ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঋণ পরিশোধের জন্য সরকারি ব্যয় কমাতে বাধ্য হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ১২ জুন ২০২২  
ঋণ পরিশোধের জন্য সরকারি ব্যয় কমাতে বাধ্য হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো

বিশ্বের কিছু দরিদ্র দেশ ঋণদাতাদের অর্থ প্রদানের জন্য সরকারি ব্যয় হ্রাস করতে বাধ্য হচ্ছে। মূলত একটি কার্যকর ঋণ অব্যাহতি প্রকল্পের অভাবের কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডেট জাস্টিসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ঋণগ্রস্ত দেশগুলো ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সরকারি ব্যয় গড়ে ৩ শতাংশ হ্রাস করবে বলে আশা করা হয়েছিল। অথচ খাদ্য ও জ্বালানির দামের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব মোকাবিলায় এ ব্যয়ের প্রয়োজন ছিল।

ঋণ ও জনসাধারণের ব্যয়ের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য ব্যবহার করে ডেটা জাস্টিস জানিয়েছে, উচ্চ ও নিম্ন ঋণের দেশগুলির মধ্যে বৈষম্য আরও বড় ধরনের ঋণ অব্যাহতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। কারণ কম ঋণের দেশগুলো ২০১৯ ও ২০২৩ সালের মধ্যে তাদের সরকারি ব্যয় গড়ে ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি করবে।

ডেবট জাস্টিসের সিনিয়র নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তা টেস উলফেন্ডেন বলেছেন, ‘যখন ব্যয় করা খুব জরুরি তখন স্বাস্থ্যসেবা বা খাদ্যের প্রাপ্তিতে জনসাধারণের জন্য ব্যয়ের তুলনায় নিম্নআয়ের দেশগুলোকে ঋণ পরিশোধকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।’

২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে, জি-২০ দেশগুলো ঋণের পরিশোধের জন্য একটি সাধারণ কাঠামো তৈরিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি ঋণদাতাদের বিরোধিতার কারণে কোনও দেশ এখনও এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়নি।

ডেবট জাস্টিসের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ঋণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে রয়েছে আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সঙ্কটে রয়েছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভূটান।

জি-২০ এর ঋণ ত্রাণ প্রকল্পের জন্য যোগ্য দেশগুলোর ৯০ শতাংশ বন্ড ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে উল্লেখ করে উলফেন্ডেন বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যকে অবশ্যই বেসরকারি ঋণদাতাদের ঋণ ত্রাণে অংশ নিতে হবে। একাধিক সঙ্কটের সময়ে ধনী ঋণদাতাদের ঋণ পরিশোধ মানুষের চাহিদার উপর অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত নয়।’
 

ঢাকা/শাহেদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়