আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতিতে যাচ্ছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা
মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার অভিযোগ তুলে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতিতে যাচ্ছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে, কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২০-এ দেশের সব সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। ওই বিধিমালা সংশোধন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে তারা।
গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) এনবিআরকে এ চিঠি দেয় সংগঠনটি। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন করা না হলে আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি শামসুর রহমান ও মহাসচিব মো. সুলতান হোসেন খানের সই করা চিঠিতে বলা হয়, বিধিমালা জারির পর এর প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য ফেডারেশন থেকে বার বার চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ জানানো হয়। এর পরও কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে উত্থাপিত লাইসেন্সিং রুলের কয়েকটি বিধি ও উপ-বিধি সংশোধনীর প্রস্তাব করা হলেও তা আমলে নেয়নি এনবিআর। এ কারণে গত বছর কয়েকবার কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
এনবিআরকে লেখা চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে সংগঠনের নেতাদের আশ্বস্ত করেন।
এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়া সত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড লাইসেন্সিং রুল সংশোধনের জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এ বিষয়ে ফেডারেশনের নেতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেও কার্যকর কোনো সাড়া পাননি। তাতে সারা বাংলাদেশে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে বিধি-বিধান সংশোধন করার দাবি জানায় সংগঠনটি। অন্যথায়, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
সংগঠনটি জানায়, লাইসেন্স বিধিমালা-২০২০ এর বিধি ১৫(৫)ঘ, ১৯(খ)(আ), ২৩(১)ঞও এবং ২৪(৪) সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের স্বার্থবিরোধী। ফলে, এসব বিধি সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে—শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালা ২০০০ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা, এইচএস কোড ও সিপিসি ভুলের কারণে জরিমানা আরোপ ও শাস্তিমূলক বিধিবিধান বাতিল করা।
হাসনাত/রফিক
আরো পড়ুন