ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আল্লামা আহমদ শফীর বর্ণাঢ্য জীবন 

রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ২১:৪৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
আল্লামা আহমদ শফীর বর্ণাঢ্য জীবন 

আল্লামা আহমদ শফী (ফাইল ফটো)

আল্লামা শাহ আহমদ শফী একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব। আলোচিত এবং জনপ্রিয় আলেমে দ্বীন। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির। 

একইসঙ্গে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ছিলেন। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ছিলেন। 

আল্লামা আহমদ শফী আলোচনায় আসেন ২০১১ সালে।  ওই বছর নারী উন্নয়ন নীতিমালা করার পর এর বিরোধিতা করে চট্টগ্রামে কর্মসূচি ডাকেন তিনি। এর এক বছর আগে ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি হাটহাজারী মাদ্রাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওলামা সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গঠন করা হয়। তিনিই এর প্রতিষ্ঠাতা আমির মনোনীত হন।

পরে ২০১৩ সালে ব্লগার রাজীব হায়দারের ব্লগিংকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিক্ষোভে নামে কওমি মাদ্রাসার আলেম ও শিক্ষার্থীরা। তবে ঢাকায় জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের আলেমদের অনুপস্থিতিতে পুরো দেশের আলেম সমাজের নেতৃত্বে চলে আসেন আহমদ শফী।

আহমদ শফীর জন্ম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পাখিয়ারটিলা গ্রামে। তার বাবার নাম বরকম আলী। মা মোছাম্মাৎ মেহেরুন্নেছা বেগম। আহমদ শফীর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। তার বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ পাখিয়ারটিলা কওমি মাদ্রাসার পরিচালক।  ছোট ছেলে আনাস মাদানি হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক।

১০ বছর বয়সে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ভর্তি হন তিনি।  ১৯৪১ সালে তিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে চার বছর হাদিস, তাফসির, ফিকাহ শাস্ত্র অধ্যায়ন করে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন। ১৯৪৬ সালে দারুল উলুম হাটহাজারীতে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠানের মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পান। পরবর্তী সময়ে শায়খুল হাদিসের দায়িত্বও তিনি পালন করেন। ২০০৮ সালে তিনি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড-বেফাকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে ১১ এপ্রিল ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে এমএ (আরবি-ইসলামিক স্টাডিজ) এর সমমান ঘোষণা করেন।

আল্লামা আহমদ শফী কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, আল হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান ও আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। 

রেজাউল/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়