ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

উপ-নির্বাচন: জয় পেতে মরিয়া আ.লীগ, বিএনপির ভোটে আস্থা জাপার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৭, ১৫ জানুয়ারি ২০২২  
উপ-নির্বাচন: জয় পেতে মরিয়া আ.লীগ, বিএনপির ভোটে আস্থা জাপার

রাত পোহালেই (রোববার, ১৬ জানুয়ারি) টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে ১২১টি কেন্দ্রে প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটাররা ভোট দেবেন।

এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ তার বাবার আসনের দায়িত্ব নিতে চায়। শুভর বাবা ফজলুর রহমান খান ফারুক এই আসনে ১৯৭১ সালে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন। অপরদিকে, বিএনপির প্রার্থী না থাকায় দলের ভোট পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

এ উপ-নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহিরের (লাঙল) মধ্যে লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন মারা যান। এই আসনে আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৮ জন। এছাড়াও পাঁচজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

এ আসনে মোট ১২১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৬৪টি সাধারণ কেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার সদস্য মিলে ১৭-১৮ জন দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে র‌্যাব এবং ডিবি পুলিশের টিমও কাজ করবে। প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটারদের সঙ্গে বলে জানা যায়, টানা চারবার দখলে থাকা আসনটি আওয়ামীলীগ ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আবার বিএনপি মাঠে না থাকায় জাতীয় পার্টি আসনটি দখলে নিতে মাঠে সবর রয়েছে। সব মিলিয়ে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি মনোনীত দুই প্রার্থী রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত করে তুলেছেন। ভোটারদের ধারণা, ভোটে মূল লড়াইও হবে এ দুই প্রার্থীর মধ্যে। এরআগে আসনটি বিএনপির চারবার ও জাতীয় পার্টির দখলে ছিল দুইবার।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বলেন, ‘জয়ী হওয়ার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। আওয়ামীলীগ সরকার মির্জাপুরে অনেক উন্নয়ন করেছে। প্রয়াত সংসদ সদস্য এ আসন সাজাতে অনেক কাজ হাতে নিয়েছিলেন। যার অনেকগুলো এখনও অসমাপ্ত রয়েছে। তার রেখে যাওয়া অবশিষ্ট কাজ বাস্তবায়ন ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মির্জাপুরের মানুষ আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করবে।’

জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, ‘প্রচারণা চালাতে গিয়ে আমি ১৯৯৬ সালের চেয়েও অনেক বেশি সাড়া পেয়েছি। সাধারণ মানুষ আমার পক্ষে রয়েছে। যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, তাই তাদের ভোটও আমি পাবো বলে আশা করছি। একইসঙ্গে মির্জাপুরে আমার ক্লিন ইমেজ রয়েছে।’ অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলে তিনি নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে এ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। সাধারণ ভোটররা যাতে সহজেই ইভিএমে ভোট দিতে পারে, সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে মক ভোটিং কার্যক্রম করা হয়েছে।  

কাওছার/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়