ইফতেখারের সেঞ্চুরির সঙ্গে সাকিবের ৮৯, জুটির বিশ্ব রেকর্ড
ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে || রাইজিংবিডি.কম
পাগলাটে ব্যাটিং, স্রেফ পাগলাটে ব্যাটিং। এমন ব্যাটিং, যেখানে ব্যাটসম্যানরা বোলারদের কেবল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে বলেন, ‘যাও বলটা কুড়িয়ে এনে আবার বোলিং করো।’
না হলে টি-টোয়েন্টিতে শেষ ৩ ওভারে ৭৩ রান কীভাবে হয়! বিস্ময় জাগায়। রংপুর রাইডার্সের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ ওভারে ফরচুন বরিশালের রান ৯৪। সেখান থেকে শেষ ৮ ওভারে ১৪৪ রান তুলে নেয় তারা। ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভুগছিল বরিশাল। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে ১৯২ রানের জুটি সাকিব আল হাসান ও ইফতেখার আহমেদের। তাতে বরিশালের রান ২৩৮।
ইফতেখার পেলেন সেঞ্চুরি। সাকিব করলেন ৮৯ রান। বোলারদের তুলোধুনো করে রেকর্ডের পাতা ওলটপালট করলেন দুজন মিলে। বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (সর্বোচ্চ ২৩৯) দলীয় রানের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে জুটির সর্বোচ্চ রান করেন দুই ব্যাটসম্যান। যেন তেন রেকর্ড নয়। বিশ্ব রেকর্ড। এর আগে অ্যাডাম হোস ও ড্যান মউসলি মিলে ১৭১ রান করেছিলেন। তাদের ছাপিয়ে সাকিব-ইফতেখার এখন শীর্ষে।
ইফতেখার সেঞ্চুরি পেয়েছেন মাত্র ৪৫ বলে। ৬ চার ও ৯ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। আজম খান ও উসমান খানের পর তৃতীয় পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান হিসেবে এবারের বিপিএলে সেঞ্চুরি পেলেন ইফতেখার। ২৯ বলে ফিফটিতে পৌঁছান এ ব্যাটসম্যান। পরের পঞ্চাশ পেতে খেলেন মাত্র ১৬ বল।
সাকিবের রয়েশয়ে শুরু করেছিলেন। থিতু হওয়ার পর তাকে কেউ আটকাতে পারেননি। ৩৩ বলে ফিফটির পর পরের ৩৯ রান করেন কেবল ১০ বলে। ৮৯ রানের ইনিংসটি তার বিপিএলে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ বিপিএলে ৮৮ রান করেছিলেন খুলনার হয়ে সিলেটের বিপক্ষে।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিব তুলে নিয়েছেন তৃতীয় ফিফটি। আগের দিন ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন। আজ তার ব্যাট থেকে এলো ৮৯ রান। এর আগে সিলেটের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৭। মাঝে কেবল একটি ইনিংসেই আউট হয়েছিলেন ৮ রানে।
বোলারদের ওপর দুজন এমনভাবে চড়াও হয়েছিলেন যে, ২২ গজে তারা কোথায় বল ফেলবেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না। যেখানেই করুক সাকিব, ইফতেখারের ব্যাট পৌঁছে যায়। হয় বল গ্রাউন্ড শটে চার হয়। নয়তো হাওয়ায় ভেসে ছক্কা। চার-ছক্কার বৃষ্টিতেই এলোমেলো রেকর্ডবুক।
হাসান মাহমুদ ও নওয়াজ বাদে বোলাররা প্রতেক্যেই ছিলেন বেহিসেবী। পরপর দুই বলে মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহকে আউট করা হাসান ৪ ওভারে ৩১ রান দেন। নওয়াজ ৪ ওভারে ব্যয় করেন ৩৫ রান। হারিস রউফ ২ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ৫২। ৪ ওভার করে সবচেয়ে বাজে ছিলেন রবিউল হক। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৭ রান। এছাড়া স্পিনার মেহেদী হাসান ৩ ওভারে ৪২ ও শামীম পাটোয়ারী ১ ওভারেই ২৫ রান দেন।
শামীমের করা একমাত্র ওভারের ষষ্ঠ বলে ইফতেখার ক্যাচ তুলেছিলেন শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে। তখন ৪৬ রানে ছিলেন এ সেঞ্চুরিয়ান। রনি তালুকদার লুফে নিতে পারেননি তার ক্যাচ। ক্যাচ মিসে ম্যাচটাই হয়তো ছেড়ে দিলেন রনি!
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/ফাহিম
আরো পড়ুন