ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

এডওয়ার্ড কলেজে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিক্ষোভ

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ১৩ জুন ২০২২  
এডওয়ার্ড কলেজে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিক্ষোভ

পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ফরম পূরণে অধ্যক্ষের নির্দেশে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। 

সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ ও অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি জানিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নিজ ক্ষমতায় সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির মজুমদার অনার্স প্রথম বর্ষের ফরম পূরণে অকৃতকার্য, অনিয়মিত ও নটপ্রমোটেড শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দ্বিতীয় বারের মতো সেশন ফির নামে কলা বিভাগে ২৩০০ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগে ৩১০০ টাকা করে আদায় করছেন। 

অনার্স প্রথমবর্ষ ফরম পূরণ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন অকৃতকার্য, অনিয়মিত বা নটপ্রমোটেড শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নতুন করে সেশন ফি আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। কলেজ প্রশাসন কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্রের আলোকে আমরা ফরম পূরণ করছি। এর বেশি কিছু জানতে চাইলে প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করতে হবে।’ 

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কয়েকটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, একই শিক্ষার্থী একই ক্লাসে ডাবল সেশন ফি দেবে এমন দিকনির্দেশনা দেয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যদি কোন প্রতিষ্ঠান সেশন ফির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে, তাহলে সেই বিষয়টি নিতান্তই তাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় নিচ্ছে।  

সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেতন, ক্লাস রুম, পরিবহণ, লাইব্রেরি, ক্যাম্পাসসহ নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করে শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানের কিছু অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্যেই অকৃতকার্য, অনিয়মিত বা নটপ্রমোটেড পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি বাবদ এ অর্থ আদায় করা হয়।  

বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন রিদয় ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মিদুল হোসেন, মুন্না, মিরাজ, হোসাইনসহ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শেষে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্নু করেছেন তিনি। দিনের পর দিন এই প্রতিষ্ঠানে থেকে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অন্যায় কাজ করে যাচ্ছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এই অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেন। 

এ বিষষে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির মজুমদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি আদায় করা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের ফি বা আর্থিক বিষয় নির্ধারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় করে না। তারা কেবল তাদের ফি আদায়ের নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

শাহীন/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়