ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেতে আরো তিন বছর লাগবে’

হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ২ জুলাই ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেতে আরো তিন বছর লাগবে’

আবুল মাল আবদুল মুহিত

বিশেষ প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশের আরো তিন বছর লাগবে। আর এ চূড়ান্ত স্বীকৃতি দেবে জাতিসংঘ। তত দিন বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা পাবে।

 

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকা সফররত ভুটানের অর্থমন্ত্রী লিয়ন পো ন্যামগে দর্জির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

বিশ্বব্যাংকের মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করে মুহিত বলেন, ‘গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় রয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসাটা এক ধরনের প্রমোশন ও সন্তুষ্টির বিষয়। এ ধরনের স্বীকৃতিতে আত্মগরিমা বাড়ে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংককে আমরা কিছু বলি নাই। তারা  নিজে থেকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। এজন্য খুব ভালো লাগছে।’

 

বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আগে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্ত সুবিধা পাচ্ছিল। সেগুলো আর পাওয়া যাবে কি না- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত স্বীকৃতি দেবে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের বোর্ড সভায় এটি অনুমোদিত হতে হবে। আর এজন্য আরো তিন-চার বছর সময় লাগবে। তত দিন বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধাসমূহ পাবে।

 

ভুটানের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, ভুটান বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ভালো বন্ধু। দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে। কানেকটিভিটি বাড়াতে অবকাঠামোগত সমস্যা কেটে গেলে ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়বে।

 

তিনি বলেন, এ ছাড়া ভুটান থেকে ১ হাজার মেগাওয়াাট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভুটান হয়ে নেপাল-ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন টানা হবে।

 

ভুটানের অর্থমন্ত্রী লিয়ন পো ন্যামগে দর্জি বলেন, ভুটান-বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধু। ১৯৭১ সালে ভুটান বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রমশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। দেশের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন অতি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেটা শান্তি ধ্বংস করে। বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে দুই দেশ একসঙ্গে পথ চলবে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জুলাই ২০১৫/হাসনাত/নওশের/কমল কর্মকার

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ