ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘পাবলিকের কল্যাণ সাধনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ’

মেহেদী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৯, ২০ আগস্ট ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘পাবলিকের কল্যাণ সাধনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ’

অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন রাইজিংবিডির রাবি প্রতিনিধি মেহেদী হাসান

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। শিক্ষাজীবন শেষে ওই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর এই কৃতী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠটির উপাচার্যের দায়িত্ব নেন তিনি।

 

দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে পরিকল্পনা নেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা করেন। যার ফলে রাজশাহী মহানগরের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন হয় প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী এই উপাচার্যের।

 

উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ১৪ জুলাই লন্ডন সফরে যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত দলে একমাত্র উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। এ দলের সদস্য হিসেবে তিনি বাংলাদেশের ৩৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিদ্ধ সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১৬ দিন সফর শেষে ৩০ জুলাই ফিরে আসেন দেশে।

 

সফর শেষে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনে। ব্যস্ততার মাঝেও অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডির সঙ্গে বিদেশ সফরের নানা অভিজ্ঞতা, শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপ, শিক্ষার সার্বিক অবস্থা প্রভৃতি বিষয়ে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন রাইজিংবিডির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মেহেদী হাসান

 

 

রাইজিংবিডি : উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে রাষ্ট্রীয় সফরের দরুন দেশের বাইরে ঈদ করতে হয়েছে আপনাকে। কেমন কাটল এবারের ঈদ?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : এর আগে কখনও দেশের বাইরে পরিবার ছেড়ে ঈদ উযাপন করিনি। দেশের বাইরে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহৎ পরিবারের প্রধান হিসেবে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে পারিনি বলে খারাপ লাগছিল। তবে আমি সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব খবর রাখতাম।

 

রাইজিংবিডি : এ টিমে কতজন সদস্য ছিলেন?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : শিক্ষা সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, ইউজিসির পরিকল্পনা উন্নয়ন পরিচালকসহ ১২ সদস্যের সরকারি উচ্চ পর্যায়ের একটা টিম ছিল।

 

রাইজিংবিডি : কতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সফর করেছেন?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : এটি ১৬ দিনের একটি সংক্ষিপ্ত সফর ছিল। যুক্তরাজ্যের লন্ডন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় সফর করা হয়।

 

রাইজিংবিডি : এ সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে যদি বলতেন?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : পৃথিবীটা এখন গ্লোবাল ভিলেজ। আমাদের দেশের গ্রাজ্যুয়েটদের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে হলে শুধু দেশের নয়, বিদেশের গ্রাজ্যুয়েটদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়। কিন্তু আমাদের উচ্চশিক্ষার মান একটা সমস্যা। গ্লোবাল স্ট্যার্ন্ডাড অর্জন করতে পারছি না। এজন্য গ্লোবাল র্যাং কে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান নেই। র্যাং কিংয়ে আসতে হলে মান বৃদ্ধি প্রয়োজন। এ বিষয়গুলো চিন্তা করে শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে। যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিদেশে লেখপড়ার আরো সুযোগ পায়, শিক্ষক ও গবেষকরা উন্নত বিশ্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে পারে, বৈদেশিক সহযোগিতা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে চেষ্টাও চলছে। এরমধ্য দিয়ে গ্লোবাল ভিলেজ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি প্রয়োগ-উপায় সম্পর্কেও আমরা জানতে পারব। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে সরকার ও ইউজিসির (মঞ্জুরি কমিশন) উদ্যোগে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১২ সদস্যের একটি দল গঠন করে বিদেশ সফরের ব্যবস্থা করা হয়।

 

রাইজিংবিডি : ১৬ দিনের এই সফরে কোন কোন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছেন?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : প্রথমে আমরা ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে যাই। সেখানে উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় হয়। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দু’দেশে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা হয়। লন্ডনের কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স অথরিটি,  যেটা শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে, তাদের সঙ্গে কথা হয়। উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করতে তারা যে বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করছে, সে সম্পর্কে আমরা জেনেছি এবং সেই অনুযায়ী রাবিতে ব্যবস্থা নিয়েছি। লন্ডন থেকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে যাই। বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকরা যাতে আরো বেশি সেখানে যেতে পারে, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ওহিয়োর কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটিতে যাই। সেখানে আইটি ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে রাবির আইটি ডেভেলপমেন্টের বিষয়ে কথা বলেছি। তারা এতে খুব আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মেডিসিন বা অন্য বিষয়েও আমরা আলাদাভাবে কাজ করছি। এ ছাড়া ওহিয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির এগ্রিকালচার ফ্যাকাল্টি খুব শক্তিশালী। বারি’র (বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) সঙ্গে ওদের যোগাযোগ আছে। বোস্টনের পৃথিবী বিখ্যাত এমআইটিতে (ম্যাস্যাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) যাই। তারা বলেন, আমরা হাত এবং মনকে এক করে কাজ করি। হাত হলো শক্তিমত্তার প্রতীক। সুতরাং হাত হলো প্রযুক্তি আর মন হলো মানববিদ্যা। তারা এ ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এরপর ওখান থেকে আমরা চলে যাই- নিউইয়র্কে। সেখানে কলোম্বিয়া ও সিটি ইউনিভার্সিটি, এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। সিটি ইউনিভার্সিটি অনেকগুলো কলেজ নিয়ে গঠিত। তারা আমাদের পর্যাপ্ত সময় দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার কথা বলেছেন। তাদের প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে আলাদা প্রশাসনিক কাঠামো আছে। আবার সেন্ট্রাল একটা প্রশাসন ফেডারেল হিসেবে আছে।

 

রাইজিংবিডি : ওই দুই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভিশন সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : তাদের ভিশন আর আমাদের ভিশনের পার্থক্য হলো- বাস্তব জীবনে সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দায়িত্ব, তা পালন করা হচ্ছে না। ওদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানুষের কল্যাণে কাজ করে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু পাবলিকের টাকায় চলে, সেহেতু পাবলিকের কল্যাণ সাধনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। আমরাও পাবলিকের (জনগণের) টাকায় চলি, কিন্তু আমরা কতটুকু কল্যাণ করছি, তা আজো প্রমাণ করতে পারিনি।

 

রাইজিংবিডি : যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে এদেশের সামঞ্জস্যতা কেমন?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অ্যাকাডেমিক সিলেবাস কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঠিক আছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক নয়। আমরা তাদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছেন। সেখানে ব্যবহারিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের দেশের বিজ্ঞানী-গবেষকদের বলি, আপনাদের গবেষণা কী কাজে লাগছে দেশের জন্য? তবে হ্যাঁ, ফার্মেসিতে আমরা কিছুটা এগিয়ে। প্রায় ৭০টা দেশে আমরা ওষুধ রপ্তানি করছি। এ রকম প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে হওয়া দরকার। আমাদের দেশের দুইটা কোম্পানির ওষুধ আমেরিকাতে রপ্তানির সুযোগ পেয়েছে। এ রকম সব ক্ষেত্রেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

 

রাইজিংবিডি : আমাদের দেশে অর্থনৈতিক সমস্যা আছে, শিক্ষাখাতে বাজেট কম...।

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : মেনে নিচ্ছি আমাদের দেশে অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে। তারপরও আশার দিক হলো- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীনে প্রায় ৩০টি হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ) চালু রয়েছে। এসব প্রজেক্ট সেসব ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে, তার মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্স অন্যতম। যেমন- হেকেপের মাধ্যমে রাবির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ অনেকটা আধুনিকতায় রূপান্তর করা সম্ভব হয়েছে। আমরা যে পরিমাণ প্রজেক্ট পেয়েছি, তাতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটা পরিবর্তন আসছে। এগুলোর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন করার ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি। আমার সফর সেটারও একটা অংশ।

 

রাইজিংবিডি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্ত অর্থের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কী?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : বিশ্ববিদ্যালয় মান নিয়ন্ত্রণ সেল গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তারা প্রত্যেকটা বিভাগের পর্যবেক্ষণ করবেন। প্রথমিকভাবে ১৮টি বিভাগকে বেছে নেওয়া হয়েছে এবং কাজও শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কীভাবে মূল্যায়ন করে, শিক্ষকরা কীভাবে ক্লাস নেন- এগুলো দেখা হবে। আগামী তিন বছর এ কার্যক্রম চলবে এবং প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলেও শিক্ষার মান ত্বরান্বিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এটা অব্যহত থাকবে।

 

রাইজিংবিডি : শিক্ষাখাতে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কেমন পার্থক্য বলে মনে করেন?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সফট লোন পেয়েছি এবং পাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আয়ের নিজস্ব উৎস আছে এবং অর্থ বরাদ্দে  সরকারের কিছু প্রাধান্য দেওয়ার বিষয় আছে। যেমন- দরিদ্রদের সাহায্য করার দিকটা গুরুত্ব দিতে হয় আমাদের মতো দেশে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো উন্নতদেশগুলোতে করতে হয় না। এজন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ একটু কমে যায়।

 

রাইজিংবিডি : স্বায়ত্তশাসনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের পার্থক্য কেমন?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক স্বাধীন। আমাদের মতো এত কম খরচে পড়ালেখা অন্য কোথাও নেই। সেখানে অনেক টাকা দিয়ে পড়তে হয়। তবে সেখানে সরকারও অর্থ দেয়। এক্ষেত্রে দু’দিকেই আমাদের ঘাটতি আছে। আমরা খুব কম খরচে লেখাপড়া করছি। এ ব্যপারে পুনঃমূল্যায়ন দরকার।

 

রাইজিংবিডি : এদেশের মানুষ অনেক দরিদ্র। খরচ বৃদ্ধি হলে শিক্ষার সুযোগ নষ্ট  হবে কি না?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : হ্যাঁ, ঠিক আছে ! কারণ আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম কাজ করার সুবিধাও অনেক কম। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি- যারা গরীব তাদের বৃত্তি দেওয়া এবং যারা ধনী তাদের কাছ থেকে বেশি বেতন নেওয়া উচিৎ। দেখুন, আমরা সন্তানকে দেশের বাইরে পড়াতে গেলে অনেক টাকা ব্যয় করি। কিন্তু নিজের দেশে করতে চাই না।

 

রাইজিংবিডি : এগুলোর জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন...।

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : যদি আমাদের যে সম্পদ আছে, সেটাকে যথাযথ ব্যবহার করি, শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস নিলে, শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে ক্লাসে উপস্থিত হলে এবং লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করলে, ইন্টারনেট সুবিধা যথাযথভাবে ভোগ করলে, নিশ্চয় উন্নত করা সম্ভব। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা বেশ কিছু পরিবর্তন করতে পেরেছি। অর্থের প্রয়োজন অবশ্যই আছে। তবে অর্থের চাইতে আগে দরকার নিজস্ব উদ্যোগ। আমাদের অনেক স্বভাব পাল্টানোসহ কিছু সাংস্কৃতিক উন্নয়নও দরকার। মন ও চিন্তা-চেতনার জগৎকে যদি আমরা পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে অনেক কিছু অর্থ ছাড়াই পরিবর্তন সম্ভব। শুধু বাইরের এটা, ওটা সাহায্য পেতে হবে,  এমন নয়। আমাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে।

 

রাইজিংবিডি : এ সফর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে লাভবান হবে?

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : সফর থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাগুলো যদি কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অনেক লাভবান হবে। অন্যথায় এটা গতানুগতিক সফরের মতোই হবে। আমি চাই এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পরিবর্তন আনতে। সরকারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করেছি। শুধু সরকার নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টজনেরা সার্বিক সহযোগিতা করলে, দ্রুত মানোন্নয়ন সম্ভব।

 

রাইজিংবিডি : মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মুহম্মদ মিজানউদ্দিন : আপনাকেও ধন্যবাদ।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ আগস্ট ২০১৫/মেহেদী/নিয়াজ/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়