ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কপিরাইট আইন অনুমোদন

সচিবালয় প্রতিবেদক    || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২৮ অক্টোবর ২০২১  
কপিরাইট আইন অনুমোদন

প্রতীকী ছবি

অজ্ঞাতনামা বা ছদ্ম নামের স্বত্বাধিকারী, ডাটা বেইজড, নৈতিক অধিকার, পাবলিক ডোমেইন, ফটোগ্রাম প্রোডিউসার লোকজ্ঞান ও লোকসংস্কৃতি ইত্যাদি যুক্ত করে কপিরাইট আইন ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে কপিরাইট আইন ২০২১ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ আইনে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। কপিরাইট আইনটি ২০০২ এর। এখন ২০২১ হিসেবে আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে নতুন অনেকগুলো সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কারণ অনেক কিছু আগে ছিলো না। যেমন অজ্ঞাত নামা বা ছদ্ম নামের স্বত্বাধিকারী, ডাটা বেইজড, নৈতিক অধিকার, পাবলিক ডোমেইন, ফটোগ্রাম প্রোডিউসার- এই টেকনোলজিগুলো আগে ছিলো না। এ ছাড়া রিলেটেড রাইট, লোকজ্ঞান ও লোকসংস্কৃতি ও সম্পাদক ইত্যাদি- এসবও ছিলো না।

কপিরাইট আইনে যেটা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কপিরাইটে প্রথম প্রকাশ হওয়ার পর ৬০ বছর পর্যন্ত এটা কপিরাইট থাকবে। এক্ষেত্রে স্বত্বাধিকারী যদি মারাও যান তাহলে প্রথম দিন থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত স্বত্বাধিকার পাবেন। অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে কপিরাইট রেজিস্টারকে অবহিতকরণের পক্ষে অবৈধ সম্প্রচার বন্ধের ব্যবস্থা করবেন। লোকজ্ঞান ও লোকসংস্কৃতি রক্ষার জন্য এ সংক্রান্ত একটি অধ্যায় এখানে ঢোকানো হয়েছে যেটা আগে ছিলো না। একই সাথে শাস্তি ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে ৮০, ৯৩ ও ৯৪ ধারাতে।

এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের পড়ার উপযোগী করে বই প্রকাশের সুযোগ রাখা হয়েছে। যার ফলে বঞ্চিত সমাজের অনেকেই এই কপিরাইটের আওতায় আসবে। চলচ্চিত্রও সঙ্গীত জগতের অডিও ভিডিও কপি সুরক্ষার জন্য আর্কাইভে সংরক্ষণের কন্ডিশন দেওয়া হয়েছে।

কপিরাইট আইনে ৬০ বছর পর স্বত্বাধিকারের কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৬০ বছর পর সকলের জন্য ওপেন হয়ে যাবে। ধরনের একজন গান গাইলো সে গানের স্বত্বাধিকার তার। ৬০ বছর আগে যদি অন্য কেউ সে গান গায় তাহলে তাকে আইনানুযায়ী টাকা দিতে হবে। যদি তিনি আপনাকে অনুমতি না দিয়ে থাকেন।

শাস্তির কী ব্যবস্থা বা ধরন কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শাস্তির জন্য তিনটি ধারা রয়েছে। এখানে অনেকগুলো বিষয়ে শাস্তি আছে। প্রতিটা বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা শাস্তির বর্ণনা করা হয়েছে।

যেমন, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কপিরাইট বিদ্যমান রয়েছে এমন কোনো কর্মের অধিকার লঙ্ঘনকারীর অনুলিপি তৈরি করেন তাহলে অনূর্ধ্ব ২ লাখ টাকা অথবা ২ বছরের কারাদণ্ড।

আর কম্পিউটার বা ডিজিটাল বা অন্যকোনো মাধ্যম ব্যবহার করে তাহলে ২৫ হাজার টাকা বা ৩ মাসের কারাদণ্ড। আবার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি এমন কিছু করে তাহলে অনূর্ধ্ব ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা। এরকম প্রায় ১৫ থেকে ১৬টি শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

নতুন কী আছে এই আইনের জানতে চাইলে সচিব বলেন, অনেক কিছু নতুন আছে যেমন ডিজিটাল, আর্কাইভস তো ২০০০ সালে চিন্তার মধ্যে ছিলো না। এরকম অনেক কিছু নতুন আছে।

আসাদ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়