ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘গোলাপি’ টেস্টে বাংলাদেশের বিবর্ণ দিন

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২২ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘গোলাপি’ টেস্টে বাংলাদেশের বিবর্ণ দিন

ছবি: মিলটন আহমেদ

ইডেন গার্ডেনে দিবারাত্রির টেস্টে বড় লিডের পথে আছে ভারত।

প্রথম দিন ভারতের

উপমহাদেশে প্রথম গোলাপি বলের টেস্টের প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। শুক্রবার প্রথম দিন ভারতীয় পেসারদের তোপে পড়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১০৬ রানেই। দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭৪ রান। লিড ৬৮ রানের। বিরাট কোহলি ৫৯ ও অজিঙ্কা রাহানে ২৩ রানে অপরাজিত আছেন।

কোহলির ফিফটি

আগের টেস্টে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। বিরাট কোহলি এবার করলেন ফিফটি। ৪৬ থেকে ইবাদত হোসেনকে চার হাঁকিয়ে ৭৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন ভারত অধিনায়ক। এটি তার ২৩তম টেস্ট ফিফটি।

ইবাদতের দ্বিতীয় শিকার পুজারা

দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন ইবাদত হোসেন। চেতেশ্বর পুজারাকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেয়েছেন ডানহাতি পেসার।

বাড়তি বাউন্স পেয়েছিল বলটা। যেটা আশা করেননি পুজারা। ডিফেন্স করতে চেয়ে খোঁচা দেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ নিতে ভুল করেননি সাদমান ইসলাম।

পুজারা ১০৫ বলে করেন ৫৫ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৯৪ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। ভারতের রান তখন ৩ উইকেটে ১৩৭। বিরাট কোহলির সঙ্গী অজিঙ্কা রাহেনে।

পুজারার ফিফটি

ইবাদত হোসেনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন চেতেশ্বর পুজারা। ৯৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করতে ৮টি চার মারেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এটি পুজারার ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটি।  

ভারতের লিড

দুই ওপেনার ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে চেতেশ্বর পুজারা ও বিরাট কোহলির ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা।

২৮ ওভার শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ১০৭। লিড ১ রানের। পুজারা ৩৯ ও কোহলি ৩২ রানে অপরাজিত আছেন।

ইবাদতের শিকার রোহিত

জীবন পাওয়ার পর সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না রোহিত শর্মা। চা বিরতির পর প্রথম ওভারেই তাকে ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছেন ইবাদত হোসেন।

এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে রোহিত করেন ২১ রান। তখন ভারতের রান ২ উইকেটে ৪৩। চেতেশ্বর পুজারার সঙ্গী হয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

জীবন পেলেন রোহিত

চা বিরতির আগে শেষ ওভারে জীবন পেয়েছেন রোহিত শর্মা। আবু জায়েদের শর্ট বল পুল করেছিলেন রোহিত। ফাইন লেগে সহজ ক্যাচটা নিতে পারেননি আল-আমিন হোসেন। তখন ১২ রানে ব্যাট করছিলেন রোহিত।

 

 

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ‘কনকাশন সাব’

লিটন দাস মাথায় আঘাত পাওয়ায় তার বদলি হিসেবে খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।  ব্যাটিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পাওয়া আরেক ক্রিকেটার নাঈম হাসানও আর খেলতে পারছেন না এই টেস্টে। দ্বিতীয় ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে নেমেছেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুল যেহেতু একজন বোলারের জায়গায় এসেছেন, তাই তিনি বোলিং করতে পারবেন। যেটা মিরাজ পারবেন না।

গত অ্যাশেজে ‘কনকাশন সাব’ নিয়ম চালু হওয়ার পর এই প্রথম কোনো দলের এক ইনিংসে দুইজন বদলি নামানো হলো!

যত কনকাশন সাব

মূল খেলোয়াড়

বদলি

প্রতিপক্ষ

ভেন্যু

স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)

মার্নাস লাবুশেন

ইংল্যান্ড

লর্ডস

ড্যারেন ব্রাভো (উইন্ডিজ)

জার্মেইন ব্ল্যাকউড

ভারত

কিংসটন

ডিন এলগার (দ. আফ্রিকা)

থিউনিস ডি ব্রুইন

ভারত

রাঁচি

লিটন দাস (বাংলাদেশ)

মেহেদী হাসান মিরাজ

ভারত

কলকাতা

নাঈম হাসান (বাংলাদেশ)

তাইজুল ইসলাম

ভারত

কলকাতা

আল-আমিনের শিকার মায়াঙ্ক

দলে ফেরা আল-আমিন হোসেন এনে দিয়েছেন প্রথম সাফল্য। তার বলে আউট হয়েছেন আগের টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মায়াঙ্ক আগারওয়াল।

ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বল পয়েন্টে খেলতে চেয়েছিলেন মায়াঙ্ক। তবে ব্যাটে লাগেনি ঠিকমতো। দ্রুতগতিতে বল যায় গালিতে। দারুণভাবে বল তালুবন্দি করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মায়াঙ্ক করেন ১৪ রান। পঞ্চম ওভারে তার বিদায়ের সময় ভারতের রান ১ উইকেটে ২৬। রোহিত শর্মার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা।

১০৬ রানেই শেষ বাংলাদেশ

আবু জায়েদ রাহীকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ শামি। প্রথম ইনিংসে ৩০.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে মাত্র ১০৬ রানে। সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে। ভরতের হয়ে ইশান্ত শর্মা ২২ রানে নেন সর্বোচ্চ ৫ উইকেট।

বাংলাদেশের এই ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন ১২ জন। ব্যাটিংয়ের সময় লিটন দাস মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়লে পরে তার বদলি হিসেবে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

ইশান্তের পাঁচ

নাঈম হাসানকে বোল্ড করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেছেন ইশান্ত শর্মা। বাংলাদেশ হারিয়েছে নবম উইকেট। বাংলাদেশের প্রথম ১২ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন আবু জায়েদ রাহী।

পারলেন না মিরাজ

লিটন দাসের বদলি হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। ইশান্ত শর্মার চতুর্থ শিকার হওয়া মিরাজ করেছেন ৮ রান।

 

 

মেহেদী হাসান মিরাজ এই টেস্টের একাদশেই ছিলেন না। সেই তিনিই ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেলেন! মাথায় চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন লিটন দাস। পরে আর ব্যাটিংয়ে নামেননি তিনি। ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে নেমেছেন মিরাজ।

গত অ্যাশেজ থেকে শুরু হয়েছে নতুন এই নিয়ম। ম্যাচে কোনো ক্রিকেটার মাথায় আঘাত পেয়ে খেলা চালিয়ে যেতে না পারলে সেই ক্রিকেটারের বদলি নামানো যাবে। যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কনকাশন সাব’।

ইশান্তের আরেকটি

ইশান্ত শর্মার চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরেছেন ইবাদত হোসেন। বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন ইবাদত। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৭ উইকেটে ৮২ রান।

এবার হেলমেটে আঘাত নাঈমের

লাঞ্চের আগে মোহাম্মদ শামির বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পেয়েছিলেন লিটন দাস। বিরতির পর আর ব্যাটিংয়ে নামেননি তিনি। বিরতির পর শামির আরেকটি বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পেয়েছেন নাঈম হাসানও। ফিজিওর সেবা নিচ্ছেন তিনি।

ব্যাটিংয়ে নেই লিটন

লাঞ্চের আগে মোহাম্মদ শামির বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পেয়েছিলেন লিটন দাস। এরপর কিছুক্ষণ খেলা চালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে মাঠ ছাড়েন তিনি। লাঞ্চ বিরতির পর আর ব্যাটিংয়ে নামেননি লিটন। নাঈম হাসানের সঙ্গে নেমেছেন ইবাদত হোসেন।

প্রথম সেশনে অসহায় বাংলাদেশ

ভেন্যু বদলেছে। বদলেছে বল। কিন্তু বদলেনি বাংলাদেশের ব্যাটিং! গোলাপি বলের টেস্টেও ভারতীয় পেসে টালমাটাল বাংলাদেশের ব্যাটিং। লাঞ্চের আগে খেলা হয়েছে ২১ ওভার ৪ বল। এর মধ্যেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ৬ উইকেট!

আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন শুধু সাদমান ইসলাম। ডাক মেরেছেন মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিথুন ও মুশফিকুর রহিম। ইমরুল কায়েস ৪ ও মাহমুদউল্লাহ করেছেন ৬।

শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান লিটন দাস মোহাম্মদ শামির বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পেয়েও কিছুক্ষণ খেলা চালিয়ে যান। এরপর আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে মাঠ ছাড়েন তিনি। লাঞ্চ বিরতি দেওয়া হয়েছে এরপরই। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ৭৩ রান।

 

 

অসাধারণ ক্যাচে আউট মাহমুদউল্লাহ

ইশান্ত শর্মার বলে খোঁচা দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ডান দিকে লাফিয়ে এক হাতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা।

মাহমুদউল্লাহ ২১ বলে ৬ করে ফেরার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৬০ রান। লিটন দাসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নাঈম হাসান।

ফিরলেন সাদমানও

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন সাদমান ইসলাম। এবার ফিরে গেলেন তিনিও।

উমেশ যাদবের অফ স্টাম্পে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

৫২ বলে ৫ চারে সাদমান করেন ২৯ রান। তখন বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৩৮। উইকেটে আছেন শেষ দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও লিটন দাস।

মুশফিকও শূন্য

পরপর তিন ব্যাটসম্যান আউট হলেন শূন্য রানে। মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিথুনের পর এবার মুশফিকুর রহিম।

মোহাম্মদ শামির শর্ট অব লেংথ বল সফট হ্যান্ডে ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে ভেঙে দেয় স্টাম্প।

তখন ২৬ রানে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের। একপ্রান্ত আগলে রাখা সাদমান ইসলামের সঙ্গী হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

 

 

৩ বলে ২ উইকেট

একাদশ ওভারের প্রথম তিন বলে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আউট হয়ে ফিরে গেছেন মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিথুন।

উমেশ যাদবের বলে আউটসাইড এজ হয়েছিলেন মুমিনুল। প্রথম স্লিপে ক্যাচের অপেক্ষায় ছিলেন বিরাট কোহলি। তবে দ্বিতীয় স্লিপ থেকে ডান দিকে লাফিয়ে এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রোহিত শর্মা।

এক বল পর বোল্ড হয়ে ফেরেন মিথুন। দুই ব্যাটসম্যানের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। তখন ১৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ।

রিভিউ হারাল ভারত

সাদমান ইসলামের বিপক্ষে কট-বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়েছিল ভারত। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ব্যাট স্পর্শ করেনি। রিভিউ হারায় ভারত।

 

 

বাঁচলেন এবং ফিরলেন ইমরুল

এক বল আগে তাকে কট বিহাইন্ডের আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। সে যাত্রায় রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ইমরুল কায়েস। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার ব্যাট স্পর্শ করেনি। ইশান্ত শর্মার এক বল পর আর রক্ষা হয়নি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।

এবার এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। এবারও রিভিউ নিয়েছিলেন ইমরুল। কিন্তু বাঁচতে পারেননি।

ইন্দোর টেস্টের দুই ইনিংসের পর কলকাতাতেও দুই অঙ্কে যেতে পারলেন না ইমরুল। সপ্তম ওভারে ইমরুল ৪ রানে ফেরার সময় বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৫। সাদমান ইসলামের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মুমিনুল হক।

বাজল ইডেনের ঘন্টা

হলো জাতীয় সঙ্গীত। তবে সেটা রেকর্ড বাজিয়ে নয়। অর্কেস্ট্রার বাজনাতে দুই দলের জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠল। এরপর টেস্ট শুরুর আগে ঘন্টা বাজালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের পাশে ছিলেন বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

 

 

খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী

টসের পর দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান এবং শচীন টেন্ডুলকার।

ভারত একাদশ

রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), অজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব।

বাংলাদেশ একাদশ

ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিথুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, নাঈম হাসান,  আল-আমিন হোসেন, ইবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ রাহী।

তিন পেসারের বাংলাদেশ

অনুমিতভাবেই তিন পেসার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ। তবে মুস্তাফিজুর রহমান নেই কলকাতাতেও। তৃতীয় পেসার হিসেবে একাদশে ঢুকেছেন আল-আমিন হোসেন। এসেছেন অফ স্পিনার নাঈম হাসানও। বাদ পড়েছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ভারত নামছে প্রথম টেস্টের একাদশ নিয়েই।

 

 

টস

কয়েন ছুড়লেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টস জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন মুমিনুল। বিশেষ সোনার কয়েনে হয়েছে টস।

বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়ার পর সৌরভ গাঙ্গুলির অন্যতম বড় সিদ্ধান্ত ছিল এই দিবারাত্রির টেস্ট আয়োজন। তাতে কমতি রাখছে না ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে কলকাতায় পৌঁছে গেছেন। ইডেনের বিখ্যাত ঘণ্টা বাজিয়ে টেস্টের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গোলাপি বলের লড়াই

উপমহাদেশে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে দিবারাত্রির টেস্ট। ম্যাচকে সামনে রেখে কদিন ধরেই ইডেন গার্ডেনে সাজ সাজ রব। আক্ষরিক অর্থেই ‘গোলাপি’ হয়ে উঠেছে ইডেনের আশপাশ।

দুই দলেরই জন্যই গোলাপি বলে প্রথম টেস্ট এটি। ইন্দোরে প্রথম টেস্ট তিন দিনেই জিতে সিরিজে এগিয়ে আছে ভারত। বিরাট কোহলির দলের সামনে আরেকটি সিরিজ জয়ের হাতছানি। বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে আরও কঠিন পরীক্ষা। বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় শুরু হবে ম্যাচ।

 

ঢাকা/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়