এমপির বিচার চেয়ে প্ল্যাকার্ড বুকে রাস্তায় আ.লীগ নেতা

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের বিচার চেয়ে বুকে প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। তবে এমপি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। 

ওই নেতার নাম সুরঞ্জিত সরকার (৪৩)। মোহনপুর উপজেলায় তার বাড়ি। তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মোহনপুরের সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা আওয়ামী লীগের আগের কমিটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সুরঞ্জিত নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে তিনি পরাজিত হন। ওই ভোটে এমপি আয়েন উদ্দিনই তাকে ফেল করিয়েছেন বলে সুরঞ্জিতের অভিযোগ। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমপির বিচার চেয়ে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে দাঁড়ান সুরঞ্জিত। বেলা ৩টা পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন।

সুরঞ্জিতের বুকে ঝোলানো প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিচার চাই। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) এমপি আয়েন উদ্দিন ও তার দুলাভাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কর্তৃক নির্যাতনের শিকারঃ ১. ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকার মননোয়ন পেলে বিরোধিতা করে ফেল করানো। ২. এমপির ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হামলা করে হত্যার চেষ্টা ও অর্ধপঙ্গু বানানো এবং ৩. ২০২১ সালে ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকার মননোয়ন চাইলে হিন্দু জাতি ধর্ম তুলে কটুক্তি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা। এই নির্যাতনের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি।’

সুরঞ্জিত সরকার বলেন, ‘এমপি আয়েন উদ্দিন ও তার দুলাভাই উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সালাম আমার পক্ষে ভোট না করে নৌকার বিপক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাই প্রথমবার আমি নৌকা পেয়েও ফেল করি। পরের নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চাইলে এমপি আমাকে জাতধর্ম তুলে গালিগালাজ করেন। এমপি তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমার উপর হামলা করে। সেই হামলায় আমি প্রায় মারায় যাচ্ছিলাম। ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করে কোনোরকমে বেঁচে আছি। এখনও বছরে কয়েকবার চিকিৎসা করতে যেতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে গিয়ে আমি একেবারে শেষ হয়ে গেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছেই এমপি ও তার দুলাভাইয়ের বিচার চাই। তাই রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।’

এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘মানসিকভাবে অসুস্থ একটা মানুষকে (সুরঞ্জিত সরকার) নিয়ে দয়া করে এগুলো (সংবাদ) করবেন না। তাকে নির্যাতন যারা করেছে, সেই সময় থানায় মামলা করেছে। আসামিরা কে দেখেন। একটা পুকুর নিয়ে গণ্ডগোল করে মার খেয়েছে। এখন দায় চাপাচ্ছে আমার ওপর। অথচ তার চিকিৎসায় আমি টাকা দিয়েছি। ভারতে পাঠিয়েছি।’