এনজিওর কর্মীদের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগে মামলা

ঢাকার ধামরাইয়ে সজাগ নামে একটি বেসরকারি এনজিওর চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সড়কের পাশের সরকারি গাছ কেটে তা বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধামরাই থানায় ওই ঘটনায় মামলা করেছেন উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন।

এর আগে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এসব গাছ কেটে ফেলা হয়। পরে উপজেলা বন কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে গাছ কাটায় বাঁধা দেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, বেসরকারি এনজিও সংস্থার (সজাগ) পরিচালক আব্দুল মতিন (৬২), ম্যানেজার মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ (৫০), গাছ ক্রেতা মো. হানিফ আলী বেপারী (৩০) ও সধু বেপারী (৬০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বন বিভাগের কোনো অনুমতি ছাড়াই সজাগ (এনজিও) ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের চাপিল এলাকা থেকে নওগাঁও পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের ১০৭টি গাছ এবং কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকা থেকে পথহারা ১ কিলোমিটার রাস্তার ২৫টি গাছসহ মোট ১৩২টি গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। পরে গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে।

ধামরাই উপজেলার বন কর্মকর্তারা গাছ কাটতে বাধা দিলে সজাগ এনজিওর কর্মকর্তা ও যারা গাছ কিনেছে তারা বলেন, 'আমরা গাছ কাটবই। আপনারা যা পারেন তাই করেন। পরে বিভাগের কর্মকর্তা মোতালিব আল মোমিন বিষয়টি উপরের কর্মকর্তা ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। পরে বেশি করে জনবল নিয়ে গিয়ে গাছ কাটার দুটি দা, দুটি কুড়াল, দুটি করাত, সাবল, রশিসহ বেশ কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করেন বন কর্মকর্তা।'

ধামরাই উপজেলা বন বিভাগের অফিস সূত্রে জানা যায়, রাস্তার দু' পাশে ১৯৯০ সালে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগামসের আওতায় গাছ লাগানো হয়। গাছ লাগানোর ৩১ বছর পর বন বিভাগকে বিষয়টি না জানিয়ে সজাগ এনজিওর কর্মকর্তারা রাস্তার দু' পাশের ১৩২টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।

ধামরাই উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোতালিব আল মোমিন বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সজাগের পরিচালক আব্দুল মতিনকে বার বার ফোন করা হলেও তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ধামরাই থানার অফিসার কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া  হবে।