ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘জলবায়ু অর্থায়ন প্রাপ্তির বিষয়টি আমাদের অধিকার’

নঈমুদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২ জুলাই ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘জলবায়ু অর্থায়ন প্রাপ্তির বিষয়টি আমাদের অধিকার’

ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলবায়ু অর্থায়নের পরিমাণ আশাব্যঞ্জক না হলেও ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ আন্তর্জাতিক অর্থায়নের জন্য আমাদের সোচ্চার হতে হবে। জলবায়ু অর্থায়ন প্রাপ্তির বিষয়টি আমাদের অধিকার এবং আন্তর্জাতিক অর্থায়ন প্রাপ্তিতে আমাদের সামর্থ্য বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পিকেএসএফ সম্মেলন কক্ষে ‘জলবায়ু ফাইন্যান্সিং’ শীর্ষক কর্মশালায় পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ এ কথা বলেন। পিকেএসএফ-এর ‘কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট (সিসিসিপি)’ প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

 

তিনি বলেন, দেশীয় অর্থায়নের মাধ্যমে আমাদের যে কার্যক্রম সেটি যথেষ্ট স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভবিষ্যতে যাতে এই অর্থায়ন বন্ধ হয়ে না যায় সেদিকে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

 

আলোচনার শুরুতে পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম বলেন, বাংলাদেশ অন্যতম জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা একটি দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিঘাত সফলভাবে মোকাবেলা করতে জলবায়ু অর্থায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

তিনি বলেন, দেশীয় অর্থায়ন, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও কার্বণ মার্কেট জলবায়ু অর্থায়নের অন্যতম প্রধান উৎস। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সব উৎস হতে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে আমাদের সামর্থ্য বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

 

সেমিনারে আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমাদ, জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ, পিকেএসএফ।

 

তিনি তার প্রবন্ধে আন্তর্জাতিক ভাবে বিভিন্ন সূত্রে অর্থায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় তিনি বলেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন কনভেশনের আওতায় ইতোমধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য তহবিল, বিশেষ জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল, অভিযোজন তহবিল ও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠিত হলেও উক্ত তহবিলসমূহের মাধ্যমে অর্থায়নের প্রবাহ উল্লেখযোগ্য নয়।

 

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি গঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানে উন্নত দেশসমূহ অঙ্গীকার করেছে। এই অর্থ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল এবং এই অর্থ আগামী চার বছরে ব্যয় করা হবে। তাছাড়া ২০১০ সালে কানকুন সম্মেলনে উন্নত দেশসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় ২০২০ সন নাগাদ প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের যে অঙ্গীকার করেছিল, এখনো তা প্রতিপালনের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

 

ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের সচিব রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঝুকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে তহবিল গঠন করা বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ শুধুমাত্র উন্নত দেশ কর্তৃক প্রাপ্ত অর্থায়নের দিকে না তাকিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিঘাত মোকাবেলায় কাজ করছে।

 

তিনি বলেন, গত সাত অর্থবছরে সরকার জাতীয় বাজেটের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে তিন হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। উক্ত অর্থায়ন দ্বারা প্রধানত জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

 

ট্রাস্ট ফান্ড ট্রাস্টি বোর্ডের নির্দেশনায় পরিচালিত হয় এবং একটি টেকনিক্যাল কমিটি ট্রাস্টি বোর্ডকে সহায়তা প্রদান করে থাকে। ট্রাস্ট ফান্ড পরিচালনার জন্য একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় জনশক্তি রয়েছে। ফান্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জুলাই ২০১৫/নঈমুদ্দিন/নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়