ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘অসাংবিধানিকভাবে স্বৈরতন্ত্রের মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম’  

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২২ জানুয়ারি ২০২৩  
‘অসাংবিধানিকভাবে স্বৈরতন্ত্রের মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম’  

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, বিএনপির জন্ম হয় স্বৈরতন্ত্রের মধ্য দিয়ে অসাংবিধানিকভাবে। দলটি জন্মলগ্ন থেকে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। তারা দানব, অপশক্তি। তারা দেশে-বিদেশে চক্রান্ত চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা আর অন্তরে স্বৈরতন্ত্র। অনেকে জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন, এমন দলের সঙ্গে কীসের ঐক্য।

রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এমপিরা এমন মন্তব্য করেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন।

বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভু বলেন, বিএনপি এখন রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলছে। কিন্তু তারা স্বাধীনতা, সংবিধান, গণতন্ত্র, জাতির পিতাকে মানে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

শম্ভু বলেন, যারা সংবিধান মানে না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি হওয়া উচিৎ। এই বিএনপি-জামাত মিলে গোলাম আজমের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করেছিল। তারা কখনো দেশের স্বাধীনতা চায়নি, এই বিএনপি জামাত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। দেশে খুন, ধর্ষণ, জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করে দেশকে পিছিয়ে দেয়, পঙ্গু করে দেয়। তারা ’২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে। প্রধানমন্ত্রীর নামে বাজে কথা বলে তারা দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করে অগণতান্ত্রিকভাবে দেশ দখল করতে চায়। বিদেশের কাছে দেশকে পদানত করতে চেষ্টা করছে। 

তিনি বলেন, আমরা আমেরিকা, চীন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতা লাভ করেছি। আমরা বীরের জাতি। আমেরিকান জনগণ আমাদের পক্ষে ছিল, তাদের আমি সম্মান জানাই।

আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বিএনপি দলটিই আসলে দানব, এরা অপশক্তি। দলটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চালিয়ে আসছে। ওরা গণতন্ত্র বিকাশের প্রধান অন্তরায়। ওরা উন্নয়নের শত্রু। এদিকে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে আনার জন্য কতিপয় বিদেশি দূতাবাস-দেশ আর একশ্রেণীর সুশীল সমাজ উঠেপড়ে লেগেছে। বিএনপি নির্বাচনে আসলেও ভালো, না আসলেও ভালো। ওদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি আর অন্তরে স্বৈরতন্ত্র। ১৯৭৫ এর ’১৫ আগস্ট তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে তাদের জঙ্গিবাদী স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সৃষ্টি করে। বিএনপি দলটি একটি আসনের মনোনয়নের জন্য ৪-৫ জনের কাছ থেকে অর্থ নেয়। তাদের তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক লন্ডনে বসে টাকা নিয়ে মনোনয়ন দেয়। আবার খালেদা জিয়া গুলশানে বসে অর্থ নেয়। আর পার্টি অফিসে বসে ফখরুল সাহেবরা আরও কয়েকবার অর্থ নিয়ে এক আসনে ৪-৫ জনকে মনোনয়ন দেন। তারা নেতাকর্মীদের এভাবে ঠকিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে। সে কারণে বিএনপিকে দেশের জনগণ ত্যাগ করেছে। জনগণ আজ তাদের পেছনে না থাকায় তারা অন্যপথে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে।

দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বিগত ২০১৮ সালে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পর পর তৃতীয় বারের মত ক্ষমতায় আসে। তার সুযোগ্য দেশ পরিচালনায় আমরা উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব মানবতার জননী হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। তিনি মানবতার নেতা, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ-সহ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তারই নেতৃত্বে দেশ সমুদ্র বিজয় করেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। মিশাইল নিক্ষেপে পারদর্শিতা দেখিয়েছে। 

এমপি সিমিন হোসেন রিমি জেলে নিহত তার পিতাসহ চার নেতার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশমতো এ চার নেতা দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মবলি দিয়েছেন। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের প্রতিটি দরিদ্র মানুষ ভিজিডি-ভিজিএফসহ নানা ধরনের ভাতা পাচ্ছেন। প্রতিটি উপজেলায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা-বিভিন্ন ভাতাও পান। দেশের মানুষ আজ সুখে আছে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আরও বক্তব্য রাখেন- নাহিদ ইজাহার খান, এবিএম কবিরুল হক, আহসানুল ইসলাম টিটু, জিন্নাতুল বাকিয়া, রুমানা আলী এবং ফেরদৌস ইসলাম।

আসাদ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়