ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

করোনায় ৪৬০ কোটি টাকার হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি বাতিল হয়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ৪ মে ২০২১  
করোনায় ৪৬০ কোটি টাকার হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি বাতিল হয়েছে

ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। বিধিনিষেধের মধ‌্যে দিয়ে চলছে সার্বিক কার্যক্রম। এর প্রভাব পড়েছে রপ্তানিমুখী হিমায়িত খাদ্য পণ্য খাতে। ব্যবসায়ীদের দাবি, নানামুখী সংকটে আছেন তারা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার থেকে ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ পিছিয়ে আছে খাতটি। এ সময়ে ৫৯৭ দশমিক ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার বা ৪৬০ কোটি ৬১ লাখ টাকার রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকে এ খাতের প্রণোদনার অর্থের ৫০ শতাংশ অনুদান হিসেবে রূপান্তর এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ অর্থ ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ হার সুদে এক বছরের পরিবর্তে তিন বছরে পরিশোধের দাবিতে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ‌্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)।

সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ‌্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সদ্য সাবেক সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘করোনার কারণে রপ্তানির নেতিবাচক প্রবণতা এখনো অব্যাহত আছে। কবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা অনিশ্চিত। বর্তমানে বাংলাদেশের হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। একদিকে কাঁচামালের সংকট, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতন ও অন্যান্য রপ্তানিকারক দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। এছাড়া, রপ্তানি মূল্যের বিপরীতে কাঁচামালের ক্রয় মূল্যসহ উৎপাদন খরচ সমন্বয় হচ্ছে না। ফলে কম উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া এবং সস্তা দামের ভেনামী চিংড়ির প্রভাবের কারণে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছি।’

তিনি জানান, কনটেইনার স্বল্পতার কারণে রপ্তানি খরচ প্রতি ৪০ ফুট কনটেইনারে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার বেড়েছে।

ব‌্যবসায়ীদের ঋণ প্রসঙ্গে কাজী বেলায়েত বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান সরকারের দেওয়া প্রণোদনা বাবদ ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা পেয়েছে, তারা ঋণ পরিশোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সঞ্চয় করতে পারেনি। এ ঋণ পরিশোধ করতে হলে চলমান রপ্তানি পুনরায় বাধাগ্রস্থ হবে। এজন্য আমরা প্রণোদনার অর্থের ৫০ শতাংশ অনুদান হিসেবে রূপান্তর এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে এক বছরের পরিবর্তে তিন বছর করার প্রস্তাব করেছি। আশা করছি, সরকার আমাদের খাতের সমস্যা বিবেচনায় পদক্ষেপে নেবে।’ 

ঢাকা/শিশির/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়