ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

১৭ বছরেও সাংবাদিক মুকুল হত্যার বিচার শেষ হয়নি

সাকিরুুুল কবীর রিটন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০০:৫২, ৩০ আগস্ট ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৭ বছরেও সাংবাদিক মুকুল হত্যার বিচার শেষ হয়নি

আরএম সাইফুল আলম মুকুল

সাকিরুল কবীর রিটন, যশোর : যশোরের দৈনিক রানার সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুল হত্যামামলার বিচার ১৭ বছরেও শেষ হয়নি। এই দীর্ঘ সময়ে নানা জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে এ মামলার কার্যক্রম।

 

এ অবস্থায় আজ রোববার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাংবাদিক মুকুলের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

 

এ উপলক্ষে প্রেসক্লাব ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোকর‌্যালি, শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল।

 

বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম পিটু জানিয়েছেন, শিগগিরই এ মামলার যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) শুরু হবে। এরপরই রায়ের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি হবে।

 

১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। পরদিন নিহতের স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন কারো নাম উল্লেখ না করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

পরবর্তীকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন এএসপি দুলাল উদ্দিন আকন্দ ৯৯ সালের ২৩ এপ্রিল সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এক পর্যায়ে আইনি জটিলতার কারণে মামলার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে। এ কারণে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি হাইকোর্ট থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়।

 

দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ থেকে মুকুল হত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে বর্ধিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সিআইডি কর্মকর্তা মওলা বক্স নতুন দুজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

 

২০০৬ সালের ১৫ জুন যশোরের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মুকুল হত্যা মামলার চার্জ গঠন করা হয়।

 

এ সময় মামলা থেকে তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও রূপম নামে আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১০ সালে মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এ।

 

আদালত সূত্র জানায়, মুকুল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আসামি ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি ফারাজী আজমল হোসেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদন করেন।

 

এক আসামি উচ্চ আদালতে যাওয়ায় ফের মুকুল হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। পরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ ফারাজী আজমল হোসেনের অংশ বাদ রেখে ফের বিচার কার্যক্রম শুরু করে।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম পিটু জানান, মুকুল হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মামলার সাক্ষী শেষ হয়ে গেছে।

 

এখন বিচারিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আসামিদের বক্তব্য নেওয়া হবে। এরপর শুরু হবে যুক্তিতর্ক। যুক্তিতর্ক শেষে দ্রুতই হত্যার বিচার পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

 

রাইজিংবিডি/যশোর/৩০ আগস্ট ২০১৫/সাকিরুুুল কবীর রিটন/রহমান

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়