ গনতান্ত্রিক ধারায় কাজ করি তবে এটি সম্ভব। আমাদের দেশের রাজনীতিকরা দেশের জন্য মেধা দেওয়ার চেয়ে একদল আরেক দলকে প্রতিহত করার জন্য মেধা বেশি ব্যয় করে। আমরা একাত্তরে যদি যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করতে পারি তাহলে কেন আমরা এই স্বাধীন দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো না। সবার মনোভাব পরিবর্তন করা দরকার। দেশাত্ববোধ বাড়ানো দরকার। একটাসময়ে থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুরের অবস্থা আমাদের চেয়ে খারাপ ছিলো। তারা পারলে আমরা কেন পারবো না। আমার ধারণা বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষই ভাল। আর ৫ ভাগ ভাল তা। এই ৫ ভাগ লোক দেশটাকে জিম্মি করে রেখেছে।

 

রাইজিংবিডি : রাইজিংবিডিকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

মাশেকুর রহমান খান : আপনাদেরও ধন্যবাদ যে আপনারা ধৈর্য্য সহকারে আমার কথা শুনেছেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ মার্চ ২০১৬/আরিফ/নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়