ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘অসুখী’ জাতির ‘সুখী’ হ‌ুমায়ূনের গল্প

মেহেদী উল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ১৩ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ১৩:১৯, ১৩ নভেম্বর ২০২০
‘অসুখী’ জাতির ‘সুখী’ হ‌ুমায়ূনের গল্প

ছবি: মাসুদ আকন্দ

বাংলাদেশের ছোটগল্পের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ষাটের দশকের গল্পে যে বাঁক উপস্থিত হয়েছিল তা পুরোপুরি বদলে দিলেন সত্তরের দশকের কয়েকজন ছোটগল্পকার। তাঁদের প্রবণতার অন্যতম- ভাষাকে সহজ-সাবলীলরূপে উপস্থাপন। ভাষার সাবলীলতা কী? এ নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও বলা যায়, এ ক্ষেত্রে ভাষিক সহজতা মানে, ছোট, সরল বাক্যের প্রয়োগ ও সাধারণ পাঠকের সাথে বাক্যের অর্থের যোগাযোগ দক্ষতা। এ জন্য ষাটের গল্প পড়তে পড়তে পাঠকের যে রুচি ও অভ্যস্ততা দাঁড়ায়, সত্তরের গল্প হাতে নিলে তাঁদের ধাক্কা খেতেই হয়। এই পরিবর্তনে সত্তরে যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে হ‌ুমায়ূন আহমেদ। এই দশকের শুরুতেই স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। ফলে স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবেই কলম ধরার সুযোগ পেয়েছিলেন সত্তরের দশকের লেখকেরা। শাসক, শাসক দল ও তাদের গৃহীত ব্যবস্থার গল্পে সমালোচনা করতে সত্তরের লেখকরা কার্পণ্য করেননি। প্রেরণা ও অভিজ্ঞতা হিসেবে সত্তরের লেখকরা পেয়েছেন এই দশকের সংঘটিত ঘটনাবলি।

বাংলাদেশের জন্ম, স্বাধীন-সার্বভৌম নিজ দেশের জন্য সর্বাত্মক মরণপণ যুদ্ধ ও মানুষের মৃত্যু লেখকদের অভিজ্ঞতায় এনে দিয়েছে গুণগত পরিবর্তন। স্বাধীন হলেও আবার মানুষের আশাভঙ্গ, সামরিক অভ্যুত্থান, সামাজিক মেরুকরণ পাল্টে দেয় গাল্পিক সত্তা। তবে এ সমালোচনাও আছে, সত্তরের দশকের অনেক গল্পকারের মেধা-মনন-রুচির ক্ষয় হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিকসহ নানা প্রেক্ষাপটের কারণ ও পরিণতি না বোঝার কারণে অনেক স্থূল, জলো, অসার কাহিনি গল্পের মোড়কে পরিবেশন করেছেন সত্তরের লেখকরা। এর আগে কোনো দশকে এত সস্তা চটুল মধ্যবিত্তের সাধারণ কেচ্ছা লিখিত হয়নি। জনপ্রিয়তার টানে লেখার উপযোগিতা কোনো কোনো লেখকের কারণে উপেক্ষিত হয়েছে। শাস্ত্রবদ্ধ বুদ্ধি দিয়ে লেখা সমাজবাস্তবতার গল্প হয়েছে কেবল লেখকের ইচ্ছাপূরণের কাহিনি।

অনেকে একই দায় হ‌ুমায়ূনের ওপরও চাপাতে চান। আমাদের দেশের অনেক বড় লেখকের দুর্ভাগ্য যে তাঁরা শুধু সমালোচনার পাতায় বন্দি, পাঠকের মণিকোঠায় স্থান হয়নি, আর হ‌ুমায়ূনের বেলায় ঘটেছে এর উল্টো। তিনি টিকে আছেন পাঠকের কারণে, সমালোচকগোষ্ঠী তাঁকে নিয়ে কখনোই খুব উৎসাহ দেখায়নি। আমরা দেখি, সত্তরের দশকের প্রায় সব লেখকই মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গল্প রচনা করেছেন। যুদ্ধদিনের নানা অভিজ্ঞতার ছাপ তাঁদের গল্পে আছে। তবু আমার মনে হয়েছে, এ ক্ষেত্রেও হ‌ুমায়ূন ব্যতিক্রম। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ কিছু শিল্পসফল গল্প তিনি রচনা করেছেন, যেগুলো আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ও হাসান আজিজুল হকের মুক্তিযুদ্ধের গল্পগুলোর সঙ্গে পাল্লায় টিকে থাকবে।

সত্তরের দশকের গল্প বিকাশের পেছনে ক্রিয়া করেছে বাংলাদেশের জন্ম। তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে পূর্ববাংলার মানুষের ক্রম মুক্তি ও অগ্রগতি ছিল অসম্ভব। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাতন্ত্র্যের প্রয়োজনে নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছিল অনিবার্য। স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন বিপর্যয়, শাসকগোষ্ঠীর ব্যর্থতা, সামাজিক অস্থিতিশীলতা, গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অক্ষমতা, উপর্যুপরি সামরিক শাসন তছনছ করে দিয়েছে সমাজ কাঠামো ও মানুষের প্রত্যাশা। মৌলিক কাঠামোতে কোনো গুণগত পরিবর্তন না এলেও উপরি কাঠামোতে এসেছে বিবিধ রদবদল। তারই সংবাদ, চিত্র, নির্যাস নিয়ে সত্তর দশকের গল্প পুষ্ট হয়েছে।

শুনতে খারাপ লাগলেও এমন অবতারণাও হয়েছে, সত্তর দশকের বাংলাদেশের যে নেতিবাচক রাজনৈতিক ইতিহাস, তা অন্যান্য লেখকের মতো হ‌ুমায়ূনও বহুলাংশে পাশ কাটিয়ে গেছেন। শুধু মুক্তিযুদ্ধকে গুরুত্ব দিয়েছেন অনেকে। হ‌ুমায়ূনেরও মুক্তিযুদ্ধের ওপর বেশ কিছু গল্প-উপন্যাস আছে।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে স্বদেশে ফিরে এসে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁরই নেতৃত্বে পরিচালিত হতে থাকল সদ্য স্বাধীন, বিচিত্র সমস্যাকীর্ণ, যুদ্ধবিক্ষত বাংলাদেশ। এরপরের ইতিহাস নানাভাবেই আমাদের জানা। পুরো জাতির স্বপ্নভঙ্গ-দশার মধ্যে থেকে একজন লেখকের দায় কী? সেই দায়িত্ব কোন পন্থায় কাঁধে নিলেন হ‌ুমায়ূন? অসুখী-বিষণ্ণ মধ্যবিত্তের মুখে আক্ষরিক অর্থেই যেন হাসি ফোটালেন তিনি। জাতীয় জীবনে নেমে আসা রাজনৈতিক দুর্যোগে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে মানুষ। এমনই এক হতবিহ্বল সময়ে রসাত্মক গদ্য পরিবেশন করে, গদ্যের নতুন বিন্যাসে গল্পকার সত্যিই মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফোটালেন। মনে ফুর্তির ভাব উদয় করতে সচেষ্ট হলেন। হ‌ুমায়ূনের লেখাতেই আমরা প্রথমবারের মতো মধ্যবিত্তকে পেলাম দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা-সংকট-আনন্দ-বেদনা-হাসি-কান্নাসহ। হালকা মেজাজে, অল্প কথায় জীবনের ছোটখাটো সুখ-দুঃখগুলো তাঁর গল্পে চমৎকার কুশলতায় ধরা পড়েছে। বাংলাদেশের মধ্যবিত্তের জীবন-যাপনের স্পর্শকাতর বিন্দুগুলো হ‌ুমায়ূনের মতো এত ভালো করে আর কেউ পর্যবেক্ষণ করেন নি।

মূলত নাগরিক মধ্যবিত্ত জীবন, তার বিচিত্র আকাঙ্ক্ষা ও অনুভূতি, প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির নিভৃত উন্মোচন ঘটেছে হ‌ুমায়ূন আহমেদের গল্পে। বাংলাদেশের ছোটগল্পকারদের মধ্যে নিঃসন্দেহে তাঁর হিউমার সেন্স অদ্বিতীয়; তিনি জীবনের নানা ঘটনাকে বরাবরই ব্যঙ্গাত্মক রূপে প্রকাশ করার সক্ষমতা দেখিয়েছেন, যেখানে প্রাধান্য লাভ করেছে হাস্যরসময় বর্ণনাভঙ্গি। জীবনকে তিনি দেখেন সহজ ও প্রত্যক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে। জীবনের নানা ঘটনা, অভিজ্ঞতা তিনি এমন নিপুণতার সঙ্গে তাঁর গল্পে বর্ণনা করেছেন যে, পাঠকের কাছে তা অতিপরিচিত নিত্যদিনের জীবনের ঘটনা বলে মনে হয়। বাবার শাসন, মায়ের আদর, বোনের স্নেহ, মামার পাগলামি, ফুপুর মৃত্যু, বাবার অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার জন্য নতুন পোশাক পরতে না পারার দুঃখ, ছোট বোনের মৃত্যু, বিয়ের দিন বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, শৈশব-কৈশোর-যৌবনের দিনগুলোকে হ‌ুমায়ূন আহমেদ তাঁর গল্পে সহজভাবে চিত্রিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

হ‌ুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠগল্প (১৯৮৮) জীবনের ক্ষুদ্র-সূক্ষ্ম আনন্দ-বেদনা, স্বপ্ন ও ব্যর্থতার বয়ান। নাগরিক মধ্যবিত্ত জীবন, তার বিচিত্র আকাঙ্ক্ষা ও অনুভূতি, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির নিভৃত উন্মোচন ঘটেছে তাঁর গল্পে। ব্যক্তিজীবনের অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ের জীবনযন্ত্রণার অন্তরঙ্গ রূপ সরল বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন গল্পকার। খণ্ড ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা এক বিপুল জীবনসত্যের ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করেছেন গল্পে। মানুষের ক্ষুদ্র চাওয়া-পাওয়া, সুখ-দুঃখ, মিলন ও বিষাদই এসব গল্পের উপজীব্য। 'ফেরা' গল্পে বাড়ির গৃহকর্তা বেশ রাত্রিতে একটি বড় রুই মাছ নিয়ে গৃহে প্রত্যাবর্তন করে। দারিদ্র্য জর্জর নিম্নবিত্ত এ পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কাছে রাতটি আনন্দময় হয়ে ওঠে- 'বাসন-কোসন কলতলায় রাখতে গিয়ে হাসিনা অবাক হয়ে দেখে মেঘ কেটে অপরূপ জ্যোৎস্না উঠেছে। বৃষ্টিভেজা গাছতলায় ফুটফুটে জ্যোৎস্না। সে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সেদিকে। অকারণেই তার চোখে জল এসে যায়।’ মূলত গল্পে দেখানো হয়েছে, এ ধরনের মানুষগুলো অল্পতেই তুষ্ট। খুব বেশি ভালো থাকার ইচ্ছে নেই ওদের, অল্পতেই আনন্দে ঝিলিক দিয়ে ওঠে।

'মন্ত্রীর হেলিকপ্টার' গল্পে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে একজন মন্ত্রীর আত্মম্ভরিতা এবং নিজ গ্রামের মানুষের সামনে তার ঐশ্বর্য ও ক্ষমতা প্রদর্শনের অভিলাষ ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে উপস্থাপিত হয়েছে। শুধু চটুল জনপ্রিয়তার লোভে মন্ত্রীর হেলিকপ্টারে একজন অসুস্থ রোগীকে নিয়ে যাওয়া চিকিৎসার জন্য, পথিমধ্যে তার অবস্থার আরো অবনতি, পুনরায় তাকে নিয়ে গ্রামে প্রত্যাবর্তন। কিছু সময় পর রোগীটির মৃত্যু এবং জানাজায় অংশ নিয়ে মন্ত্রীর রাজধানী যাত্রার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র নেতার ভণ্ডামি, শঠতা ও অমানবিকতাকে তীব্রভাবে বিদ্রূপ করা হয়েছে। বস্তুত এভাবেই প্রতিনিয়ত জনগণ প্রতারিত হচ্ছে তাদেরই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা। রাষ্ট্রের বাস্তব চেহারার মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছেন গল্পকার এ গল্পে। 'জলিল সাহেবের পিটিশন' গল্পে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার যুদ্ধাপরাধীদের কথা উঠে এসেছে। জলিল সাহেব দু্ই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বাবা। বর্তমানে রিটায়ার্ড। তিনি বাংলাদেশের ত্রিশ লাখ লোককে যারা হত্যা করেছে, সেই পাষণ্ডদের বিচারের জন্য সরকার সমীপে পিটিশন করে তাতে জনসাধারণের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। পিটিশনের বিষয়বস্তু হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১০ লাখ ইহুদি মারা গিয়েছিল। সেই অপরাধে অপরাধীদের প্রত্যেকের বিচার করা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। কিন্তু এ দেশের ৩০ লাখ মানুষ মেরে অপরাধীরা কী করে পার পেয়ে গেল? কেন এ নিয়ে আজ কেউ কোনো কথা বলছে না? জলিল সাহেব তাঁর দীর্ঘ পিটিশনে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, যেন এদের বিচার করা হয়। এই গল্প প্রমাণ করে, হ‌ুমায়ূন আহমেদ মনে-প্রাণে চাইতেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক, তিনি বিচারের পক্ষে ছিলেন।

'এই সব দিনরাত্রি' গল্পে উপস্থাপিত হয়েছে সংকট বিক্ষত মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তার কাহিনি। গল্পের প্রণববাবু বকেয়া বেতনের স্কুলশিক্ষক। তিনি পুত্র-কন্যাদের সাধপূরণে অক্ষম। আর্থিক সংকটে বিপন্ন মধ্যবিত্ত বাবা। গল্পে স্কুলশিক্ষক প্রণববাবুর নিয়মিত বেতন হয় না, জ্যাঠার বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া, সেখানে টাকা দেন অনিয়মিত। চা পানের অভ্যাস আছে, চা জুটলেও চিনি জোটে না, দুধের প্রশ্নই আসে না। বিপন্ন ছেলে সুবলকে প্রয়োজনে টাকা দিতে পারেন না, টাকা দিতে পারেন না শ্বশুরবাড়িতে অসহায় মেয়ে অজুকে। 'তাঁর যে মেয়ে কোলকাতায় শিবপুরে ছিল, সেও কী একটা ঝামেলায় পড়েছিল। এক হাজার টাকা চেয়ে চিঠি লিখেছিল। ছোট্ট চিঠি, কিন্তু সেই চিঠি পড়ে তিনি সারা রাত ঘুমাতে পারেননি। ' প্রণববাবুর গণিতের হিসাব মিলে গেলেও জীবনের হিসাব মেলে না। গণিতের চেয়েও জীবন দুর্বোধ্য-কঠিন।

'কবি' গল্পে উন্মোচিত হয়েছে বন্ধনহীন মানুষের নিঃসঙ্গতার কথা। কবি জোবেদ আলী স্ত্রী হারিয়ে হয়েছেন বিপত্নীক, অন্তরশূন্য নিভৃতচারী। তাঁর একান্ত সঙ্গী হলো কবিতা। কর্মক্লান্ত দিনশেষে নিশ্চুপ রাতের প্রহর কাটে তাঁর কবিতাচর্চায়। স্ত্রী নেই, রাত জেগে কবিতা লিখলে কেউ কিছু বলবে না। বর্ষণমুখর বিনিদ্র গভীর রাতে কবির চিত্ত হয়ে ওঠে আবেগে চঞ্চল- '...তাঁর মনে গভীর সুন্দর একটা লাইন এসেছে- কি সুন্দর বৃষ্টি আজ রাতে। অন্য লাইনগুলো আর মনে আসছে না। এই লাইনটি ঘুরে ঘুরে আসছে। গভীর আবেগে তার চোখ ভিজে উঠল। '

মূলত হ‌ুমায়ূন আহমেদ ব্যতিক্রমী গল্পপ্রয়াসের মধ্য দিয়ে জীবনের ব্যক্তিক পর্যায়ের নানা অনুদ্ঘাটিত বিষয় লিপিবদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের ছোটগল্পের ধারায় যে বিষয় ও চরিত্র অনুপস্থিত, এইসব গল্পে তা অনাড়ম্বভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মনোজগৎ তাঁর নখদর্পণে বলে তিনি এই জগতের মানুষদের দুঃখ ও বেদনাকে শিল্পিত করে তুলতে পেরেছেন। যদিও অধিকাংশ সময় সেই বেদনার হাতে রাঁখি পরিয়েছে হাসি! মোলায়েম হাস্যরস;খুব সাবলীল। উৎপাতে দুধভাত!

 

 

ঢাকা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়