ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ইউনিক ই-মেইল ‘বিভ্রান্তিতে’ প্রার্থীরা, যা বলছে এনটিআরসিএ

আবু বকর ইয়ামিন  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ২৪ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৫:৫৭, ২৪ অক্টোবর ২০২১
ইউনিক ই-মেইল ‘বিভ্রান্তিতে’ প্রার্থীরা, যা বলছে এনটিআরসিএ

নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নতুন ই-মেইল দিতেই তাদের মুঠোফোনে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে। কেউ পেয়েছেন আবার কেউ এখনো পাননি। এটি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্তদের মাঝে।

শিক্ষকরা বলছেন, টেলিটক থেকে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। এতে নতুন ই-মেইল আইডি ক্রিয়েট করার কথা উল্লেখ করে একটি লিংক দেওয়া হচ্ছে। তবে একাধিক প্রার্থীর মোবাইলে ভিন্ন নাম-রোল নম্বর ম্যানশন করে এসএমএস আসছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক শিক্ষক।

তারা বলছেন, এভাবে এসএমএস আসলে বিভ্রান্ত না হয়ে উপায় নেই। একজনের ফোনে আরেকজনের রোল-নাম আসলে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা হয়। আবার কেউ কেউ এখনো এসএমএসই পাননি। বিষয়টা কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ার করা উচিত।

এনটিআরসএর পক্ষ জানানো হয়েছে, মুজিববর্ষে এনটিআরসিএ’র নিবন্ধনধারীদের একটি ইউনিক ই-মেইল দিতে চেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সে লক্ষেই প্রার্থীদের মুঠোফোনে একটি নির্দিষ্ট ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। এই ই-মেইলের মাধ্যমে প্রার্থীরা এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবাইদুর রহমান জানান, এটা নিয়ে চিন্তার কিছুই নেই। ধারাবাহিকভাবে সবাইকেই অবহিত করা হবে। তবে এটি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। নিবন্ধিত প্রার্থীদের যোগাযোগের সুবিধার্থে এটি করা হয়েছে। এসএমএসের মাধ্যমে তাদের একটি মেইল ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীরা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিলে আইডিটা তাদের হয়ে যাবে। আর আমাদের নিবন্ধনধারীদের শনাক্ত করা সহজ হবে।

এদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষে ৩২ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষকের পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শুরু করেছে এনটিআরসিএ। চলতি সপ্তাহে সব বিভাগে তাদের ভেরিফিকেশন ফরম চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ সময়ের মধ্যে এসএমএস আসা নিয়ে প্রার্থীদের মাঝে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। তবে এখনো তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তদের চেয়ে বেশি এসএমএস পাচ্ছে আগের নিবন্ধনধারীরা। তবে এটি নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ সচিব।

অন্যদিকে চলমান তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তরা দ্রুতই নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন শুরু থেকে। এনটিআরসিএর পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। দ্রুত ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বেসরকারি শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতই শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। মুজিব শতবর্ষের মধ্যেই ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এনটিআরসিএ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

চলতি বছরের ৩০ মার্চ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের বিপরীতে ৪ এপ্রিল থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। ১-১২তম নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য দুই হাজার ২০০টি পদ সংরক্ষণ করে ৫১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয় এনটিআরসিএ।

তবে ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে মহিলা প্রার্থী না থাকায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে বাকি রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬ হাজার ৩ জন রোল ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩২ হাজার ২৮৩ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রয়েছে।

/এনএইচ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়