ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘পঞ্চম দিনে অনর্থক চার-পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা’

ইয়াসিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ৩ আগস্ট ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘পঞ্চম দিনে অনর্থক চার-পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা’

মুশফিকুর রহিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক : এভাবে খেলা শেষ হবে তা ভাবতেও পারেননি মুশফিকুর রহিম। রোববার দুপুরের পর থেকে ঢাকার কোথাও বৃষ্টি নেই। চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণার পর পরই পুরো স্টেডিয়াম সূর্যের আলোয় আলোকিত।

 

পঞ্চম দিনেও একই অবস্থা। সকাল থেকেই রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া। কিন্তু টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে মাঠ খেলার অনুপযুক্ত। সকালে দুই অনফিল্ড আম্পায়ার মাঠ পর্যবেক্ষণের পর ম্যাচ রেফারির কাছে রিপোর্ট করেন। আর ম্যাচ রেফারি টেস্টে ম্যাচের কোনো ভবিষ্যত না দেখে ড্র ঘোষণা করে দেন।

 

সোমবার সকালে মাঠ পর্যবেক্ষণের পর আম্পায়ার ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটলবোরোর ভাষ্য, ‘এই মুহূর্তে মাঠের আউটফিল্ড টেস্ট ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত নয়। মাঠ ঠিক হতে চার-পাঁচ ঘন্টার প্রয়োজন হবে। টেস্ট ক্রিকেটে পঞ্চম দিন পর্যন্ত চার-পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষা করা অনর্থক। এ কারণে ম্যাচ শেষ করে দেওয়া হয়েছে।’

 

 

তিনি যোগ করেন, ‘শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের চেয়ে  চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা অনেক ভালো।’

 

আম্পায়ারদের এ রকম সিদ্ধান্তে কিছুটা বিস্মিত হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ দশ বছরের ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম এ রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন টাইগার দলপতি। সোমবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি। এবারই প্রথম এ অবস্থা দেখলাম। ম্যাচ অফিসিয়ালরা যা ভেবেছেন সেটা তাদের ব্যাপার। নিয়ম নিয়ে তো আর আমরা কিছু বলতে পারবো না। আমার মনে হয় না দুই দলের কাউকেই এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পড়লে যেন আমাদের জিজ্ঞেস করে।’

 

মাঠ নিয়ে মুশফিকুর রহিমের ভাষ্য, ‘মাঠের কিছু কিছু জায়গায় একটু পানি জমে ছিল। সূর্য পুরোপুরি না থাকলে শুকানো হয়তো অসম্ভব ছিল। পুরো মাঠ ঢেকে রাখা কঠিন। যতুটুক জায়গা ঢেকে রাখা হয়েছে ততটুকু ভালো ছিল। সেদিক থেকে বলবো হয়তো বা ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি হলে হয়তো খেলা হতে পারতো।’

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ আগস্ট ২০১৫/ইয়াসিন/সুমন মুস্তাফিজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়