‘সাকা চৌধুরীর রায়ে বিএনপির দুর্গে গোলা নিক্ষিপ্ত হয়েছে’
ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু
ঢাবি প্রতিনিধি : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপি প্রশাসনিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে কিন্তু তারা এখনো পাল্টা আঘাত হানার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সুতরাং দেশে মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচর্চার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে সাকা চৌধুরীর বিচারের রায়ের মাধ্যমে ওদের দূর্গে একটি গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে তারা মর্মাহত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে শহীদ কর্ণেল তাহের দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
কর্ণেল তাহের সংসদের সভাপতি হায়দার আকবর খান রনোর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, অধ্যাপক অজয় রায়, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ প্রমুখ।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া সন্ত্রাসের নেত্রী। আগুন সন্ত্রাসের নেত্রী খালেদা প্রতি পদে পদে জেনারেল জিয়াকে অনুসরণ করেন। খালেদা জিয়া ও জেনারেল জিয়া দুজনেই প্রতিপক্ষকে শারিরীকভাবে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছেন। দু’জনেই সাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচর্চার উপর আঘাত করে গেছেন এখনো করছেন।’
জামায়াত প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামরিক শাসনের হাত ধরে জেনারেল জিয়া তাদেরকে পরগাছার মতো এদেশে এনে ঢুকিয়েছিলেন। জিয়া সাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি কর্ণেল তাহেরকে হত্যা ক্যান্টনমেন্টকে কসাইখানা বানিয়েছিলেন। আড়াই হাজারেরও বেশী মানুষকে তিনি হত্যা করেন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন, সবাইকে নিয়ে গণতন্ত্রের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। আমি জানতে চাই সবাই বলতে কারা? এরমধ্যে কি যুদ্ধাপরাধীরা থাকবেন? এরমধ্যে কি সন্ত্রাসের নেত্রী থাকবেন? এখানে কি জঙ্গীবাদিরা থাকবে? তারা যদি থাকে তাহলে সবাইকে নিয়ে গণতন্ত্রের প্রতিপাদ্য সঠিক নয়।
তিনি বলেন, খালেদার প্রত্যক্ষ মদদে মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারি তাহলে খালেদা জিয়ারও বিচার একদিন ঠিকই এদেশের মাটিতে হবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ’৭৫’র পর থেকে জিয়ার ক্ষমতা দখল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী পথেই পরিচালিত হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর পর তারা বুঝতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের আর জায়গা থাকবে না। সেজন্যেই তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেয়। তারা সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
তিনি বলেন, এখন তারা বলছে, কোন তত্ত্বাবধায়ক লাগবে না। এই সরকারের অধীনেই একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন দিলেই হবে। কিন্তু সেখানে কারা অংশ নেবে। বেগম জিয়া যদি জামায়াতকে দল থেকে বের করে দেয় তাহলে আমরা নির্বাচনের প্রস্তাব গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, যেদিন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে রেখে দেওয়া হলো সেদিন পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম, এর মাধ্যমে মৌলবাদিদের বীজ রেখে দেওয়া হলো আর সেক্যুলার শক্তিকে দূরে ঠেলে দেয়া হলো।
অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ১৪ কোটি বিশ্বাস করে বাংলাদেশ এখনো সেক্যুলার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। যারা বাংলাদেশকে একটি কট্টরপন্থী ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। আমরা পূরণ করতে দিব না। দুয়েকজন অভিজিৎ কিংবা বাবু মারা গেলে কিছু আসে যায় না।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ জুলাই ২০১৫/ইয়ামিন/নওশের
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন